শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই আ’লীগ নেতা টিসিবির মালও বিক্রি করেছেন কালোবাজারে, ম্যাজিষ্ট্রেটের অভিযানে জব্দ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৯ জুন, ২০২০, ৭:০৪ পিএম

এবার টিসিবি’র মাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ মিললো এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামীলীগের সেই আলোচিত নেতা আলহাজ্ব মো: শাহআলমের বিরুদ্ধে। স্থানীয় এক মুদি দোকানীর কাছে বিক্রি করা সেসব মালামাল জব্দ করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট (জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার) সন্দ্বীপ তালুকদারের নেতৃত্বে শহরের কাউতলী মসজিদপাড়ার লোকমান হোসেনের(৪৫) দোকান সংলগ্ন বাসায় অভিযান চালিয়ে টিসিবি’র এসব মালামাল পাওয়া যায়। জেলা আওয়ামীলীগের শিল্প ও বানিজ্য সম্পাদক মোঃ শাহআলম এরআগে করোনা পরিস্থিতিতে সরকারের দেয়া বিশেষ ওএমএস কেলেংকারীতে আলোচিত হন। জেলা শিল্প ও বনিক সমিতির পরিচালক পদে থাকা এই নেতা ভিক্ষুক, ভবঘুরে শ্রেনীর লোকজনের বদলে নিজের স্ত্রী, কন্যাসহ ১৩ স্বজনের নাম তালিকাভূক্ত করেন। একজন ওএমএস ডিলার হয়ে এই অনিয়মে জড়িত হওয়ায় মে মাসে তার ডিলারশীপ বাতিল করে জেলা ওএমএস কমিটি। টিসিবি’র ডিলার হিসেবেও ভোক্তাদের বঞ্চিত করার অভিযোগ ছিলো তার বিরুদ্ধে আগে থেকে। স্থানীয়দের অভিযোগ তার নামে বরাদ্দ আসা মালামাল নামমাত্রই খোলাখুলি বিক্রি করেছেন। মঙ্গলবার ওই অভিযানে যার সত্যতা বেরিয়ে এলো। দোকানী লোকমান হোসেন তার লিখিত জবানবন্দীতে জানান, ১৫ দিন আগে কাউতলীর আবদুল মালেকের ছেলে টিসিবি’র ডিলার মোঃ শাহআলমের কাছ থেকে এসব মালামাল ক্রয় করেন। তার বাসা থেকে জব্দ করা মালামালের মধ্যে রয়েছে ২৪ বস্তায় থাকা ১২’শ কেজি চিনি, ৪বস্তা (২’শ কেজি)মশুরী ডাল এবং ৩ বস্তায় থাকা দেড়শো কেজি ছোলা বুট। নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সন্দ্বীপ তালুকদার জানান, মালামালগুলো টিসিবি’র কিনা তা যাচাই করা হচ্ছে। যাচাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। উদ্ধার হওয়া মালামাল পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পদ দখলে নিয়ে অপকর্মে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে এই নেতার বিরুদ্ধে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সর্বশেষ কার্যকরী কমিটির সাধারন সম্পাদক। সর্বোচ্চ ব্যবসায়িক সংগঠন এফবিসিসিআই’র সদস্য পদও রয়েছে তার। জেলা রেস্তোরা মালিক সমিতির নেতা হিসেবে ব্যবসায়িক বিভিন্ন সংগঠনে জায়গা করে নিলেও তার নিজের কোন হোটেল-রেস্তোরা না থাকার অভিযোগ রয়েছে। তারপরও তিনি জেলা রেস্তোরো মালিক সমিতির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক পদ আগলে রেখেছেন বেশ ক’বছর ধরে। প্রধানমন্ত্রীর কার্য়ালয়ের উদ্যেক্তা সৃষ্টি প্রকল্পের জেলা পরিচালনা পরিষদের সদস্য শাহআলম। জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য, জাতীয় অন্ধ কল্যাণ সমিতির সাধারন সম্পাদক, সুইড ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কাউতলী শহীদ লুৎফুর রহমান সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতির পদও তার দখলে। এইচএসসি পাশ হয়ে তিনি এই পদ দখল করে রেখেছেন। জেলা জামে মসজিদ কমিটির যুগ্ম সম্পাদক পদেও রয়েছেন তিনি। নিজ গ্রাম কাউতলীর ঈদগাহ মাঠের প্রতিষ্ঠাতা সাধারন সম্পাদক, কাউতলী কবরস্থান কমিটির সাধারন সম্পাদক শাহআলম। আর তাতেই অনিয়মে বেপড়োয়া হয়ে উঠেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন