শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মাকে জিম্মি করে মেয়েকে অপহরণ

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

বাগেরহাটের শরণখোলায় মাকে জিম্মি করে অনার্স পড়–য়া এক ছাত্রীকে দলবল নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে গেছে সুজন গাজী (২৯) নামের এক মাদক কারবারী। পুলিশ অপহরণের ১৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়েছে। এব্যাপারে অপহৃত ছাত্রীর পিতা জাহাঙ্গীর হাওলাদার বাদী হয়ে শরণখোলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে অপহরণকারী ও তার দলবলের অব্যাহত হুমকিতে অপহৃত ছাত্রীর পরিবার ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। সমাজের প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা এগিয়ে না আসায় পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

অপহৃতের পিতা উপজেলার মঠেরপাড় গ্রামের জাহাঙ্গীর হাওলাদার জানান, একই গ্রামের মো. ফারুক গাজীর পুত্র সুজন গাজী প্রায় সময় তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতো। গত সোমবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে তিনি বাড়িতে না থাকায় সুজন তার ৬/৭ জন মাদকাসক্ত বন্ধুকে নিয়ে তার বাড়িতে আসে। অপহৃতরা ভয়ভীতি দেখিয়ে তার স্ত্রী ময়না বেগমকে জিম্মি ও আসবাবপত্র তছনছ করে মেয়েকে ফিল্মি স্টাইলে তুলে নিয়ে যায়। এসময় অহৃতদের হামলায় তার স্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হন। তিনি জানান, সুজন ও তার দলবল খুবই দুর্দান্ত। মামলা করলে তারা কেউ বাড়ি থাকতে পারবেন না।
শরণখোলা থানার অফিসার ইন চার্জ এসকে আব্দুল্লাহ আল সাইদ জানান, খবর পেয়ে তারা অভিযান চালিয়ে অপহরণের ১৫ ঘণ্টা পর বানিয়াখালী এলাকা থেকে অপহৃত ছাত্রীকে উদ্ধার করেন। ওই ছাত্রী এখন তাদের হেফাজতে থানায় রয়েছেন। অপহৃত ছাত্রীর পরিবারটি ভয়ে মামলা করতে প্রথমে রাজি হননি। পরে তাদের নিরাপত্তার আশ্বাস দিয়ে বুজিয়ে রাজি করা হয়েছে। গতকাল দুপুরে ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখসহ সুজনের অজ্ঞাত ৫/৬ জন বন্ধুর নামে মামলা দায়ের করেছেন। মাদককারবারী সুজনের বিরুদ্ধে এর আগে শরণখোলা থানায় একাদিক মামলা রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য ও সুজনের মামা মো. জাহাঙ্গীর তালুকদার বলেন, সুজন বখাটে হয়ে যাওয়ার পর থেকে আমরা তার পরিচয় দেইনা। ওই ঘটনার আমরা কোন সমর্থনও দেই না। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আমজাদ হোসেন ৪ জুন, ২০২০, ৬:৫৯ এএম says : 0
১৯৭১ এর মুক্তি যুদ্ধে আমার পরিবার থেকে ৮ জন যুদ্ধে গিয়েছিলো. ২ জন ফিরে এসেছিলো, বাকিরা শহীদ. এই দৃশ্য দেখার জন্য আমরা আমাদের আপনজনদের হারাইনি. বাংলাদেশ আজকে মানুষ বসবাসের উপযুগি নাই.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন