শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কুমিল্লায় পজিটিভ ঢাকায় নেগেটিভ

করোনার পরীক্ষা

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ৬ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় নাঙ্গলকোটের ৭ চিকিৎসকসহ ৯ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট ঢাকার রোগতত্ত¡, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের (আইইডিসিআর) পরীক্ষায় তাদের সবারই নেগেটিভ রিপোর্ট আসে।
নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নমুনা সংগ্রহকারী দুই ল্যাব টেকনোলজিস্টের করোনা পরীক্ষার ফল কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাব থেকে নেগেটিভ দিলেও পুনরায় ঢাকার আইডিসিআরে পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই দুই ল্যাব টেকনোলজিস্ট নিজেরা করোনা আক্রান্ত হয়েও করোনামুক্ত মনে করে নাঙ্গলকোটে নমুনা সংগ্রহ করেছেন। ফলে তাদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন। গত ২৩ মে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় ১১ জনের মধ্যে ৯ জনের পজিটিভ ও ২ জনের নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছিল। এতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তাদের সন্দেহ হলে তারা পজিটিভ ও নেগেটিভ আসা চিকিৎসক ও কর্মীদের নমুনা আবার সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠান। সেখানে পরীক্ষার পর আইইডিসিআরের পরিচালক ৭ চিকিৎসকসহ ৯ জনকে করোনা মুক্ত ঘোষণা দেন।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. দেব দাশ দেব দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, আইইডিসিআরের পরিচালক ওই চিকিৎসকদের করোনামুক্ত ঘোষণা করে হাসপাতাল খুলে দিতে বলেছেন। কারণ চিকিৎসকদের নমুনা পজিটিভ আসার পর হাসপাতাল লকডাউন করে রাখা হয়েছে। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষার প্রতিবেদনে দেখা যায় নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডা. শায়লা সারনুন, ডা. নুজহাত মিনহাজ, ডা. নাজমুস সালেহীন, ডা. কাজী মাহফুজ হিজভী, ডা. সাব্বির আহমেদ সিদ্দিকী, ডা. মাহাবুব হাসান, ডা. সাইদুর রহমানসহ ৭ চিকিৎসক, স্বাস্থ্য কর্মী তাসলিমা ও মাসুদ হাসানসহ ৯ জনের করোনা পজিটিভ দেখানো হয়। এর মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই টেকনোলজিস্ট হাবিবুর রহমান ও মহিউদ্দিনের করোনা নেগেটিভ দেখানো হয়।
দেবিদ্বার উপজেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আহমেদ কবীর শুকবার দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, কুমিল্লায় নমুনা পাঠালে বেশি পজেটিভ আসে। ৫০টি নমুনা পাঠালে ১৫-২০জন পজেটিভ আসে। ঢাকা থেকে সেটা আসে ৮-১০জন।
সেন্টার ফর সোস্যাল সার্ভিসেসের পরিচালক প্রিন্সিপাল সায়েম মাহবুব বলেন, নাঙ্গলকোটে করোনাভাইরাস পরীক্ষায় ভুল রিপোর্টের ফলে ৬৯ পরিবারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের দেয়া ভুল রিপোর্টের কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স দীর্ঘ ১৪ দিন যাবৎ লকডাউন থাকায় ছয় লাখ মানুষ চিকিৎসা বঞ্চিত হন।
কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াতুজ্জামান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, ভুল হতেই পারে। এতে চিকিৎসকদের কিছু সমস্যা হয়েছে। এনিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাই না।
কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল ডা. মোস্তফা কামাল আজাদ বলেন, পরীক্ষার ৩০ ভাগ বদলে যেতে পারে। তাছাড়া নমুনা সংগ্রহে সতর্ক না হলে কিংবা দেরিতে জমা দিলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যায় না। স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ২৪ ঘণ্টার বেশি নমুনা ভালো থাকে না। প্রতিদিন দুই শিফটে ১৮০ জনের নমুনা পরীক্ষা করতে পারি। মেশিন ও জনবলের সঙ্কট রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন