মতলব দক্ষিণ উপজেলায় দুই ব্যবসায়ী পরিবারে নতুন করে আরো চার জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। এ নিয়ে উপজেলায় ২০ জন করোনা রোগী শনাক্তহলো। শনিবার (৬জুন) উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মতলব পৌরসভার দগরপুর এলাকার জাহাঙ্গীর পাটোয়ারী(৬৫ করোনা উপসর্গ নিয়ে শনিবার(৬ জুন) সকালে মারা গেছে। জোহর নামাজের পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফন- কাফন টিমের সহায়তায় তাঁর দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রশাসন বাড়িটিকে লকডাউন করেছে।
জানা যায়, পূর্বে সংক্রমিত মতলব বাজারের ব্যবসায়ী রাধু সাহা (৭৫) এর স্ত্রী লক্ষ্মী রানী সাহা (৭২), মেয়ে রিংকু সাহা(৩২) ও ব্যবসায়ী নয়ন সাহা (৩৫) এর বাবা রতন সাহা (৭২), মা বনলতা সাহা( ৬৩) এর করোনা পজিটিভ আসে।অপেক্ষামান চারটি নমুনার ফলাফলে চার জনেরই পজেটিভ আসে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে গত ১ জুন আট জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ওই আট জনের মধ্যে আট জনেরই ফলাফল পজেটিভ আসে। এ নিয়ে উপজেলায় ২০জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, দগরপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার পাটোয়ারীর ছেলে জাহাঙ্গীর পা টোয়ারীঢাকায় ব্যাচলর কোয়াটার পরিচালনা করতেন। সেখানে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। দেখাশোনা করার মতো কেউ নেই বলে দুই দিন আগে করোনা উপসর্গ সর্দি-জ্বর,কাশিসহ অসুস্থ হয়ে গ্রামের বাড়ীতে আসে। বাড়ীর লোকজনের কাছে তাঁর অসুস্থতার বিষয়টি গোপন করে। শুক্রবার রাতে বাড়ির লোকজন তাঁর শারীরিক অবনতির বিষয়টি অবগত হয়ে স্বাস্থ্য বিভাগকে জানায়। এ সময়ে তাঁর স্ত্রী ছাড়া ঘরে কেউ ছিল না। পরে আজ শনিবার সকাল ৮ টায় সে মারা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম কাওছার হিমেল বলেন, শহরের কলাদীর ওই দুটি বাড়ি পূর্বেই লকডাউন করা হয়েছে। আক্রান্ত আইসিডিডিআরবি’ র একজন চিকিৎসক,তাঁর মেয়ে ও হিসারক্ষক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে সুস্থ হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির অসুস্থতার বিষয়টি শুক্রবার (৫জুন) জানতে পারি। স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাঁর দাফন হয়েছে। তাঁর স্ত্রীর নমুমা সংগ্রহ করা হয়েছে ও তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন