শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সোনালি আসর

নির্জনের মুখে ঈদের চাঁদ

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ফ জ লে রা ব্বী দ্বী ন

(পূর্ব প্রকাশিতের পর)
ট্রেনটা নিশ্চিৎ মিস হবে আজ। কপালে হাত দিয়ে দাদু স্টেশনের এক কোণায় গিয়ে বসে পড়ল।
হঠাৎ ট্রেনের হুইসেল। দাদুর বুকটা কাঁপছে। চঞ্চলা দু’চোখ দিয়ে খুঁজতে লাগল নির্জনের মুখ। ট্রেনটা ছেড়ে দেয়ার মতো অবস্থায় হঠাৎ দাদু পেছনের রাস্তার দিকে তাকিয়ে দেখে নির্জন চলে এসেছে। স্বস্তিতে বুকটা ভরে উঠল। কিন্তু তার হাতে ভারি বস্তাটার মতো ঐসব কি?
নির্জন তখন হাঁফাতে হাঁফাতে দাদুকে সব বলতে লাগল। সেদিন সে বইতে নাকি পড়েছিল গ্রামের মানুষেরা ঈদের আনন্দকে ভাগ করে নিতে জানে। যার যেটুকু আছে তা দিয়েই তারা ভাগাভাগি করে ঈদের খুশি ছড়িয়ে দেয় সবখানে। নির্জন তাই সেই আনন্দে শামিল হতে নিজেও কিছু কিছু করে টাকা জমিয়ে এবং আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে পাওয়া সমস্ত ঈদের উপহার গ্রামের গরিব ছেলেমেয়েদের জন্য রেখে দিয়েছে। এই সবগুলো সে বিলিয়ে দিয়ে নিজেও ঈদের আনন্দেকেও সবার মতো ভাগ করে নেবে।
ট্রেনটা স্টেশন থেকে ছেড়ে দিয়েছে। শহরের পথ ছেড়ে গাঁয়ের মুক্ত পাখির মতো সাঁ সাঁ করে করে ছুটে চলেছে মাঠ, নদী, বন পেরিয়ে। নির্জন বারবার জানালার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে গাঁয়ের কৃষক, জেলে, কুমার, মজুর, তাঁতি সকল শ্রেণীর লোকদের মুখ দেখে। নির্জনের আনন্দ দেখে তার দাদুর বুকটা গর্বে ভরে ওঠে বারবার। অনেক বছর পর আজ দাদু যেন নিজের চোখের সামনে ঈদের ঝলমলে একটা চাঁদ দেখতে পাচ্ছে। সে চাঁদ আকাশে নয় নির্জনের মুখে। (সমাপ্ত)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন