করোনার ব্য্যপক সংক্রমণ রোধে সমগ্র ঢাকায় ‘লকডাউন’ চেয়ে রিট করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার মো.মাহবুবুল ইসলামের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ রিট করেন। রিটে করোনা চিকিৎসার সুবিধার জন্য পর্যাপ্ত হাই ফ্লো নেজাল অক্সিজেন ক্যানোলা সংগ্রহের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে মন্ত্রী পরিষদ সচিব, স্বাস্থ্য, অর্থ ও প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের সচিব, স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দুই অতিরিক্ত সচিব (হাসপাতাল ও প্রশাসন), পুলিশ কমিশনার, র্যাবের মহাপরিচালক এবং ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মেয়রকে বিবাদী করা হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, পুরো ঢাকা শহর লকডাউনের পর ওই সময়ে সিটি করপোরেশনের মেয়ররা কমিশনারদের মাধ্যমে প্রত্যেক এলাকায় প্রয়োজনে গরিবদের খাদ্য ও ওষুধ সরবরাহ করবেন। এ কাজে সরকার সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করবে। স্বাস্থ্য কর্মীদের উন্নত চিকিৎসার জন্য করোনাকালে গঠিত টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।
রিটে আরও বলা হয়, করোনা সংক্রমণে ঢাকা শহরে হাজার হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ইতিমধ্যে এক হাজারের অধিক মানুষ মারা গেছেন। গত ১৮ এপ্রিল সরকার প্রফেসর মো. শহিদুল্লাহকে সভাপতি করে ১৭ সদস্য বিশেষজ্ঞ নিয়ে জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি গঠন করে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনায় ওই কমিটি সর্বশেষ গত ৮ জুন এক সভায় সর্বসম্মতভাবে করোনায় মৃত্যু হ্রাসের জন্য বেশ কিছু সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং সুপারিশ করেন। তাই ওই রিট আবেদনে পরামর্শক কমিটির সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ সমূহের বাস্তবায়নের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার বন্ধ করতে সারাদেশে আক্রান্ত ও ঝুঁকির মাত্রার ভিত্তিতে যতটা বড় এলাকায় সম্ভব, জরুরিভাবে লকডাউন করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এতে মনে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছেন ঢাকার বাসিন্দারা। করোনা মহামারীর ব্যাপক সংক্রমণে ঢাকা শহরে হাজার হাজার রোগী শনাক্ত হচ্ছেন। ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। ঢাকা শহরে এখন ভাইরাসটি যেভাবে ছড়িয়েছে এবং আতঙ্কজনক অবস্থা তৈরি হয়েছে, সে ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের মতামত মেনে সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। তিনি বলেন, মৃত্যু রোধে ঢাকা শহরকে লকডাউন করার নির্দেশনা দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ কমিটি। সেই নির্দেশনা অমান্য করায় মানুষের মৃত্যু ঝুঁকি বাড়ছে। কাজেই জীবন রক্ষায়ই লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশেষজ্ঞদের মতামতই রাষ্ট্র পরিচালনার মূলভিত্তি হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি। আগামী রোববার হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে রিটটির শুনানি হতে পারে বলে জানান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন