শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাস ভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় উদ্বেগ

আবদুল মোমিন | প্রকাশের সময় : ৩০ মে, ২০২০, ৮:৪৪ পিএম

করোনা সংক্রমণ রোধে সব ধরনের বাস-মিনিবাসে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের কথা বলে ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্বেগ জানিয়েছেন নেটিজেনরা। ফেইসবুকে ভাড়া বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদও জানিয়ে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকে।

আজ শনিবার বাস ভাড়া ৮০ শতাংশ বৃদ্ধির সুপারিশ করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) ভাড়া নির্ধারণ কমিটি। বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. ইউছুব আলী মোল্লা।

ফেইসবুকে খোকন সরকার লিখেছেন, ‘‘৮০ ভাগের বেশি ভারা আমি দিলাম, বাসেও চরলাম কিন্তু বাসে ওঠে দেখলাম ২০ এর জায়গায় ৫০জন আর ২৫ এর জায়গায় ৭০ জন তখনও কি ভাড়া ৮০ ভাগ দিতে হবে?’’

সাইমন ইসলাম সজিব লিখেছেন, ‘‘স্বাস্থ্যবিধি কেম্নে মানা হবে প্রথমত সেটা আমার মাথায় ঢুকতেছে না...বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্যমতে মিনিমাম ৩ ফিট দুরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে...যেখানে বাসের সিটগুলোর দুরত্ব কি তা আমাদের সবার জানা আছে।বলা হচ্ছে ৫০ সিটের বাসে ২৫ জন যাবে...কথা হচ্ছে ঢাকায় কি কোন সিটিং সার্ভিস বাস কখনো ছিল কার্যত? নামে আছে সিটিং সার্ভিস কাজে না। এম্নিতে ৫০ সিটের বাসে ৭০ জন যাত্রি নিয়া চলা বাসের হেল্পার কন্ট্রাক্টররা এতটা মানবিক হবে সেটা ভাবলেন কি করে! বাসের ভাড়া নিয়া আর কিছু নাই বা বললাম।’’

সমেশ আধিকারী লিখেছেন, ‘‘অবাস্তব সিদ্ধান্ত, সাধারণ মানুষ এই করোনাকালে বেকার হচ্ছে জীবন যাপন করাটা এখন দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তার উপর ডাবল ভাড়া দিয়ে পরিবহনের যাতায়াত করতে হবে, সব কিছুই জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া, এখানে সমন্বয় করা উচিৎ ছিল যাত্রী বাস মালিক ও সরকার সবাই কিছু ছাড় দিয়ে সিদ্ধান্ত নিলে জনগণের উপর কিছুটা চাপ কমতো। এখন এমন অবস্থা উদোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে। সরকার মনে করে হয়ত সবাই সরকারি চাকুরী করে। দেশের ৮০% মানুষ বেসরকারি চাকরিজীবি এটা হয়ত মনেই নেয়, হা হুতাশ করা ছাড়া আর কিছুই বলার নেই।’’

মোস্তফা কামাল লিখেছেন, ‘‘গাড়ি সব ছাড়বে। যাত্রী কমিয়ে ভাড়া বাড়ানো হবে। ধীরে ধীরে যাত্রী বেড়ে যাবে কিন্তু ভাড়া কমবে না।
বুদ্ধিমান জাতির বুদ্ধির খেলা! জনগণকে আর মারিস না।গাড়ি চালাতে হবে না।’’

রাসেল শেখ লিখেছেন, ‘‘বাস বসে থাকায় লস পুষিয়ে নিতে ভাড়া যদি আমাদের দ্বিগুণ গুনতে হয় তাহলে আমরা কাজ হারিয়ে এতদিন বসেছিলাম আমাদের লস পুষিয়ে নিয়ে সরকার কত টাকা করে দিবে? এরা যেহেতু এই করোনায় মানুষ হয় নাই আর কোনদিন হবেও না। আমরা সিটিং সার্ভিস সেবা নিয়ে দেখেছি কি সেবা দেয় এরা।’’

মো. কিসমত লিখেছেন, ‘‘এগুলোকে সাধারন পাবলিক মারার নিয়ম ছাড়া আর কিছুই বলা যায়না, কারন দীর্ঘদিন লকডাউনে বেকার বসে থাকা সাধারন মানুষগুলো যেখানে অর্ধেক ভাড়া দেয়ারও সমর্থ এই মুহুর্তে রাখেনা, সেখানে তারা কিভাবে ডাবল ভাড়া দিয়ে জীবন যাত্রা অব্যাহত রাখবে?’’

রনি আহমেদ লিখেছেন, ‘‘শেষ জীবনটা বেদনা হয়ে গেল, এমনিতেই বাস কন্ট্রাক্টর ভাড়া নিয়ে মারামারি তৈরি করে ফেলে এখন আবার ভাড়া বেশি করে নেওয়ার প্রস্তাবনা, কি আর বলবো দেশটাতো মগের মুল্লুক হয়ে গিয়েছে।’’

ওসমান গনি লিখেছেন, ‘‘একসিটের ভাড়ার বাইরে অন্যসিটের ভাড়া ৫০% করলে হতো। সব লস যাত্রীরা কেন দিবে। চালক মালিকেরাও কিছু ছাড়তে হবে। এটা ঠিক হলনা।’’

সুজন বিশ্বাস লিখেছেন, ‘‘তার মানে সমস্ত লোকসান সেই খেটে খাওয়া মানুষকেই গুনতে হবে।অন্য কেউ লোকসান গুনতে রাজি নয়। তাহলে পরিবহন চালু করার প্রয়োজন নেই। মানুষ ভালই চলছে।’’

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (4)
আব্দুল আহাদ ৩০ মে, ২০২০, ৯:৩৩ পিএম says : 0
‘‘বাস বসে থাকায় লস পুষিয়ে নিতে ভাড়া যদি আমাদের দ্বিগুণ গুনতে হয় তাহলে আমরা কাজ হারিয়ে এতদিন বসেছিলাম আমাদের লস পুষিয়ে নিয়ে সরকার কত টাকা করে দিবে? এরা যেহেতু এই করোনায় মানুষ হয় নাই আর কোনদিন হবেও না। আমরা সিটিং সার্ভিস সেবা নিয়ে দেখেছি কি সেবা দেয় এরা।’’
Total Reply(0)
সুজন ৩০ মে, ২০২০, ১০:০২ পিএম says : 0
বাংলাদেশে একবার কোন জিনিসের দাম একবার বেড়ে গেলে, তা আর কখনো কমবে না এটা নিশ্চিত। যত চাপ সাধারণ মানুষের উপড়।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৩০ মে, ২০২০, ১০:৪৬ পিএম says : 0
ইনকিলাব পত্রিকা ফেসবুক থেকে মন্তব্য সংগ্রহ করে পত্রিকায় ছাপিয়েছে এটা তাদের এক কৌশল সরকারকে দেখানো জনসাধারণ তাদের (সরকারের) সিদ্ধন্তকে কিভাবে নিচ্ছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে ইনকিলাব পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে এজন্যে ধন্যবাদ জানাই। তাদের (পত্রিকার কর্তৃপক্ষ) এই প্রচেষ্টা সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এটাই সত্য। পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিকরাটা কতটা যে অযৌক্তিক সেটা এখানে বিভিন্ন মন্তব্যে প্রাকাশ পেয়েছে। তারপরও আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বলতে চাই যে, আমি অনেকবার দেখেছি বিভিন্ন অজুহাতে সাময়িক ভাবে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করার পর সেই ভাড়া আর স্বাভাবিক ভাড়ায় ফিরে আসেনি সেটাই স্থায়ী ভাড়া হিসাবে গণ্য হয়েছে, কাজেই এবারও সেটাই হবে এটাই বিশ্বাস যোগ্য। তাছাড়া পূর্বে আরো দেখাগেছে এরা (গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিক) সিটিং এর কথা বলে ভাড়া বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই যাতায়ত করতো। সিটিং এর নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার পর যাত্রীদের সাথে পরিবহনের কর্মচারীদের সাথে প্রায় হাতাহাতি থেকে রড দিয়ে যাত্রীকে পেটাতে দেখা গেছে। এখন সেই সব পরিবহনের কর্মচারীরা বাসের অনুমদিত যাত্রী সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ী চালাবে এর কোনই নিশ্চয়তা নেই বরং তাদের অতীতের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত এরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে এবং ভাড়াও দ্বিগুণ নিবে এতে কোন সন্দেহ নেই। সবসময়ই দেখা গেছে বাংলাদেশের সরকার এসব দস্যু পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। এবারও সেটাই আবার প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। এখন একমাত্র আল্লাহ্‌ সাধারন জনগণকে এধরনের যাঁতাকল থেকে উদ্ধার করতে পারেন বলে নিন্দুকেরা অভিমত পোষন করেন। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদের হাত থেকে সাধারন জনগণকে রক্ষা করে গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদেরকে সঠিক পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৩১ মে, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
ইনকিলাব পত্রিকা ফেসবুক থেকে মন্তব্য সংগ্রহ করে পত্রিকায় ছাপিয়েছে এটা তাদের এক কৌশল সরকারকে দেখানো জনসাধারণ তাদের (সরকারের) সিদ্ধন্তকে কিভাবে নিচ্ছে। আমি ব্যাক্তিগতভাবে ইনকিলাব পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে এজন্যে ধন্যবাদ জানাই। তাদের (পত্রিকার কর্তৃপক্ষ) এই প্রচেষ্টা সরকারকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে এটাই সত্য। পরিবহন ভাড়া বৃদ্ধিকরাটা কতটা যে অযৌক্তিক সেটা এখানে বিভিন্ন মন্তব্যে প্রাকাশ পেয়েছে। তারপরও আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে বলতে চাই যে, আমি অনেকবার দেখেছি বিভিন্ন অজুহাতে সাময়িক ভাবে পরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করার পর সেই ভাড়া আর স্বাভাবিক ভাড়ায় ফিরে আসেনি সেটাই স্থায়ী ভাড়া হিসাবে গণ্য হয়েছে, কাজেই এবারও সেটাই হবে এটাই বিশ্বাস যোগ্য। তাছাড়া পূর্বে আরো দেখাগেছে এরা (গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিক) সিটিং এর কথা বলে ভাড়া বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়েই যাতায়ত করতো। সিটিং এর নামে ভাড়া বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার পর যাত্রীদের সাথে পরিবহনের কর্মচারীদের সাথে প্রায় হাতাহাতি থেকে রড দিয়ে যাত্রীকে পেটাতে দেখা গেছে। এখন সেই সব পরিবহনের কর্মচারীরা বাসের অনুমদিত যাত্রী সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গাড়ী চালাবে এর কোনই নিশ্চয়তা নেই বরং তাদের অতীতের কর্মকাণ্ডে প্রমাণিত এরা অতিরিক্ত যাত্রী বহন করবে এবং ভাড়াও দ্বিগুণ নিবে এতে কোন সন্দেহ নেই। সবসময়ই দেখা গেছে বাংলাদেশের সরকার এসব দস্যু পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। এবারও সেটাই আবার প্রমাণিত হতে যাচ্ছে। এখন একমাত্র আল্লাহ্‌ সাধারন জনগণকে এধরনের যাঁতাকল থেকে উদ্ধার করতে পারেন বলে নিন্দুকেরা অভিমত পোষন করেন। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদের হাত থেকে সাধারন জনগণকে রক্ষা করে গণপরিবহনের মালিক ও শ্রমিকদেরকে সঠিক পথে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন