বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

জাপানে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ছুরি নিয়ে হামলায় নিহত ১৯

পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর হামলাকারী গ্রেফতার

প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১:৩৮ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০১৬

জাপানে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রের বাইরে পুলিশের বেষ্টনী


ইনকিলাব ডেস্ক : জাপানের একটি প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ছুরি নিয়ে হামলা চালানো ব্যক্তি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পর তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাতে চালানো ওই হামলায় অন্তত ১৯ জন নিহত হয়। এতে আহত হয়েছে আরো অন্তত ২৫ জন। আহতদের মধ্যে ২০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে পুলিশের পক্ষ তেকে জানানো হয়েছে।
জাপান টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, কানাগাওয়া পুলিশ সাতোশি উয়েমাতসু নামে ২৬ বছরের ওই হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে। উয়েমাতসু নিজেই সুখুই পুলিশ স্টেশনে এসে আত্মসমর্পণ করেন। উয়েমাতসু এই প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করে চাকরি ছেড়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৩ টার দিকে আত্মসমর্পণ করে হামলাকারী স্বীকার করে বলেছেন আমি এটা করেছি। হামলাকারী পুলিশকে আরও বলেন, প্রতিবন্ধীরা না থাকলেই ভালো। পুলিশ জানিয়েছে, উয়েমাতসু শহরের সাগামিহারার সেবাকেন্দ্রের একজন সাবেক কর্মী এবং শহরেই তিনি বসবাস করতেন। আত্মসমর্পণের সময় তার ব্যাগে একাধিক ধারালো ছুরি ছিল। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি রক্তাক্ত ছিল। খুনের উদ্দেশ্য ও অননুমোদিতভাবে একটি ভবনে প্রবেশের প্রাথমিক অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। সুখুই ইমায়াইউরি এন (সুখুই লিলি গার্ডেন) প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে গত সোমবার রাত আড়াইটায় ছুরিকাঘাতের ঘটনার কারণ জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার সকালে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে কুনাগাওয়া গভর্নর ইউজি কুরিওয়া নিহত ও তাদের পরিবারের প্রতি শোক ও দুঃখ প্রকাশ প্রকাশ করেছেন। নিহতদের পরিবার ও আহতদের যে কোনও ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, উয়েমাতসু এই প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ২০১২ সালের ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করেছেন। কেন তিনি চাকরি ছেড়ে দেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। এর আগে অপর এক খবরে বলা হয়, জাপানে প্রতিবন্ধী সেবাকেন্দ্রে ঢুকে ছুরিকাঘাতে ১৯ জনকে হত্যা করেছে প্রতিষ্ঠানের সাবেক এক কর্মী। রাজধানী টোকিওর দক্ষিণ-পশ্চিমে সাগামিহারায় সরকারি এ সেবাকেন্দ্রে বাসিন্দাদের সবাই শিশু ও বৃদ্ধ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে ২৬ বছর বয়সী সেবাকেন্দ্রের সাবেক কর্মি সাতোশি ইমাৎসু আত্মসমর্পণ করে। তবে কেন সে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ। জাপানের গত কয়েক দশকের মধ্যে এটি জঘন্য হত্যাকা- বলেছে দেশটির কর্মকর্তারা। তবে ২০০১ সালের এইদিনে একটি স্কুলে আট শিশুকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে এক প্রতিবন্ধী। পুলিশের বরাত দিয়ে সংবাদ মাধ্যম জানিয়েছে, আটকের পর হামলাকারী পুলিশকে বলেছে, আমি এই দুনিয়া প্রতিবন্ধীমুক্ত করতে চাই। ঘটনাস্থলে ২৯টি জরুরি চিকিৎসক দল কাজ করছে বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম। আহতদের জরুরি সেবা দিতে চিকিৎসকদের সেখানে পাঠানো হয়েছে। সাগামি নদীর পাড়ে গাছপালা পরিবেষ্টিত সাড়ে ৭ একরেরও বেশি জমিতে প্রতিষ্ঠিত ও সরকার পরিচালিত ওই সেবাকেন্দ্রে নানা বয়েসি প্রতিবন্ধীদের সেবা দেয়া হয়। সর্বোচ্চ ১৫০ জন প্রতিবন্ধীর ওই সেবাকেন্দ্রে থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। কিওডো, জাপান টাইমস, বিবিসি, রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মিজান ২৬ জুলাই, ২০১৬, ২:৫৪ পিএম says : 0
বিশ্বব্যাপী এগুলো কি শুরু হলো ?
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন