বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

অর্থপাচার ও চাঁদাবাজির মামলা ৯ মাস পর

ক্যাসিনোকান্ড-মালেশিয়ায় সেকেন্ড হোম ভিসা

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

ক্যাসিনোকান্ডে সম্পৃক্ততার অভিযোগে গ্রেফতারের প্রায় ৯ মাস পর বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সিআইডির পক্ষ থেকে গত রোববার বিকেলে ডিএমপির মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন সিআইডির অর্গানাইজড ক্রাইমের (ইকোনমিক ক্রাইম স্কোয়াড) পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন। গতকাল সকালে সিআইডি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফারুক হোসেন মামলার এ তথ্য জানান। 

গত বছরের ১৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীর গুলশানের বাসা থেকে ক্যাসিনো গডফাদার যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। খালেদ একাধিক মামলায় এখনও কারাগারে রয়েছেন। মামলার অপর আসামিরা হলেন- আইয়ুব রহমান, আবু ইউনুস ওরফে আবু হায়দার, দীন মজুমদার ও অজ্ঞাত আরও কয়েকজন। তবে অপর আসামিরা অর্থ পাচারে খালেদকে সহযোগিতা করেছেন বলে জানা যায়।
মামলার বাদী পুলিশ পরিদর্শক ইব্রাহিম হোসেন বলেন, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে গ্রেফতারের পর সিআইডি তার বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের অভিযোগ তদন্ত শুরু করে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে খালেদের বিরুদ্ধে অর্থ পাচার ও চাঁদাবাজির বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া যায়। এরপর সিআইডির পক্ষ থেকে মামলা করা হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রভাব খাটিয়ে চাঁদাবাজি করতো খালেদ। এ ছাড়া মতিঝিল ফকিরাপুলে ক্লাবে অবৈধভাবে ক্যাসিনো চালিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। খালেদ মাহমুদ অবৈধ অর্থ জনৈক আইয়ুব রহমানকে ব্যবহার করে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশে টাকা পাচার করেছেন। তদন্তকালে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডের চারটি এটিএম ডেবিট কার্ড জব্দ করা হয়। ২০১৮ সালের মে মাসে মালয়েশিয়ার মাই ব্যাংক ও আরএইচবি ব্যাংকে হিসাব খোলেন খালেদ। এই দুটি ব্যাংকের মালয়েশিয়ায় কেএলসিসি শাখায় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট টাকা জমা দেখা যায়, ২৫ লাখ ৫৭ হাজার রিঙ্গিত। যার দুটি হিসেবে ২২ লাখ ৫৭ হাজার রিঙ্গিত এবং দুটি এফডিআরে তিন লাখ রিঙ্গিত পাওয়া যায়। তার জব্দকৃত পাসপোর্টের ভিসায় মিস মাই টু হোম লেখা আছে।
সিআইডির পক্ষ থেকে গতকাল আরো বলা হয়েছে, সিঙ্গাপুরে খালেদ অর্পণ ট্রেডার্স পিটিসি লিমিটেড নামে একটি ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য বিপণনী প্রতিষ্ঠান খোলেন। যার রেজিস্ট্রেশন হয় ২০১৭ সালের ২৩ অক্টোবর। ওই মাসেই সিঙ্গাপুর ইউনাইটেড ওভারসিজ ব্যাংকে তার মালিকানাধীন কোম্পানির নামে একটি হিসেব খোলেন। ওই অ্যাকাউন্টে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ লাখ ৫ হাজার সিঙ্গাপুর ডলার জমা থাকার হিসাব পাওয়া যায়। এসব টাকা বাংলাদেশ থেকে আরেক আসামি আইয়ুব রহমানের মাধ্যমে হুন্ডি করে পাচার করা হয়েছে বলে উঠে আসে তদন্তে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক ব্যাংকে ২০১৮ সালে খালেদের নামে খোলা অ্যাকাউন্টে ১০ লাখ থাই বাথ জমা রাখার তথ্য পাওয়া গেছে। এসব টাকাও আইয়ুব রহমানের মাধ্যমে হুন্ডির করে পাচার করা হয়। তিন দেশের চার ব্যাংকে মোট ৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা সমমূল্যের বৈদেশিক মদ্রা পাচার করেছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Neem&Neem ৯ জুন, ২০২০, ১:৩৯ এএম says : 0
punishment is...life long in jail.
Total Reply(0)
Feroz Mahamud ৯ জুন, ২০২০, ১:৩৯ এএম says : 0
শুধু খালেদ নয় এভাবে হাজার খালেদ আছে ধরা ছোয়ার বাহিরে
Total Reply(0)
Shoeb Robin ৯ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
বেচারা শুকিয়ে গেছে! আহারে মিসকিন
Total Reply(0)
Alaudin Alo ৯ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
সব বাজেয়াপ্ত করে অসহায় মানুষের মাঝে বিলিয়ে দেওয়া হোক
Total Reply(0)
Samir Dey ৯ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
এমন ছাত্রলীগ নেতা আরও কত আছে তার ঠিক নেই, তবে সারাদেশ ব্যাপী সিআইডির তদন্তে নামা উচিৎ, তাহলে দেশে প্রবৃদ্ধির হার বেড়ে যাবে।
Total Reply(0)
Nasru Hauq ৯ জুন, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
এই লোকদের জন্য আজ সারা বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বে আওযামীলিগের দুর্নাম হচ্ছে। তাঁরা শুধু নিজের পকেটের জন্য আওযামীলিগ করে থাকে।
Total Reply(0)
Iftekhar Rahman ১০ জুন, ২০২০, ৩:০৬ এএম says : 0
গণপূর্ত অধিদপ্তর রাজউক এর অন্যতম টেন্ডারবাজ এই খালেদ অনেক লোকের জীবন ও ব্যবসা নষ্ট করেছে এই খালেদ ,ওর অনেক লোকজন এখনও ছদ্মবেশে এই দপ্তরে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করে,যার মধ্যে নুরুন্নবী রাজু, গোপালগঞ্জ এর রুবেল, জুয়েল, সাইফুল্লাহ অন্যতম তারা বিগত দিন থেকে আবু কাওসার মোল্লার শেল্টার এ অবৈধ কাজ করে এবং এখনও করছে, বিষয় গুলো তদন্ত করার অনুরোধ রইল। এদের নামে শাহবাগ থানায় মামলা দায়ের রয়েছে।
Total Reply(0)
জনৈক ভুক্তভুগী ১৩ জুলাই, ২০২০, ৫:৪৯ এএম says : 0
এই লোকের মত খারাপ লোক আমি রাজনীতি আঙ্গনে খুব কম ই দেখেছি।মাথায় আসে না এমন লোক কিভাবে এতদিন ধরে আওয়ামী যুবলীগের উচ্চপর্যায়ের স্থানে ছিল।এই খালেদের মুখের ভাষা কতটা যে খারাপ যে বলে ভাষায় বুঝাতে পারবো না।সারাক্ষন থাকে ইয়াবার নেশায় বুদ হয়ে।ভালো করে একটা সমাবেশে বক্তিত্তাও দিতে পারে না।এর চাঁদাবাজির থাবায় এলাকার ইটভাঙ্গা দরিদ্র শ্রমিকরাও বাদ যেতে না।আর এর ক্যাডার বাহিনী ছিলো এলাকার আতঙ্ক।খালেদের বিপক্ষে কিছু বললেই তাদের দ্বারা চলতো সিমাহিন অত্যাচার।এর উপযুক্ত সাজা চাই।চাই এই জীবনে যেন গারদ থেকে আর বের হয়ে না আসে।আর সরকার যেন তার কুকর্মের সাথি উত্তর শাহজাহানপুরের উজ্জল,রুবেল,কবির,মাসুম,সজীব,সুমন,মনসুর গংদের অচিরে গ্রেফতার করে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন