শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিশ্বনাথে ভয়ঙ্কর মানবপাচারকারি রফিক র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার

বিশ্বনাথ (সিলেট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২ জুন, ২০২০, ৫:২৫ পিএম

ভয়ঙ্কর মানব পাচারকারি চক্র দালাল রফিকের মাধ্যমে স্বপ্নের দেশ ইতালীর পথে গিয়ে ভুমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবির ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারান অনেক সিলেটি। এই ঘটনার পর সিলেটের বিশ্বনাথের দালাল রফিকের সন্ধান মিলে। বিশ্বনাথ সহ ভিবিন্ন উপজেলায় মামলা হয় তার বিরুদ্ধে। পরপর ৮টি মানবপাচার মামলা হলে সিলেট ছেড়ে পালায় রফিক। ওই সময় আইন শৃঙ্খলার রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হন্য হয়ে খুজলেও তাকে পাওয়া যায়নি। অবশেষে ১লা জুন সোমবার উপজেলার বৈরাগী বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সে উপজেলার কাঠালীপাড়া গ্রামের মৃত চমক আলীর পুত্র।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মানব পাচার মামলায় রফিকুলের মেয়ে পিংকি অনন্যা প্রিয়াকেও গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব। ঈদের আগে জামিন পায় পিংকি। এই সুবাদে বাড়িতে এসেছিলেন রফিকও। বাড়িতেই ঈদ কাটান বলে স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে। সোমবার বিকেলে নিজ বাড়ি থেকেই র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হয়েছে সে। এরপর র‌্যাব সদস্যরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। এক বছর পলাতককালে ঢাকায় ছিলো সে। সেখানে বসেই দেশজুড়ে মানবপাচারের নেটওয়ার্ক গড়েছে।
ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির এ ঘটনায় এ পর্যন্ত র‌্যাব ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে বলেও জানিয়েছেন র‌্যাব-৯ এর সহকারী পুলিশ সুপার ও মিডিয়া কর্মকর্তা ওবাইন রাখাইন। তিনি বলেন, রফিকুলকে গ্রেফতারের পর সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের জালালাবাদ থানায় হস্তাস্তর করা হয়েছে। এর আগে, গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর মানব পাচার মামলায় রফিকুলের মেয়ে পিংকি অনন্যা প্রিয়াকেও গ্রেফতার করেছিল র‌্যাব।
২০১৯ সালের ৯ মে রাতে লিবিয়া থেকে নৌকাযোগে অবৈধভাবে ইতালি যাওয়ার পথে ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৩৭ জন বাংলাদেশি নিহত হন এবং ১৫ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে তিউনিশিয়া কোস্টগার্ড।
এ ঘটনায় নিহত রেদওয়ানুল ইসলাম খোকনের ভাই রেজাউল ইসলাম রাজু বিশ্বনাথ থানায় রফিকুল, তার ছেলে পারভেজ আহমদ, মেয়ে পিংকি ও আরেক মানব পাচারকারী এনামুল হক এনামসহ অজ্ঞাত কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এর পর দেশের আরও পাঁচটি থানায় রফিকুল ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানব পাচারের মামলা দায়ের করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দেশের মানবপাচার চক্রের অন্যতম শীর্ষ আসামি রফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে অস্ত্র দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা ও করেছিল মানবপাচার চক্র।
এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় মানবপাচার চক্রের মূল হোতা রফিকুলের সহযোগী রাজনগর গ্রামের মৃত আতর আলীর পুত্র আবদুল কাদির, রামপাশা গ্রামের মৃত আবদুল মানিকের পুত্র আলী হায়দার মহুরী, বিশ্বনাথ নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আসু মিয়ার পুত্র আবুল কালামকে। এছাড়াও ২০১৯ সালের ১৬ মে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে মামলা হয় রফিকুলের বিরুদ্ধে (মামলা নং-৮)।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন