শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য শুরু

বেনাপোল অফিস | প্রকাশের সময় : ৭ জুন, ২০২০, ৫:৪০ পিএম

দীর্ঘ আড়াই মাস বন্ধ থাকার পর আজ রোবাবার বিকেল থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত -বাংলাদেশ আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য শুরু হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে স্বাস্ত্য বিধি মেনেই ট্রাক চালকরা বেনাপোল বন্দরে পন্য নিয়ে প্রবেশ করছে।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় ২৩ শে মার্চ থেকে বেনাপোল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে যায়। আমদানি-রপ্তানি চালু করার জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বারবার পত্র দিলেও পশ্চিমবংগে করোনার রেড জোন থাকায় তৃণমূল সরকার আমদানি-রপ্তানির চালুর অনুমতি দেননি।
চতুর্থ দফা লকডাউন চালু করার পর কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে লকডাউন তুলে নিয়ে আনলক অন পদ্ধতি চালু করেছে। সে সুবাদে পশ্চিমবাংলা সরকার এবং পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ প্রশাসনের সাথে দফায় দফায় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করে আমদানি রফতানি চালুর সিদ্ধাšত গ্রহণ করেন।
বিকেল থেকে এ পর্যন্ত হিরো হোন্ডা মোটর সাইকেলের ২৪ ট্রাক মালামাল ভারত থেকে বেনাপোল বন্দরে এসে পৗছেছে।
ইতিপূর্বে বেনাপোল বন্দর কাস্টমস এবং বিভিন্ন ব্যবসাযীরা একাধিকবার পেট্রাপোল আমদানি রপ্তানি সমিতি এবং নানা সংগঠনের সাথে বারবার বৈঠক করেও আমদানি-রপ্তানি চালু করা যায়নি'। এক পর্যায়ে ভারতীয়রা জিরো পয়েন্টে আমদানি রপ্তানি করার জন্য বাংলাদেশকে অনুরোধ করেন । কিন্তু জিরো পয়েন্টে আমদানি রপ্তানি করার মতো পর্যাপ্ত যায়গা না থাকায় বা কোন লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় সেটা সম্ভব হয়নি।

ভারতের পেট্রাপোল বন্দরে সিএন্ড এফ এজন্ট স্টাফ এসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক শ্রী কার্তিক চন্দ্র জানান, প্রেট্রাপোল বšদরে প্রাায় আড়াই হাজার ট্রাক মাল বোঝাই করে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় পড়ে আছে । দির্ঘদিন পড়ে থাকায় ইতিমধ্যে ট্রাকে থাকা পণ্যের গুনগত মান নস্টের পথে। অনেক ট্রাকের ব্যাটারি,টায়ার ইত্যাদি নষ্ট হয়ে গেছে সে কারণে একটু ধীর গতিতে আমদানি রপ্তানি হবে বলে তিনি জানান । তবে আগামিকাল সোমাবার থেকে পূর্বের মত আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম চলবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, রোববার বিকেলে থেকে পুনরায় দু দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বানিজ্য শুরু হয়েছে। দু দেশের কাস্টমস ,বন্দর, ইন্ডিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স , সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশন , প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে অনুষ্ঠিত দীর্ঘ ফলপ্রসু বৈঠকে আমদানি রফতানি বানিজ্য পুনরায় শুরু হয়েছে।
খবর শুনে পেট্রোল এবং বেনাপোল বন্দরের হাজার হাজার বন্দর শ্রমিক কিছুটা স্ব¯িতর নিঃশ্বাস ফেলেছে। দীর্ঘ দুই মাসের অধিক সময় বন্দরে কাজকর্ম বন্ধ থাকায় মানবতার জীবন যাপন করছিল তারা। আমদানিকারকরাও স্ব¯িত প্রকাশ করেছেন আমদানি-রপ্তানি চালুর খবর শুনে ।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক মামুন তরফদার জানান, রোববার বিকেল থেকে দু দেশের মধ্যে আমদানি রফতানি বানিজ্য পুনরায় চালু হয়েছে। পিপি ও মাস্ক ব্যবহার করে তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে স্বাস্ত্য বিধি মেনেই ট্রাক চালক ও হলপাররা পন্য নিয়ে বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করছে। আমরা সব ধরনের সাপর্ট দিচ্ছি তাদের পণ্য দ্রুত বন্দরে লোড আনলোড করার জণ্য।
বেনাপোল কাস্টম কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকৃতি ভারতীয় পণ্যের চাহিদা মেটাতে ভারত থেকে বেনাপোলে রেলকার্গো চালু এখন সময়ের দাবি। আমদানিকারকের সামনে মুক্তবাজার অর্থনীতি, বিকল্প পণ্য, বিকল্প দেশ উন্মুক্ত। বহু আমাদানিকারক বেনাপোল থেকে চট্রগ্রাম, মোংলা ও অন্যান্য বন্দরে চলে গেছে। দু দেশের উ্চ্চ পর্যায়ের হস্থক্ষেপে স্থলপথে পুনরায় আমদানি রফতানি শুরুর বিসয়টি ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বানিজ্যিক ভাবে।
৩৫ হাজার কোটি টাকা আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য কিছু লোভী ও দুর্বৃত্ত ব্যক্তির খামখেয়ালের ওপর নির্ভরশীল হয়ে চলতে পারে না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন