নাটোরের লালপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানসহ ৩ দফা ঝড়বৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে চাষ করা পাট, তিল, ভুট্টা, মুগডালের জমিতে পানি জমে নষ্ট হয়ে গেছে ফসল। ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কৃষক। তবে কৃষি বিভাগ আম্পানে লালপুরে আম, লিচু, কলা ও পেপেসহ প্রায় ২০ কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করলেও সম্পূর্ণ ক্ষয়ক্ষতি এখনও নিরুপণ করতে পারেনি। আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ার পর জমির পানি নেমে গেলে তেমন ক্ষতি হবে না বলে দাবি তাদের। লালপুর উপজেলায় কৃষকরা শীতকালীন ফসল গম, মসুর ও রসুুন ঘরে তোলা শেষে এই মৌসুমে পাট, তিল, মুগডাল ও ভুট্টার চাষ করে থাকে। উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২১৮০ হেক্টর জমিতে মুগ, ৫০৫ হেক্টর জমিতে তিল, ৫৮৮০ হেক্টর জমিতে পাট, ৯০ হেক্টর জমিতে ভুট্টা, ১০০ হেক্টর জমিতে কলা, ৪৫ হেক্টর জমিতে মরিচ, ৯০০ হেক্টর জমিতে সবজি, ২০০ হেক্টর জমিতে হলুদ চাষ রয়েছে। এছাড়াও ৭ হেক্টর জমিতে আউশ বীজতলা ও ২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন, ১২০ হেক্টর জমিতে বোনা আমন রয়েছে।’
সরেজমিনে উপজেলার আড়বাব, চংধুপইল, কদিমচিলান ও ওয়ালিয়া ইউপির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিল, মুগডাল, ভুট্টা ও পাটের জমিতে পানি জমে রয়েছে। তিল, মুগডালের গাছ মরে গেছে, ভুট্টা গাছের পাতা ও গাছ মরে সাদা হয়ে আছে। পাটের গাছ ঝিমিয়ে রয়েছে।
উপজেলার প্রায় কৃষকই একই কথা বলছেন। তাদের অনেকেই এনজিওর টাকায় জমি লিজ নিয়ে চাষ করেছিলেন। কিন্তু অসময়ের বৃষ্টিতে সব ফসল নষ্ট হয়ে যাওয়ায় তারা সর্বস্বান্ত হতে বসেছেন। সরকারি প্রণোদনা না পেলে তারা আগামী বর্ষা মৌসুমের রোপা আমন ধানের চাষ করতে পারবেন না। না খেয়ে দিন কাটাতে হবে অনেক কৃষক পরিবারের।
লালপুর উপজেলা কৃষি অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, এ বছর আগাম বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। তবে পানি নামতে শুরু করায় অনেক পাট ক্ষেত স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। উপসহকারী কর্মকর্তাগণ ক্ষয়ক্ষতি নিরুপণে কাজ করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন