বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

ইসলামী ব্যাংকের আমানত ৬৫ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশের সময় : ২৫ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

জুন ২০১৬ পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের আমানত ও বিনিয়োগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং ৫৭ হাজার কোটি টাকা, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় যথাক্রমে ৫ হাজার কোটি ও ৬ হাজার কোটি টাকা বেশি। ব্যাংকের বৈদেশিক বাণিজ্যের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪৫ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য হয়েছে যথাক্রমে ১৭ হাজার কোটি এবং সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা ও রেমিট্যান্স আহরিত হয়েছে সাড়ে ১৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যাংকের বর্তমান গ্রাহক ১ কোটি পনেরো লাখ যা দেশের ব্যাংকিং গ্রাহকের ১৪ শতাংশ এবং বিশ্বের ইসলামী ব্যাংকিং গ্রাহকের ২৫ শতাংশ। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন। ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোহাম্মদ আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিচালকদের মধ্য থেকে বক্তব্য রাখেন ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান এম. আযীযুল হক, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর সৈয়দ আহসানুল আলম, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান হেলাল আহমদ চৌধুরী, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল মাবুদ, পিপিএম, পরিচালক প্রফেসর (ডা.) কাজী শহিদুল আলম, মেজর জেনারেল (অব.) ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মতিন, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, এফসিএ, মো. সাইফুল ইসলাম, এফসিএ, এফসিএমএ, ড. মো. জিল্লুুর রহমান ও প্রফেসর এএনএম সাইদুল হক খান। প্রধান কার্যালয়ের ঊর্র্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ, জোন প্রধান ও ৩০৪টি শাখার ব্যবস্থাপকগণ সম্মেলনে যোগদান করেন। ইঞ্জিনিয়ার মুস্তাফা আনোয়ার প্রধান অতিথির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক শিল্পায়ন, গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালীকরণ, কর্মসংস্থান ও কল্যাণমুখী ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির দুইটি প্রধান স্তম্ভ -তৈরি পোশাক ও রেমিট্যান্স খাতে ইসলামী ব্যাংক অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। এ ব্যাংক বিশ্বসেরা এক হাজার ব্যাংকের তালিকায় বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাংক এবং দেশের সবচেয়ে স্বচ্ছ ও পরিপালনকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান। একটি আন্তর্জাতিক মানের পরিপালনকারী ব্যাংকে উন্নীত হতে কাজ করছে এ ব্যাংক। সম্প্রতি ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ‘এশিয়ান ব্যাংকার সিইও লিডারশিপ অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও ব্যাংক ‘বেস্ট ম্যানেজড ব্যাংক ইন বাংলাদেশ অ্যাওয়ার্ড’ লাভ করে যা ধারাবাহিক অগ্রগতির নির্দেশক। সিএসআর কর্মসূচির মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক শিক্ষা ও চিকিৎসাসহ আর্ত-মানবতার সেবায় অবদান রাখছে। এ অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন।
মোহাম্মদ আবদুল মান্নান সভাপতির ভাষণে বলেন, ইসলামী ব্যাংক গত ৩৩ বছর শরী’আহর লক্ষ্য বাস্তবায়ন, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি, সম্পদের সুষম বন্টন ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের মাধ্যমে আর্থিক খাতে কল্যাণ বৃদ্ধি, অকল্যাণ দূরীকরণ এবং মানুষের সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে কাজ করছে। এ ব্যাংক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মুনাফার চেয়ে কল্যাণকে অধিক প্রাধান্য দেয় এবং শরীআহ নির্দেশনাকে গুরুত্ব দেয়, এ কারণে বেশি লাভজনক হওয়া সত্ত্বেও তামাকসহ ক্ষতিকর কোন খাতে বিনিয়োগ করে না। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয় কোষাগারে ব্যাংকিং খাতে সর্বোচ্চ কর প্রদানের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক জাতীয় উন্নয়নে অবদান রাখছে। সম্মেলনে বলা হয়, দেশের তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্সে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ২১ ও ২৫ শতাংশ। শিল্প খাতে বিনিয়োগ ৪৫ শতাংশ এবং চার হাজারের বেশি শিল্প-কারখানা ইসলামী ব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে। স্পিনিং শিল্পে এ ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার এক-চতুর্থাংশ এবং লৌহ ও ইস্পাত শিল্পে ২১ শতাংশ। আমদানি-রফতানি খাতে এ ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার যথাক্রমে ১১ ও ১০ শতাংশ এবং ব্যাংকের মোট বিনিয়োগের ৪৩ শতাংশই এসএমই খাতে যা দেশের এসএমই শিল্পের ২৩ শতাংশ। গৃহায়ন খাতে ইসলামী ব্যাংকের মার্কেট শেয়ার ১৩ শতাংশ, যা ২৬ লাখ মানুষের আবাসন নিশ্চিত করেছে এবং পরিবহণ খাতে মার্কেট শেয়ার ১৮ শতাংশ যার সুবিধাভোগী ২ কোটির অধিক জনগোষ্ঠী। কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্পে এ ব্যাংকের বিনিয়োগ সাড়ে ১৩ শতাংশ এবং বেসরকারি খাতে সার আমদানিতে অর্থায়ন সর্বোচ্চ। Ñপ্রেস বিজ্ঞপ্তি

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন