শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীনা ভ্যাকসিন সফল হবে, ৯৯ ভাগ নিশ্চিত গবেষকরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ জুন, ২০২০, ৫:২২ পিএম

পৃথিবীজুড়ে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে গবেষণা চলছে। ইতিমধ্যে মানব দেহে নিজেদের ভ্যাকসিনের পরীক্ষাও শুরু করেছে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। যদিও কবে নাগাদ এই ভ্যাকসিন মানুষের হাতে পৌঁছবে সেটি নিশ্চিত করা বলা যাচ্ছে না। তবে, এবার নিজেদের ভ্যাকসিন নিয়ে আশার বাণী শোনাল চীন।

চীনা ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি সাইনোভ্যাক বায়োটেকের ভ্যাকটিনটির দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে এখন। কোম্পানিটির সিনিয়র গবেষক লুও বাইশান বলেন, ‘এটি সাফল্য লাভ করবেই। আমরা ৯৯ শতাংশ নিশ্চিত।’ সাইনোভ্যাক জানায়, এখনও এই ভ্যাকসিনকে অ্যাক্টিভেট করা হয়নি। এই মুহুর্তে দ্বিতীয় দফায় ট্রায়াল চলছে এটির। এই দফায় ১ হাজার জন স্বেচ্ছাসেবকদের উপর এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে।

বানরের দেহে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করার কথা গত মাসে জানায় সাইনোভ্যাক। তাদের দাবি, এই ভ্যাকসিন বানরকে করোনভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। ভ্যাকসিন তৈরির জন্য কোম্পানিতে গড়ে তোলা হয়েছে বিশাল এক কারখানা। সফল ট্রায়াল শেষে ভ্যাকসিনটি মানুষের হাতে পৌঁছে দেরি করতে চায় না সাইনোভ্যাক।

এদিকে গত মাসে বেইজিং ইন্সটিটিউট অব বায়োটেকনোলজির একটি ভ্যাকসিন প্রথম ধাপের ট্রায়ালে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। কিন্তু বাকি আছে আরও দুটি ধাপ। রোগ নিয়ন্ত্রণে আসায় শেষ ধাপের ট্রায়ালের ফলাফল বোঝা কঠিন হতে পারে। ফলে আগেভাগে ট্রায়ালের বাইরে ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করে চায় দেশটি। চলতি বছরের শেষের দিকে এটি ঘটতে পারে

বিশ্বজুড়ে এখনো কোনো প্রতিষেধক না আসায় করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করতে চীনসহ আরও অনেক দেশ উঠেপড়ে লেগেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ১২টি কোম্পানি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। দেশটির সঙ্গে যৌথভাবে জার্মানি আরেকটি নিয়ে কাজ করছে। যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা একাধিকবার বলেছেন, সেপ্টেম্বরের ভেতর তাদের ভ্যাকসিন তৈরি হয়ে যাবে। তবে এই ভ্যাকসিনটি নিয়ে একটু শঙ্কা তৈরি হয়েছে। বানরের শরীরে ট্রায়ালে ‘অকার্যকর’ প্রমাণিত হয়েছে।

তবে চীনের মতো যুক্তরাষ্ট্রের মর্ডানা কোম্পানির ভ্যাকসিনটি প্রথম ধাপের ট্রায়ালে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। দেশটি জানিয়েছে, সামনের বছরের শুরুতে তারা পৃথিবীজুড়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করতে পারবে।

মডার্না প্রথম ট্রায়ালের কিছু তথ্য প্রকাশ করে এই মাসের শুরুর দিকে। সেখানে দেখা যায় যে ভ্যাকসিনটি সুস্থ স্বেচ্ছাসেবীদের দেহে সফলভাবে করোনা প্রতিরোধী অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। তবে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দেখা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে নতুন একটি রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করতে কয়েক বছর লেগে যায়। অনেকের শঙ্কা, করোনার ক্ষেত্রেও এমনটি হতে পারে। সূত্র: টাইমস নাউ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন