টানা ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে ভারত ও বাংলাদেশের উপর দিয়ে তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের ক্ষত এখনো শুকায়নি। এতে প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ, ঘরবাড়ি-গাছপালা ভেঙে তছনছ হয়ে গেছে বহু এলাকা। আম্ফান ছিল বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলের ৬৪তম ঘূর্ণিঝড়। এরইমধ্যে আবার ধেয়ে আসছে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘নিসর্গ’। ভারতের আবহাওয়া দফতর রেড এলার্ট সতর্কতা জারি করেছে।
ভারতের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী তিনদিনের মধ্যে গুজরাট বা মহারাষ্ট্রের পশ্চিম উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে এই ঝড়। এ কারণে মঙ্গলবার থেকে বৃষ্টির হার বাড়তে পারে। তবে কর্নাটক উপকূলে সতর্কতা জারি আজ থেকেই।
ঘূর্ণিঝড় নিসর্গ কতটা ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে, তা জানতে আরো একটু সময় লাগবে। ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে ২ জুন সকালের মধ্যে উত্তরে দিকে এগোবে। তারপর আরেকটি বাঁক নিয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে এগিয়ে উত্তর মহারাষ্ট্র ও দক্ষিণ গুজরাতের উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে ৩ জুন সকালে।
এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা ও কর্নাটকের উপকূল অঞ্চলে সোমবার বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণ গুজরাট, উত্তর কঙ্কন, মধ্যপ্রদেশ, দমন, দিও, দাদরা ও নগর হাভেলি-তে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে ৩ ও ৪ জুন।
‘নিসর্গ’ নামটি বাংলাদেশের দেয়া। হাতে এখনও কিছুটা সময় থাকলেও অনেকেই এই শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়কে তুলনা করছেন আম্ফানের সঙ্গে।
সাধারণত এ অঞ্চলে সৃষ্ট ঝড়গুলোর নামকরণ করত বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার, পাকিস্তান, মালদ্বীপ, ওমান, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড। এর সঙ্গে ২০১৮ সালে যুক্ত হয়েছে আরও পাঁচটি দেশ- ইরান, কাতার, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন। এই ১৩টি দেশ গত এপ্রিলে আসন্ন ঘূর্ণিঝড়গুলোর জন্য ১৬৯টি নাম প্রস্তাব করেছে।
সেক্ষেত্রে আম্ফানের পরের ঘূর্ণিঝড়গুলোর নাম নির্ধারিত হয়েছে নিসর্গ (বাংলাদেশের প্রস্তাবিত), গতি (ভারতের প্রস্তাবিত), নিভার (ইরানের প্রস্তাবিত), বুরেভি (মালদ্বীপের প্রস্তাবিত), তৌকতাই (মায়ানমারের প্রস্তাবিত নাম), ইয়াস (ওমানের প্রস্তাবিত)।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন