শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

সক্রিয় দেশিয় দালাল গ্রেফতার ৯

ট্যুরিস্ট ভিসায় মানবপাচার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

মানবপাচারে সক্রিয় দেশিয় দালালরা প্রথমে ঢাকায় অবস্থান নেয়। পরে বেনগাজিতে মানবপাচারের জন্য স্থানীয় দালালদের কাছ থেকে পাসপোর্টগুলো স্ক্যান করে সফট কপি দুবাই এবং লিবিয়াতে পাঠায়। সেখান থেকে ট্যুরিস্ট ভিসা এবং অন অ্যারাইভাল মোয়াফাকা সংগ্রহ করার পরে বেনগাজিতে ক্যাম্পে নির্ধারণ করে।
এরপর বিভিন্ন চুক্তিতে ভিকটিমদের লিবিয়া পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করে দালালরা। গতকাল সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন। এ সময় জানানো হয় মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে চাঞ্চল্যকর তথ্য উদঘাটন করা হয়েছে। মানবপাচারে জড়িত থাকায় মহিলাসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি।
পুলিশ জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকার বিভিন্ন স্থানে ডিএমপি ও সিআইডি ৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাদশা মিয়া, জাহাঙ্গীর মিয়া, আকবর আলী, সুজন, নাজমুল হাসান, লিয়াকত শেখ ওরফে লিপু, সোহাগ হোসেন, খালিদ চৌধুরী ও মোছা. সানজিদা। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে চারটি পাসপোর্ট, দুইটি মোবাইল ফোন ও টাকার হিসাব সম্মলিত দুইটি নোট বুক উদ্ধার করা হয়।
ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, লিবিয়া এবং ইতালিতে অভিবাসী হতে যাওয়া শত শত বাংলাদেশি বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনে আহত, নিহত ও নিখোঁজ হয়েছেন। এসব ঘটনায় ভিকটিমদের আত্মীয়স্বজনদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ এবং ডিএমপির পল্টন ও তেজগাঁওয়ে মামলা করা হয়।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মো. আবদুল বাতেন বলেন, মানবপাচারের ঘটনায় ভিকটিমদের ভারত, দুবাই, মিশর হয়ে লিবিয়ায় পাচার করার পরিকল্পনা, প্রক্রিয়া এবং ক্ষেত্র বিশেষে ঢাকা বিমানবন্দর ব্যবহার করার কারণে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ দায়েরকৃত মামলাসমূহের ছায়া তদন্ত শুরু করে। যারা আত্মগোপনে আছে তাদের ধরার চেষ্টা চলছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন