বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা উপসর্গ নিয়ে ৭২০ জনের মৃত্যু : বিওপি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে প্রকাশিত তথ্য সংশোধন করে আবার তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি (বিপিও)। এটি জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনডিপির আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর জেনোসাইড স্টাডিজের (সিজিএস) একটি প্রকল্প।

২৫টি গণমাধ্যমের সংবাদ বিশ্লেষণ করে গতকাল বৃহস্পতিবার সংশোধনী প্রতিবেদনে বিপিও জানিয়েছে, ২২ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সারা দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের লক্ষণ বা উপসর্গ নিয়ে ৭২০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে করোনাভাইরাসকে কেন্দ্র করে ১৬১টি নির্যাতন ও সামাজিক কলঙ্ক দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শেষ সপ্তাহে এটি ৪৩ শতাংশ কমেছে। দেশের বিভিন্ন জেলায় ১২৫টি বিক্ষোভ হয়েছে। এর মধ্যে ৩৬ শতাংশ ত্রাণসামগ্রী ও কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সহায়তার দাবি এবং বেতন পরিশোধের দাবিতে ৫০ শতাংশ, ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে ৭ শতাংশ। করোনা নিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে ১১৯টি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে সারা দেশে। এতে ১৩ জন মারা গেছেন এবং ৪৬১ জন আহত হয়েছেন।

এর আগে ১৯ মে প্রকাশিত প্রতিবেদনে করোনা উপসর্গ নিয়ে ১০১০ জনের মৃত্যুর কথা জানিয়েছিল বিপিও। এরপর এ নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওযায় গবেষকেরা পুনরায় তথ্য যাচাই-বাছাই করেছে। নতুন প্রতিবেদনে বিপিও বলছে, যাচাই করতে গিয়ে একই মৃত্যুর তথ্য একাধিকবার পাওয়া গেছে। এমন বেশ কিছু মৃত্যুর তথ্য সংশোধন করা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিজিএসের পরিচালক প্রফেসর ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক সংবাদপত্র থেকে তথ্য নিতে গিয়ে একই তথ্যের পুনারাবৃত্তি হয়েছিল, যা সংশোধন করা হয়েছে। তবে করোনা পরীক্ষা আরও বাড়াতে হবে। এ ছাড়া মহল্লাভিত্তিক সচেতনতা তৈরিতে রাজনৈতিক দলগুলো ব্যর্থ হয়েছে বলে মনে করছেন তিনি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, দেশে ৩ জুন পর্যন্ত ৫৫ হাজার ১৪০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭৪৬ জন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Kamal Pasha Jafree ৫ জুন, ২০২০, ১:১৮ এএম says : 0
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্ধন ইলাহি রজিউন ,সংখ্যা আরও অনেক বেশী হবে।
Total Reply(0)
Anonna Ahmed ৫ জুন, ২০২০, ১:১৯ এএম says : 0
পুরো ঢাকা কে ১৫/২০ দিনের জন্য লগডাউন করা উচিৎ বলে আমি মনে করি।
Total Reply(0)
Md Murad Khan ৫ জুন, ২০২০, ১:২০ এএম says : 0
আমরা দুর্বার গতিতে 1000 এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।
Total Reply(0)
Miraz Ahmed ৫ জুন, ২০২০, ১:২০ এএম says : 0
সব বিভাগের লোক তো ঢাকায় আইসাই মরছে। তাহলে ঢাকায় বেশী হবেনা তো কোথায় বেশী হবে।
Total Reply(0)
Imran Khan ৫ জুন, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে মৃত্যুর সংখ্যাও নিশ্চয়ই বাড়বে। ব্রাজিলে যেদিন ৭০০ জন মারা যায়, পরেরদিন ১২০০+ মারা যায়। যুক্তরাষ্ট্রে যেদিন আড়াই হাজার মারা যায় পরেরদিন সাড়ে চার হাজার মারা যায়। ভারত, তুরস্ক, ইরান, রাশিয়াসহ অনেক দেশই সঠিক তথ্য দিচ্ছে না। ভারত একমাস থেকে শোনাচ্ছে প্রতিদিন ১০০-১৫০ জন মারা যাচ্ছে নাকি। বাংলাদেশ সরকার তিনমাস থেকে শোনাচ্ছে আজকে ২০ জন, পরেরদিন ১৫ জন, তার পরের দিন ১৬ জন তারপর ১২ জন। আর সুস্থ হওয়ার যে সংখ্যা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার তাতে মনে হচ্ছে বাংলাদেশই ১০ বছর আগে ভ্যাক্সিন বানিয়ে বসে আছে।
Total Reply(0)
Sharif Islam ৫ জুন, ২০২০, ১:২১ এএম says : 0
করোনার আগে কি এমন উপসর্গ নিয়ে মানুষ মারা যেত; তাহলে এখন যাচ্ছে কেন?! তাহলে কি এইগুলা কালাজ্বর!
Total Reply(0)
Bilkis Fatema ৫ জুন, ২০২০, ১:২৩ এএম says : 0
দোকানপাট এবং অফিস ১০টা থেকে -৪ টা নয়, 24 ঘন্টা খোলা রাখা হোক: কারণ আপনি যখন একটা নির্দিষ্ট সময় ঠিক করে দিবেন, যেমন: ১০ টা থেকে ৪ টা পর্যন্ত, তখন যার যে কাজ করা দরকার, সেটা তো করতে যাবেই- এবং সবাই একসাথে গিয়ে ভীড় করবে। বরং ডাবল/ট্রিপল শিফট চালু করে অফিস ২৪ ঘন্টা খোলা রেখে, বিভিন্ন কাজের সময় ভাগ করে দিন- তাহলে সেবাগ্রহীতা সবাই তো এক কাজে আসবে না, আলাদা কাজে আলাদা সময়েই আসবে। আর বাজার ২৪ ঘন্টা খোলা রেখে, এভাবে ২৪ ঘন্টায় ভাগ করে দিলে ভীড় কম হবে। আর ডাবল/ট্রিপল শিফট চালু করলে, পুরানো কর্মচারীরা নিজেদের ডিউটির সময় ভাগ করে নিবে, তাতে খরচ বাড়বে না। অথবা কাস্টমারের চাহিদা বাড়লে পার্ট টাইম হিসেবে প্রয়োজনীয় সংখ্যক নতুন কর্মচারী নিয়োগ দেয়া যেতে পারে, নতুন কর্মসংস্থানের একটা সম্ভাবনা জেগে ওঠবে। রমযান মাসে ব্যাংকের সময় খুব কমিয়ে দেয়া হয়েছিলো, সেই সময় যারা ব্যাংকে গিয়েছেন, তারা জানেন- সময় কমিয়ে দিলে কী হয়। আর এটা শুধুমাত্র একটা প্রস্তাব। ঈদ মার্কেট তো প্রায় সারা রাতই খোলা থাকে!
Total Reply(0)
Abdur Rafi ৫ জুন, ২০২০, ৭:২৪ এএম says : 0
আর লকডাউন দেয়ার মানে হল জনগণকে হত্যা করা। সব কিছু খুলে দেয়া বাধ্যতা মুলক করা হউক।যার টাকা আছে সে বসে বসে খাক যার টাকা নাই কাজ করুক।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন