বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দইয়ে অবসাদের বিদায়!

টাইমস অব ইন্ডিয়া | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিনই বাড়ছে। সে সঙ্গে জ্যৈষ্ঠের প্রচন্ড গরম। এই দুইয়ে মিলে কেউই খুব একটা ভালো যে নেই তা বলার অপেক্ষা রাখে না। লকডাউন না থাকলেও করোনার কারনে অনেকেই ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এতে করে অবসাদ যেন চেপে বসে। আর এমন অবস্থায় চকোলেটের মতোই দই খেলে মন ভালো হয়।
সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে, মন খারাপের সময় এক বাটি দই খেলেই অবসাদের বিদায়! মনের মধ্যে থাকা দুঃখের বিষ তো যাবেই, সেই সঙ্গে মস্তিষ্কের বেশ কিছু রাসায়নিকের ক্ষরণের ফলে নিমেষে মন ভালো হয়ে যাবে।

কিন্তু রাতে মন খারাপ হলে তখন কি করবেন? অনেকেই বলেন, রাতে দই খাওয়া ঠিক হবে না। আসলে এ কথার কোন যৌক্তিকতা নেই। সাধারণত রাতে দই খেলে সেভাবে শরীরে কোনও ক্ষতি হয় না। কিন্তু যাদের সহজেই ঠান্ডা লাগতে পারে তাদের জন্য সন্ধ্যার পর দই না খাওয়াই ভালো। কারণ দই খেলে শরীরে মিউকাস জমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সর্দি-কাশির প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। কিন্তু রাতে দই খেলে বিরাট ক্ষতি হয়ে যাবে এমন কোনও কারণ নেই।

তবে দিনের বেলা শুধু শুধু দই খাওয়া চলতে পারে। কিন্তু যদি রাতে দই খাওয়ার ইচ্ছে জাগে, তাহলে অল্প চিনি বা গোলমরিচ মিশিয়ে দই খেতে হবে। এতে হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত হবে। ফলে গ্যাস-অম্বলের আশঙ্কা কমবে।
গবেষকরা দেখেছেন দইয়ে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়া শরীরে থাকা মাইক্রোবায়োমের চরিত্র এমনভাবে বদলে দেয় যে ডিপ্রেশন বা অবসাদ পালায়। এখানেই শেষ নয়, ডিপ্রেশন বা মন খারাপ তখনই হয়, যখন মস্তিষ্কে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এক্ষেত্রেও দই বিশেষ ভ‚মিকা পালন করে।

মন খারাপ করা হরমোনকে আক্রমণ করতে ‘ফিল গুড’ হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ধীরে ধীরে মন খারাপ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত বেশ কিছু গবষণাতে দেখা গেছে পাকস্থলিতে উপস্থিত মাইক্রোবায়োম মেন্টাল হেলেথর ভালো-মন্দের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। তাই দই এবং মন বা মস্তিষ্কের সম্পর্কটাকেও অস্বীকার করা কোনওভাবেই সম্ভব নয়।

মন খারাপের সময় শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের পরিমাণ কমে যায়। ফলে কাইনুরেনাইন নামে একটি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। যা স্ট্রেস লেভেলকে নিমেষে বাড়িয়ে দেয়। এই সময় যদি কোনও ভাবে শরীরে ল্যাক্টোব্যাসিলাসের মাত্রা বাড়ানো যায়, তাহলেই স্ট্রেস তো কমেই, সঙ্গে উৎকণ্ঠাও কমতে শুরু করে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন