লিবিয়ায় সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেপ এরদোগান। দেশটি থেকে এখনই তুরস্ক সেনা সরাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। এরদোগান বলেন, লিবিয়ার জাতীয় ঐক্যের সরকারের প্রতি আন্তর্জাতিক সমর্থন করেছে। তারাও এই সরকারের প্রতি সমর্থন দেয়া অব্যাহত রাখবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, লিবিয়ার এক বিঘা ভ‚মি দখলেরও ইচ্ছা তুরস্কের নেই, কিন্তু যারা জেনারেল হাফতারকে সমর্থন দিচ্ছে তারা দেশটির তেলসহ অন্যান্য সম্পদ পেতে চায়। ত্রিপোলিভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকার গত নভেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগানের সঙ্গে একটি সামরিক চুক্তি সই করে। ওই চুক্তি অনুসারে লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারকে সহায়তার জন্য আঙ্কারা সেনা পাঠিয়েছে। ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে খলিফা হাফতারের অনুগত সেনারা। গত সপ্তাহে বিদ্রোহী জেনারেল হাফতার বাহিনীকে উৎখাত করে রাজধানী ত্রিপলি দখলে নেয়ার দাবি করেছে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত জাতীয় ঐক্যমতে লিবীয় সরকার। সরকারি বাহিনী বলছে, পশ্চিমা নিয়ন্ত্রিত হাফতার বাহিনীর হাতে এক বছরের বেশি সময় অবরুদ্ধ থাকা ত্রিপলি পুরোপুরি দখলে নেয়া হয়েছে। কয়েক সপ্তাহে হাফতার বাহিনীর সঙ্গে সিরিজ যুদ্ধের মাধ্যমে সরকারি সেনাবাহিনী এ জয় পেয়েছে। এর আগে. লিবিয়ায় যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মিসরের দেওয়া প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে তুরস্ক। বিদ্রোহী সামরিক কমান্ডার খলিফা হাফতারকে রক্ষায় এই প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফয়েজ আল সিরাজের আন্তর্জাতিকভাবে সরকারকে সমর্থন করে আসছে তুরস্ক। আর মিসর, রাশিয়া ও সংযুক্ত আরব আমিরাত সমর্থিত খলিফা হাফতারের বাহিনী রাজধানী ত্রিপোলিরন দখল নিতে বিগত ১৪ মাস ধরে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ডেইলি সাবাহ, আনাদোলু, আল-জাজিরা।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন