বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনার হটস্পট এখন খুলনা

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ জুন, ২০২০, ৬:১২ পিএম

খুলনা মহানগরীতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আর শনাক্ত হওয়া রোগীরা সবাই আলাদা আলাদা এলাকার বাসিন্দা। এতে জালের মত বিস্তৃত ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে করোনা ভাইরাস।

খুলনায় এখন আর বহিরাগত বা তাদের সংস্পর্শে আসা রোগীরাই করোনা আক্রান্ত হচ্ছে না। শহরের সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে এ ভাইরাস। কোভিড চিকিৎসার জন্য একমাত্র হাসপাতালেও জায়গা শেষ পর্যায়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই মুহূর্তে কোন নির্দিষ্ট বাড়ি বা এলাকা নয় পুরো খুলনা কঠোরভাবে লকডাউন দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন নগরবাসী।

এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার একদিনে শুধুমাত্র শহরে ৩০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আর মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯২ জন। রোগীরা পৃথক এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় ছোট শহরের কত জায়গায় লকডাউন করা যায় এমনি প্রশ্ন তুলেছেন স্বয়ং খুলনা সিভিল সার্জন।
খুলনা মেডিকেল কলেজের (খুমেক) পিসিআর ল্যাব ও খুলনা সিভিল সার্জনের দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত জেলায় মোট ১৫২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর মধ্যে মহানগরীর মধ্যে রয়েছে ৯২ জন, দিঘলিয়ায় ২৪ জন, রূপসায় ১৩ জন, ডুমুরিয়ায় ৭ জন, দাকোপে ৬ জন, বটিয়াঘাটা ৩ জন, তেরখাদায় ৩ জন, ফুলতলায় ২ জন পাইকগাছায় ১ জন ও কয়রায় ১ জন। আর করোনায় মারা গেছেন ৪ জন। যার মধ্যে রূপসায় ৩ ও দিঘলিয়ায় ১ জন। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৩৭ জন। পুরোপুরি সুস্থ হয়েছেন ৩৩ জন। মারা গেছেন ৪ জন। তাদের মধ্যে রূপসায় ৩ জন ও দিঘলিয়ায় ১ জন।

খুলনা সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত খুলনায় করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১২২ জন। সন্ধ্যায় খুমেকের পিসিআর ল্যাব থেকে জানতে পেরেছি আরো ৩০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। তারা সকলে খুলনা শহরের বাসিন্দা। এমনকি প্রত্যেকের বাড়ী পৃথক পৃথক এলাকায়। এখন চিন্তার বিষয় আসলে কত জনের বাড়ি লকডাউন করা যাবে। ছোট শহরের এ পর্যন্ত ৯২ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। একজন শনাক্ত হলে তার আশে পাশের কয়েকটি বাড়ী, কখনো ছোট বা সড়ক ধরে লকডাউন করা হয়। তাহলে পৃথক এত জায়গায় লকডাউন করা কিভাবে সম্ভব।

আবার খুলনায় করোনার পরীক্ষার নমুনা দেওয়ার পর ফলাফল পেতে কোন কোন সয়য় ৫দিন পর্যন্ত বিলম্ব হচ্ছে। করোনা ছড়িয়ে পড়ার এটি একটি মূল কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারন ফলাফল পাওয়ার আগ পর্যন্ত সময় পজিটিভ ব্যক্তিরা আশাপাশে ঘুরাঘুরি করে অনেককে সংক্রমিত করছেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন