জমিতে ঘাস চাষের প্রচলিত ধারণা বদলে ঘরের ভেতরে মাটি ছাড়া কেবল পানি ছিটিয়ে পশুখাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব। রাজশাহী শহরের সওদাগর এগ্রোর আরাফাত রুবেল তার বাড়িতে বদ্ধ ঘরেই ঘাস চাষ করেছেন।
রুবেল জানান, এই ঘাস গাভীর জন্য অত্যন্ত পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ একটি খাদ্য। হাইড্রোফনিক (মৃত্তিকাবিহীন জল চাষ বিদ্যা) ফডার নামের এই প্রযুক্তিতে পশুখাদ্য উৎপাদনে খরচ কম। এই খাদ্যে বাজারের দানাদার ও মাঠের সবুজ ঘাসে প্রায় সব পুষ্টি গুণ উপাদান রয়েছে। এই ঘাস তৈরিতে যেকোনো ধান গম অথবা ভুট্টা বীজ হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে গরু-ছাগলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিসহ দুধের পরিমাণও বাড়ে।
প্রতিদিন গরুকে পুষ্টিকর খাদ্য দেয়া বিরাট চ্যালেঞ্জ। বাজারে দানাদার খাদ্যে গুণগত মান সব সময় ঠিক থাকে না। সে জন্য গরুর বদহজমসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ ছাড়া মাঠে লাগানো ঘাসে কৃমি ও শামুকের কারণে পশুর রোগব্যাধি হয়। এই ঘাস ব্যবহারে গরুর দুধে ননি ও ঘনত্ব ২০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়।
এককেজি বীজ থেকে ৯ দিন পরে ৮ থেকে ১০ কেজি তাজা ঘাস পাওয়া যায়। পাঁচ বিঘা জমিতে যে পরিমাণ ঘাস উৎপাদিত হয়, তা মাত্র ৩০০ বর্গফুটের একটি টিনশেডের ঘরে সেই পরিমাণ হাইড্রোফনিক ঘাস উৎপাদন করা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন