মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ-বিক্ষোভ পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে যে একের পর এক শহরে কারফিউ জারি করা হচ্ছে। সেখানে মার্কিনীদের সাথে অন্যান্য দেশের নাগরিকরাও হামলার শিকার হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটা অঙ্গরাজ্যের মিনিয়াপলিস শহরে বাংলাদেশীদের কয়েকশ’ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাংচুরের পর সব মালামাল লুট করা হয়। এরমধ্যে এক বাংলাদেশির দুটি স্বর্ণের দোকানসহ মোট ৩৫ দোকান লুটে নিয়েছে দুর্বৃত্তরা। পাশাপাশি বাংলাদেশীদের রেস্টুরেন্ট জ্বালিয়ে দেওয়ার পর একই পরিস্থিতির অবতারণা হয়েছে ফিলাডেলফিয়া সিটিতেও।
ফিলাডেলফিয়ার ৪০৮৯, লেনক্যাস্টার এভিনিউর এবং ১১৩ ওয়েস্ট সেলটন এভিনিউতে অবস্থিত ‘মমি জুয়েলার্স অ্যান্ড পারফিউম ইনক’ নামক প্রতিষ্ঠানদ্বয়ের মালিক কামরুল ইসলাম জানান, রোববার রাতে কারফিউ চলাকালে তালাবদ্ধ দোকান ভেঙে সবকিছু লুটে নেওয়া হয়েছে। দুই দোকানে কমপক্ষে ৬ লাখ ডলারের মালামাল ছিল বলে পুলিশে অভিযোগ করেছেন তিনি। দীর্ঘ ২৪ বছরের পুরনো দোকান দুটি ছিল তার পরিবারের একমাত্র অবলম্বন।
শহরটির আপার ডারবি টাউনশিপের কাউন্সিলম্যান শেখ সিদ্দিক সোমবার রাতে জানান, সিটির বড় বড় কয়েকটি চেইনস্টোরসহ কয়েকশত দোকান পাটে ভাংচুর ও লুটতরাজ হয়েছে। আমরা সবগুলো পরিদর্শন করেছি। ক্ষতিপূরণ আদায়ের কৌশল উদ্ভাবনের জন্যে শীঘ্রই সিটি অব ফিলাডেলফিয়া এবং আপার ডারবি টাউনশিপের যৌথ সভা হবে। সিটিতে কারফিউ অনির্দিষ্টকালের জন্যে বহাল থাকবে। লুটতরাজে লিপ্ত দুর্বৃত্তদের আচরণে সবাই ব্যথিত এবং ক্ষুব্ধ।
এদিকে, বিক্ষোভ দমনে নির্দেশ জারি করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মঙ্গলবার (২ মে) হোয়াইট হাউসের রোজ গার্ডেনে সাংবাদিকদের সামনে বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্য করে বলেন, রাষ্ট্রপতি হিসাবে আমার প্রথম এবং সর্বোচ্চ দায়িত্ব হ'ল আমাদের মহান দেশ এবং আমেরিকান জনগণকে রক্ষা করা। তিনি আরও বলেন, আমি আমাদের দেশের আইন বহাল রাখার শপথ নিয়েছিলাম এবং আমি এটাই করব।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন