নিজেদের দলীয় সিন্ডিকেটের পকেট ভরতেই সরকার গণপরিবহনের ভাড়া বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, গণপরিবহনে ভাড়ার নৈরাজ্য চলছে। সরকার নির্ধারিত ভাড়ার পরিবর্তে দ্বিগুণের বেশী ভাড়া আদায় করছে বাস কোম্পানিগুলো। নিরুপায় যাত্রা পথে নির্বিচারে পকেট কাটা হচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। আর কোথায় স্বাস্থ্যবিধি, কোথায় সীমিত যাত্রী? বাস তো আগের মতোই চলছে গাদাগাদি করে। বর্তমানে লঞ্চঘাট, বাস স্ট্যান্ড-টার্মিনাল এবং রাস্তাঘাটের দৃশ্য ভয়াবহ, কোথাও স্বাস্থ্যবিধির ন্যূনতম বালাই নেই। জনগণের জীবন নিয়ে বালখিল্য চলছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এসব কথা বলেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, সরকার ঘোষণা করেছিলো মনিটরিং করবেন। কোথায় সেই মনিটরিং-মোবাইল কোর্ট? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের নিজে এই ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে বলেছেন, কিছু পরিবহনের বিরুদ্ধে বাড়তি ভাড়া আদায় এবং স্বাস্থ্যবিধি না মানার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বাসে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিআরটিএ ও সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
রিজভী বলেন, ওবায়দুল কাদের সাহেব নিশ্চয় জানেন, করোনা ভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বের কোন দেশে কোথাও গণপরিবহন ভাড়া এক টাকাও বাড়েনি। এমনকি প্রতিবেশী দেশ-যাদের সাথে এই সরকারের নিবিড় সম্পর্ক তারাও ভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে।
অবিবেচকের মতো সবকিছু খুলে দিয়ে সরকার তামাশা দেখছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, লকডাউনসহ বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির যখন উন্নতি ঘটছে তখন আমাদের দেশে ভয়াবহ আকারে অবনতি হচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু সর্বোচ্চ পর্যায়ে। হাসপাতালে হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে কাতরাচ্ছে করোনা রোগীরা এবং মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে। চারিদিকে এতো উন্নয়নের বুলি, অথচ বাংলাদেশে একটিও আইসিইউ এ্যাম্বুলেন্স নেই। যারা ক্রসফায়ার আর গুমে আদর্শিক চেতনায় লালিত তাদের কাছে জীবনের কোন মূল্য নেই। এক্সিম ব্যাংকের এমডিকে গুলি করার সময় ব্যবহৃত গাড়ি আটক করা হলেও সিকদার গ্রুপের কাউকে গ্রেফতার না করার কঠোর সমালোচনা করেন বিএনপির এই নেতা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন