শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ঢামেকের গেটে মাকে ফেলে গেল ছেলে

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনাভাইরাস আতঙ্কে এক মাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের গেটের সামনে ফেলে রেখে যায় তার ছেলে। গতকাল বিষয়টি জানাজানি হলে হাসপাতাল ক্যাম্পের পুলিশ ওই নারীকে উদ্ধার করে করোনা ইউনিটে ভর্তি করে। তবে শ্বাসকষ্ট থাকলেও গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি মনোয়ারা বেগম ওরফে মনিরার (৫০) করোনা পজেটিভ কিনা।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় গতকাল বিকেল পর্যন্ত ঢামেকের করোনা ইউনিটে ২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এদের মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যরা করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত শুক্রবার ২৩ জনের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে গত ৩৬ দিনে ঢামেকের করোনা ইউনিটে ৪৭০ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী ইনচার্জ এএসআই আব্দুল খান সাংবাদিকদের জানান, গতকাল দুপুরে খবর পাই এক নারী হাসপাতালের নতুন ভবনের সামনে পড়ে আছেন। তার ছেলে করোনা আতঙ্কে তাকে ফেলে রেখে গেছে। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে করোনা ইউনিট নতুন ভবনের ৭০২ নম্বর ওয়ার্ডের ১০ নম্বর বেডে ভর্তি করা হয়। তার স্বামীর নাম শাহজাহান মিয়া। স্থায়ী ঠিকানা ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার জয়রামপুর গ্রামে। ঢাকায় পরিবার নিয়ে মিরপুর কমার্স কলেজের পাশের একটি বস্তিতে সালাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া থাকেন।

ভুক্তভোগী মনিরার বরাত দিয়ে আব্দুল খান জানান, স¤প্রতি তার শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। পরে বাড়িওয়ালা সালাম তার সন্তানদের বলেন, তাকে ওই বাড়ি থেকে অন্য কোথাও নিয়ে যেতে। এরপর ছেলে মোজাম্মেল সরকার ও বাড়িওয়ালা সালাম দুই দিন আগে মনিরাকে ঢামেকের নতুন ভবনের সামনে ফেলে রেখে যায়। তখন থেকে ঝড়-বৃষ্টিতে ভিজে এ নারী এখানেই পড়ে আছে বলে জানান আশপাশের অ্যাম্বুলেন্স চালকরা।

মনিরার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢামেকের নতুন ভবনের ওয়ার্ড মাস্টার আবুল হোসেন জানান, ওই নারীকে ভর্তি করা হয়েছে। তার শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। এখন তার কিছু টেস্ট করা হচ্ছে। করোনা টেস্ট করা হচ্ছে, রিপোর্ট পেতে কিছুটা সময় লাগবে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে ওই মহিলার করোনা হয়েছে না অন্য কোন শারীরিক সমস্যা রয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Shabbir Khilogramy ৭ জুন, ২০২০, ৫:৪২ এএম says : 0
What a heartbreaking story
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন