শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সক্রিয় করোনা রোগীতে বাংলাদেশ বিশ্বে অষ্টম

সুস্থতার বৈশ্বিক গড় ৪৬, বাংলাদেশ ২১

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২০, ১১:০৯ এএম

গত বছরের শেষের দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হয়েছিল নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সেখান থেকে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে একের পর এক দেশে। সংক্রমণ আর মৃত্যুতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে ইউরোপ-আমেরিকা। ভাইরাসটির নতুন ভরকেন্দ্র এখন লাতিন আমেরিকা আর দক্ষিণ এশিয়া। ইরানসহ কিছু পশ্চিমা দেশে নিয়ন্ত্রণে এসেও ফের ঘটছে বিস্তার। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে প্রায় ৬৬ লাখ মানুষ। এর মধ্যে ৩০ লাখ মানুষ এখনো ভাইরাসটি নিজেদের শরীরে বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে, যাদের সক্রিয় রোগী হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।

সংক্রমণে এখনো বিশ্বের শীর্ষ আক্রান্ত দেশগুলোর তুলনায় পিছিয়ে থাকলেও সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় বাংলাদেশ রয়েছে ওপরের সারিতেই। গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৪ হাজার ৬২১। বাংলাদেশের চেয়ে সক্রিয় করোনা রোগী বেশি আছে মাত্র সাতটি দেশে।

প্রতিবেশী ভারতে করোনা রোগীদের সুস্থতার হার ৪৮ শতাংশের বেশি। বৈশ্বিক গড় সুস্থতার হার যেখানে প্রায় ৪৬ শতাংশ, সেখানে বাংলাদেশে সুস্থতার হার মাত্র ২১ শতাংশ। আক্রান্তের বিপরীতে সুস্থতার হার কম হওয়ায় সক্রিয় রোগীর তালিকায় শীর্ষ দশে ঢুকে পড়েছে বাংলাদেশ। সক্রিয় রোগীর তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে অষ্টম অবস্থানে।

এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে নিশ্চিতভাবে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে করোনা রোগী ছিল ১৯ লাখের মতো, যার মধ্যে সুস্থ হয়েছে প্রায় সাত লাখ। প্রায় ১১ লাখ সক্রিয় রোগী নিয়ে তালিকায় যুক্তরাষ্ট্র আছে শীর্ষস্থানে।

যুক্তরাষ্ট্রের পর সবচেয়ে বেশি সক্রিয় করোনা রোগী আছে ব্রাজিলে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ২ লাখ ৮৫ হাজার। বিপরীতে দেশটিতে ২ লাখ ৬৬ হাজারের বেশি মানুষ এরই মধ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছে। ব্রাজিলে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে ৩২ হাজারের বেশি মানুষের। ২ লাখ ৩১ হাজার সক্রিয় করোনা রোগী নিয়ে তালিকায় তিন নম্বরে অবস্থান করছে রাশিয়া। দেশটিতে দুই লাখের বেশি মানুষ এরই মধ্যে সুস্থও হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে পাঁচ হাজারের বেশি মানুষের।

সক্রিয় করোনা রোগীর তালিকায় বিশ্বে চতুর্থ স্থানে উঠে এসেছে প্রতিবেশী ভারত। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশটিতে সক্রিয় করোনা রোগী ছিল ১ লাখ ৭ হাজার। বিপরীতে সুস্থ হওয়া রোগীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৪ হাজার। ভারতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬ হাজার ৯১ জন করোনাভাইরাসে মৃত্যুবরণ করেছে।

লাতিন আমেরিকার দেশ পেরুতে সক্রিয় করোনা রোগী আছে ১ লাখ ২ হাজার। তালিকায় পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে দেশটি। পেরুতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে প্রায় ৭২ হাজার মানুষ। বিপরীতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় পাঁচ হাজার জনের।

৫৩ হাজার ৩৬৬ ও ৫৩ হাজার ২০১ জন সক্রিয় করোনা রোগী নিয়ে তালিকায় যথাক্রমে ছয় ও সাত নম্বরে রয়েছে পাকিস্তান ও ফ্রান্স। দেশ দুটির মধ্যে সুস্থ রোগীর সংখ্যা ফ্রান্সে বেশি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ফ্রান্সে করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার মানুষ। পাকিস্তানে এই সংখ্যা ৩০ হাজার।

সক্রিয় করোনা রোগীর তালিকায় ইতালিকে ছাড়িয়ে গিয়ে বাংলাদেশ অবস্থান করছে ৮ নম্বরে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ৫৭ হাজার ৫৬৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ১২ হাজার ১৬১ জন। ৪৪ হাজার ৬২১ জন এখনো করোনায় আক্রান্ত।

দেশে যে হারে মানুষ করোনায় শনাক্ত হচ্ছে, সুস্থ হচ্ছে তার চেয়ে অনেক কম। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ২ হাজার ৪২৩ জন। একই সময়ে সুস্থ হয়েছে মাত্র ৫৭১ জন। বিশ্লেষকদের আশঙ্কা, বাংলাদেশে করোনার সংক্রমণ ও সুস্থতার হার যে হারে বাড়ছে, তাতে সক্রিয় রোগীর তালিকায় সামনের দিনগুলোয় আরো কয়েক ধাপ এগিয়ে যাবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Md. Harun Al-Rashid ৫ জুন, ২০২০, ১১:৪৭ এএম says : 0
রেকিং প্রথা করোনার বেলায় দরকার পড়লো কেন? এতো কোন পদক বা বাহাদুরী নয়। এতে আতংক বাড়ে। সুস্হ্য মানুষ দিশেহারা হয়। সফলতার সংবাদে মানুষের সাহস বাড়ে। শুধুু তথ্য দিন।
Total Reply(0)
Mohammed Shah Alam Khan ৫ জুন, ২০২০, ৯:০০ পিএম says : 0
বিশ্বে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তালিকায় বাংলাদেশ ৮ম অবস্থানে এটা অবশ্যই আমাদের জন্যে খুবই খারাপ সংবাদ। বাংলাদেশে করোনায় আক্রান্তের পর আরোগ্যের হার আরো কম এটা আমাদের জন্যে আরো খারাপ সংবাদ। বাংলাদেশ সরকার করোনা পরিস্থিতির প্রথমদিকেই ছিল নিস্কৃয় যেজন্য আজ মাশুল গুনতে হচ্ছে জনগণকে। জাতীর জনক বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চেলেঞ্জ করে বলেছিলেন ‘দেখুন বাঙালী মানুষ হয়েছে’ তার সেই কথা মিথ্যা প্রমাণ করেছে বাঙালীরা আর কবিগুরুর কথাটাই সত্য হয়ে রয়েছে আজও। আমাদের নেত্রী হাসিনা একই কায়দায় কোন আওয়াজ না করে পিতার মত প্রমাণ করতে চেয়েছিলেন বাঙালী মানুষ হয়েছে তাই তিনি এই করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষিত জগতের মত মানবিক কায়দায় বাঙালিরা মানুষ হয়েছে মনেকরে করোনার নিয়ম পালন করাতে চেয়েছিলেন। নেত্রী হাসিনা যদি সত্যই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রবাদটাকে সত্য ধরেনিয়ে ডান্ডা মেরে বাঙালীদেরকে করোনার নিয়ম পালন করাতেন তাহলে আজকের এই দিন জাতীকে দেখতে হতোনা। আল্লাহ্‌ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সত্য বুঝা, জানা এবং সেইভাবে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন