শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশের রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংকের সাড়ে ৩ কোটি ডলারের সাহায্য

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২০, ৩:২৪ পিএম

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য বিশ্বব্যাংক সাড়ে তিন কোটি মার্কিন ডলারের আর্থিক সহায়তার কথা ঘোষণা করেছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল বৃহস্পতিবার এ খবর জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে বিশ্বব্যাংক থেকে যে ১৬ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার অনুদান দেওয়া হয়েছে, এই অনুদান তারই একটা অংশ। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে ডব্লিউএফপি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, রোহিঙ্গাদের কাজের সুযোগ সৃষ্টি ও কমিউনিটিভিত্তিক সেবার কাজে এই তিন কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার ব্যয় করা হবে, যার মধ্যে রয়েছে কোভিড-১৯ বিষয়ক মানবিক সাড়াদানের অংশ হিসেবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সাত লাখ মানুষের জন্য খাদ্য সহায়তা।
কোভিড-১৯-এর কারণে বিভিন্ন বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার পর এই প্রকল্পের আওতায় ক্যাম্পে অত্যন্ত ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য আত্মনির্ভরশীলতার সুযোগ বৃদ্ধি করা হবে ও সামাজিক সুসংগতি বৃদ্ধির লক্ষ্যে তরুণদের জন্য স্বেচ্ছাসেবীভিত্তিক কাজের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, এ ছাড়া সেলফ রিলায়েন্স কার্যক্রমের উদ্দেশ্য হলো, ৬০ হাজার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটানো ও সামাজিক সহনশীলতা বৃদ্ধি করা, স্বল্পমেয়াদি কমিউনিটি সেবাদান, স্বেচ্ছাসেবী সহায়তা ও প্রশিক্ষণ কোর্স দেওয়া। নির্ধারিত কর্মদিবসগুলোর মাধ্যমে তা করা হবে।
এ ছাড়া এর আওতায় ঝুঁকিতে থাকা পরিবারগুলোর জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও আত্মনির্ভরশীলতা সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম পরিচালিত হবে। অতিমাত্রায় ঝুঁকিতে থাকা পরিবার ও ব্যক্তির জন্য এর আওতায় স্বেচ্ছাসেবী নেটওয়ার্কে যুক্ত থাকার জন্য কাজের বিনিময়ে সহায়তা দেওয়া হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ প্রকল্পের ফলে প্রায় ৪০ হাজার বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর পরিবারের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে, যা রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২০ ভাগ। এর মাধ্যমে ক্যাম্পের অবস্থার উন্নয়ন ঘটানোর জন্য বনায়নসহ মানুষের জন্য প্রবেশপথ ও নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়নসহ বিভিন্ন কাজ করা হবে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ কামাল বলেন, ‘আমি আশা করি, এই চুক্তি বাস্তবায়নের মাধ্যমে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর অধিকার রক্ষা হবে ও তাদের সুযোগ-সুবিধার উন্নয়ন ঘটবে।’

বাংলাদেশে নিযুক্ত ডব্লিউএফপির প্রতিনিধি রিচার্ড রেগান বলেন, ‘এই কর্মসূচিগুলো রোহিঙ্গা ও স্থানীয় জনগোষ্ঠী উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। মাঝারি থেকে দীর্ঘমেয়াদি সহনশীলতা ও সামাজিক সুসংগতির উন্নয়নের জন্য মানুষের দক্ষতা, বাজারের সঙ্গে সংযোগ ও দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তার উন্নয়নের জন্য সম্পদ থাকা প্রয়োজন।’
প্রতি মাসে ডব্লিউএফপি আট লাখ ৬০ হাজার রোহিঙ্গাকে খাদ্য সহায়তা দিচ্ছে এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ছয় লাখ মানুষকে সহযোগিতা প্রদান করছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন