রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রোষানলে পড়েছেন কান্দি ইউনিয়নের প্রায় ১৩ হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক। ঘনঘন লোডশেডিংয়ের পাশাপাশি বেশীর ভাগ সময় টানা অন্ধকারে থাকছেন ওই ইউনিয়নের বাসিন্দারা। গত সপ্তাহেও ঈদের দিনসহ টানা তিনদিন ও একদিন পরে আরো দুইদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। তাদের আক্রোশের কারণে তারা দীর্ঘদিন থেকে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে মুজিব বর্ষে সরকারের শতভাগ ও নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ কার্যক্রম ভেস্তে যেতে বসেছে।
পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ পীরগাছা জোনাল অফিসের আওতায় প্রায় ৭০ হাজার গ্রাহকের জন্য সংযোগ লাইন ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে ৭টি ইউনিয়নে আলাদা আলাদা সংযোগ লাইন থাকলেও শুধুমাত্র একটি সংযোগ লাইনের মাধ্যমে কৈকুড়ী ও কান্দি ইউনিয়নে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। অন্যান্য ইউনিয়নের গ্রাহকরা দিনে গড়ে ৪-৬ ঘন্টা লোডশেডিংয়ের কবলে পড়লেও কান্দি ইউনিয়নের গ্রাহকরা থাকেন সর্বক্ষণ লোডশেডিংয়ে কবলে। এছাড়া প্রায়ই একই ফিডের কৈকুড়ী ইউনিয়ন চালু রেখে কান্দি ইউনিয়ন বিচ্ছিন্ন করে রাখা হয়। ফলে কান্দি ইউনিয়নের প্রায় ১৩ হাজার গ্রাহক প্রতিদিনই ১০-১২ ঘন্টা বিদ্যুৎ বঞ্চিত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পীরগাছা জোনাল অফিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা দীর্ঘদিন থেকে অনিয়ম ও দুর্নীতি করে আসছেন। তাদের দুর্নীতির বিষয়ে একাধিক লিখিত অভিযোগ করা হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হলে তারা দলগত ভাবে বিষয়টি মোকাবেলা করেন।
এছাড়া কৈকুড়ী ও কান্দি ইউনিয়নের জন্য চৌধুরাণীতে একটি অভিযোগ কেন্দ্র করা হলেও দায়িত্বরতদের সেচ্ছাচারিতায় কোন কাজে আসছে না।
কান্দি ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য প্রশান্ত কুমার মিশ্র বলেন, ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের রোষানলে পড়ে গ্রাহকরা চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।
রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীর বিরুদ্ধে একাধিকবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন না।
এদিকে রংপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর এজিএম মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, কান্দি ইউনিয়নের জন্য নির্ধারিত ৪ নম্বর ফিডটি দীর্ঘ ও গ্রাহক সংখ্যা বেশী থাকায় সমস্যা হচ্ছে। তবে ওই ইউনিয়নের জন্য আলাদা সংযোগ লাইনের কাজ চলছে।
তবে রংপর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর পীরগাছা জোনাল অফিসের ডিজিএম আব্দুল জলিল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে হলে আগে ঝড় থামাতে হবে। আর বিদ্যুতের জন্য দোয়া করতে হবে। ঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন