স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে সদ্য মেরামত করা বেদকাশির রত্মাঘেরির বেড়িবাঁধের রিংবাঁধটি আবারো ভেঙে গেছে। গত শুক্রবার দুপুরে জোয়ারের পানির চাপে বাঁধটি ভেঙে যায়। ফলে লোনা পানিতে বেদকাশি, বড়বাড়ি, রত্মা, কাটকাটা, পাথরখালিসহ অন্যান্য এলাকায় ঘরবাড়ি, গবাদিপশু, ক্ষেতখামার ও মাছের ঘের তলিয়ে যায়। কিছুদিন আগে আম্পানে বাঁধটি ভেঙে যাওয়ার পর স্থানীয় জনগণ স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে আবারো এটি মেরামত করে।
উত্তর বেদকাশি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ সরদার নুরুল ইসলাম কোম্পানি অভিযোগ করে বলেন, আম্পানের জলোচ্ছ্বাসে পাউবোর গাজীপাড়া, হাজতখালি, কাশিরহাট, পুটিঘেরি ও রত্মা বেড়িবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল। দলমত নির্বিশেষে স্বেচ্ছাশ্রমে বিপুলসংখ্যক মানুষ বাঁধ মেরামত কাজে অংশ নিয়ে কাশিরহাট, পুটিঘেরি ও রত্মাঘেরিতে রিংবাঁধ দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনো পর্যন্ত মেরামত কাজে কোনো সহযোগিতা করেনি বলে ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে তৈরি করা রত্মা ও পুটিঘেরির রিংবাঁধ মজবুত করে মেরামত করতে পাউবো কর্মকর্তাদের বার বার অনুরোধ করার পরও তারা কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি আরো বলেন, বাঁধের মূল অংশ মেরামত করবে সেনাবাহিনী আর রিংবাঁধ মেরামতের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। অথচ ১৪ দিন পার হলেও পানি উন্নয়ন বোর্ড রিংবাঁধ মেরামতে কোন ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। তাহলে নতুন করে এলাকা প্লাবিত হতো না। ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতে প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেন।
এ ব্যাপারে পাউবোর সেকশন কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আম্পানে ভেঙে যাওয়া বেড়িবাঁধ মেরামত কাজে সরকার সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দিয়েছেন। পাউবো সেনাবাহিনীর কাজে সহযোগিতা করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন