বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সরকার সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে--- রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

সরকার পরিবহন সিন্ডিকেটের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, সরকার গোটা জাতির জীবন ও মৃত্যু নিয়ে ট্রায়াল কেস করছে। করোনাভাইরাসের আঘাতে কত মৃত্যু ও আক্রান্ত হবে সেটি সরেজমিনে স্বচক্ষে দেখার জন্য গণপরিবহনসহ অফিস-আদালত খুলে দেয়া হয়েছে। একটি সরকার ম্যাÐেটবিহীন হলেই কেবলমাত্র এধরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। 

রুহুল কবির রিজভী বলেন, শর্তসাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর কথা থাকলেও সেটি কোনক্রমেই বাস্তবায়িত হয়নি। বাস, লঞ্চ, টেম্পু, অটোরিকসাসহ সবধরণের গণপরিবহনেই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষিত হচ্ছে। বাসে ৬০ শতাংশ ভাড়া নেয়ার কথা থাকলেও কোথাও কোথাও ৮০ শতাংশ অথবা এর চেয়েও বেশী ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। লঞ্চে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকা দূরে থাক, সেখানে মানুষের উপচেপড়া ভিড়। এগুলো সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতারই নিদর্শন। সরকার শুধুমাত্র বিরোধী দল ও মতকে নিষ্পেষণ ও নির্যাতনে সক্ষমতা অর্জন করেছে কিন্তু দুর্যোগ, মহামারী, দুর্ভিক্ষ এবং জনসাধারণের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা দিতে সম্পূর্ণরুপে ব্যর্থ হয়েছে।
বাংলাদেশে করোনায় শনাক্ত রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ওঠার হার বিশে^র মধ্যে সবচেয়ে নিম্নে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপরও সবকিছু খুলে দেয়া হয়েছে কার স্বার্থে? সারাদেশকে কি সরকার গোরস্থান বানাতে চায়? সিন্ডিকেটের স্বার্থ রক্ষার জন্যই সরকার সবকিছু করছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, সরকার জনস্বার্থে সফল নয়, কিন্তু দুস্কর্মের সাথী হতে খুবই দক্ষ। কে কোথায় ফেসবুকে কি পোস্ট করছে সেটি হরদম মনিটরিং করছেন সরকারের গোয়েন্দারা। পোস্টগুলোতে সরকারবিরোধী কোন বক্তব্য বা মন্তব্য থাকলেই ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে গুম, নির্যাতন. ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা, গ্রেফতারসহ নানা নির্যাতনের দুঃসহ যন্ত্রণা ভোগ করতে হয়। অথচ এক্সিম ব্যাংকের এমডি-ডিএমডি-কে গুলি করার হুমকি এবং নির্যাতনের জন্য মামলায় অভিযুক্ত শিকদার গ্রুপের ভ্রাতৃদ্বয় নাটকীয়ভাবে দেশ ছেড়ে চলে যেতে সক্ষম হলেন। যখন কোভিড-১৯ মহামারীর জন্য কিছু চাটার্ড বিমান ছাড়া সমস্ত আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ তখন কিভাবে রণ হক শিকদার এবং দিপু হক শিকদার বিদেশে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেন তা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর। এর পেছনে যে ক্ষমতার আশির্বাদ আছে সেটি এখন সুষ্পষ্ট। এটি সম্পূর্ণরুপে স্টেট টেরিরিজম। #

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন