রাজশাহী-৪ আসনের (বাগমারা) এমপি ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হকের গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে আবার হঠাৎ ছাড়াছাড়ির বিষয়টা নিয়ে ফেসবুকে ষ্ট্যাটাস পরবর্তীতে সেই সূত্র ধরে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর শুরু হয়েছে তোলপাড়। ফেসবুক ও পত্রিকায় তাদের অনেক অন্তরঙ্গ ছবিও প্রকাশ হয়েছে। ফলে গোপন বিয়ে এখন আর গোপন নেই।
লিজা আক্তার আয়েশা নামের এক মহিলা নিজেকে এখনো এমপি এনামুলের দ্বিতীয় স্ত্রী হিসাবে দাবী করছেন। আর এনামুল হক বলছেন তাকে ডির্ভোস দেয়া হয়েছে। লিজা বলছেন আমি কোন কাগজ পায়নি। বিরোধের কারন হিসাবে লিজা বলেন, আমি প্রকাশ্যে স্ত্রীর মর্যদা দাবী করার কারনে এমপি সাহেব বিষয়টা অস্বীকার করেছেন। ফলে আমি পরিস্থিতির শিকার হয়ে ফেসবুকে আমাদের অন্তরঙ্গ ছবিসহ বেশকিছু প্রমান প্রকাশ করেছি। আমি এমপি সাহেবের রক্ষিতা নয় বিয়ে করা স্ত্রী। লিজার পক্ষ থেকে জানাযায় ২০১৮ সালের ১১ মে তাদের রেজিষ্ট্রি বিয়ে হয়েছে। এর আগে ২০১৩ সালে আমাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়।
এব্যাপারে ইঞ্চিনিয়ার এনামুল হক এমপির সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন বিয়ের বিষয়টা সত্য। দু’বছর আগে দশলাখ টাকা দেনমোহরে আমাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়। দেনমোহরের টাকাও পরিশোধ করেছি। বিয়ের পর বুঝতে পারেন তিনি লিজার চাঁদাবাজি ও ব্ল্যাকমেইলের শিকার হয়েছেন। সে বিভিন্ন সময়ে আমার নাম ভাঙ্গিয়ে তদবীর চাঁদাবাজি শুরু করে। একটা এনজিও করে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তাকে নিষেধ করায় আমাকে ব্ল্যাকমেইল করে বিভিন্ন ছবি ফেসবুকে ছাড়ে। অবশেষে বাধ্য হয়ে গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ তাকে আইন সম্মতভাবে ডির্ভোস দিয়েছি। সে এখন আমার স্ত্রী নয়। এখন ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে আজেবাজে কথা লিখে ছবি দিচ্ছে। তিনি জানান এর আগেও ডলার নামে প্রবাসী একজনের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করেছিল। তার বেপরোয়া আচরনের কারনে সে সংসার টেকেনি।
এ ব্যাপারে সাবেক স্বামী ডলারের সাথে আলাপ করা হলে ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে লিজার সাথে প্রেম করে বিয়ের কথা জানান। তার উচ্চভিলাস, ব্যবসা বানিজ্য করা, চলন বলন ও বেপরোয়া আচরনের কারনে আমাদের বিয়ে টেকেনি। ১৪ সালের জুনে আমাদের ডির্ভোস হয়ে যায়। তিনি এখন রিয়াদে কর্মরত। ছুটিতে বাড়ি এসেছেন। এসব নিয়ে প্রথমে কোন কিছু বলতে রাজী হননি।
ডলারের সাথে ডির্ভোসের ব্যাপারে লিজা বলেন এমপি এনামুল হকের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠার কারনেই সাবেক স্বামী ডলারকে আমি তালাক দিয়েছি। এরপর এমপি সাহেবকে বিয়ে করেছি। ২০১৫ সালে আমি গর্ভবতী হলে এনামুল সাহেব তা নষ্ট করান। লিজা অভিযোগ করে বলেন এমপি এনামুল তার সাথে প্রতারনা করেছে। জীবন নষ্ট করেছে। তার স্ত্রীর স্বীকৃতি বাচ্চা নষ্টের বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবেন। গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষন ও সহযোগিতার জন্য এসব ছবি ও এসব বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করছেন। তিনি বলেন এমপি সাহেব লোকজন দিয়ে আমাকে হুমকী ধামকী দিচ্ছে। জীবন নিয়ে সংশয়ে রয়েছি। প্রয়োজনে সংবাদ সম্মেলন করে সব তুলে ধরবো।
এনা প্রোপাটিজের কর্নধার ইঞ্চিনিয়ার এনামুল হক বলেন, লিজা আমাকে ব্ল্যাকমেইল করার জন্য এসব করছে। প্রতারনা করে বিয়ে করেছে। শোনাযাচ্ছে এর আগে তার একাধিক বিয়ে হয়েছিল। চাঁদাবাজি করে নগরীতে আলীসান বাড়ি করেছে। এনজিও করে সাধারন মানুষের কাছ থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার মিথ্যেচারে বিভ্রান্ত না হবার জন্য আহবান জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন