দক্ষিণাঞ্চলের নৌপথে যাত্রী পরিবহনে সামাজিক দুরত্ব বজায় না থাকায় করোনা ঝুকি বাড়ছে। মালিকগন রুট পারমিটধারী সব নৌযান পরিচালন না করায় কম সংখ্যক নৌযানে বেশী যাত্রী পরিবহনে সরকারী বিধি অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছে না। বিষয়টি নিয়ে ইতোমধ্যে বরিশালের জেলা প্রশাসন সভা করে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরনের কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারন করেছে। বরিশাল নদী বন্দরে পুলিশ ও র্যাব সহ আইনÑশৃংখলা বাহিনী মোতায়েন করে টার্মিনালের ওপরই নির্দিষ্ট সংখ্যক ডেক যাত্রীদের টিকেট কেটে উঠতে দেয়া হচ্ছে। ফলে নৌযানের অভাবে মঙ্গলবার অনেক যাত্রী ঢাকায় যেতে পারেন নি। দুর দুরান্ত থেকে আসা অনেক নারী ও শিশুকে চরম দূর্ভোগে পড়তে হয়েছে।
কিন্তু এরপরেও বিধি অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে না। বরিশালÑঢাকা রুটে রুট পারমিটধারী ৩০টি বেসরকারী নৌযানের মধ্যে প্রতিদিন উভয়প্রান্ত থেকে ১৫টি নৌযান চলাচলর কথা। সেখানে গত ৩দিন ধরে চলছে ৩-৪টি নৌযান। ফলে সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখে যাত্রী বহনের মত নৌযানের অভাবে স্বাস্থ্য ঝুকি বাড়ছে।
বরিশালÑঢাকা নৌপথ ছাড়াও দক্ষিণাঞ্চলের অভ্যন্তরীন ২৮টি রুটে সমস্যা আরো বেশী। ঐসব নৌপথে মূল টার্মিনাল থেকে ছাড়ার পরে পথিমধ্যের স্টেশনগুলোতে বিপুল সংখ্যক যাত্রী ওঠানামা করলেও তা দেখার কেউ নেই।
বিআইডব্লিউটিএ বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ঠ চেষ্টা করেও সফল হতে পারছে না। এরপরেও আইনÑশৃংখলা বাহিনীর সহায়তায় সব ধরনের চেষ্টা চলছে। কিন্তু ফলাফল আশাব্যঞ্জক নয়। এদিকে গত ঈদের আগে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলমুখি জনশ্রোত ও মার্কেট সমুহ খুলে দেয়ার পরে বরিশাল সহ দক্ষিণাঞ্চলে করেনা সংক্রমন এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। বরিশাল মহানগরী ইতোমধ্যে করোনার হটস্পটে পরিনত হয়েছে। নগরীর প্রতিটি এলাকার ঘরেই এখন কোভিড-১৯ রোগী। লক ডাউন প্রত্যাহার সহ গন পরিবহন খুলে দেয়ায় আগামী কয়েক সপ্তাহ পরিস্থিতির আরো অবনতির আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন