চীনের রাজধানী বেইজিংয়ের জিনফাদি মাংসের বাজার থেকে নতুন করে সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গত দুই দিন ধরে নতুন এই জোন থেকে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়ায় বাজারটি বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এদিকে এই ঘটনায় দক্ষিণ বেইজিংয়ের ১১ একটি এলাকায় আবারো নতুন করে লকডাউন জারি করা হয়েছে। স্থানীয় প্রায় নয়টি স্কুল এবং কিন্ডারগার্টেন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
শনিবার চীনে আরও ১১ জনের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর দেয় দেশটির কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দেশের অভ্যন্তরের নাগরিকদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ছয়জন, তারা রাজধানী বেইজিংয়ের বাসিন্দা।
গত কয়েক মাস ধরে চীনে যাদের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়ছে এসব নাগরিকদের বেশির ভাগই বিদেশ থেকে ফেরা। কিন্তু শনিবার বেইজিংয়ে যে ছয়জনের শরীরে করোনা সংক্রমণের খবর দেওয়া হয়েছে তাদের কারোরই সম্প্রতি সময়ে বিদেশে আসা-যাওয়ার ইতিহাস নেই।
জানা গেছে, শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে জিনফাদি মাংসের বাজারটি বন্ধ করে দেয় স্থানীয় প্রশাসন। পাশাপাশি বেইজিং শহরের অন্যান্য পাইকারি বাজারগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞরা। ধারণা করা হয়, চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানের একটি প্রাণীবাজার থেকে ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস। যা এখন বৈশ্বিক মহামারিতে রূপ নিয়েছে।
নতুন সংক্রমণের ঘটনায় প্রাইমারি স্কুলগুলো খুলে দিতে আরও আর সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। দলবদ্ধ হয়ে সব ধরনের খেলাধুলা ও খাবার আয়োজন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। প্রাণঘাতী এই ভাইরাস বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করে অল্প সময়েই।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে বিশ্বে এরই মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ লাখ ২৫ হাজারের বেশি মানুষ। আর আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৭৬ লাখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন