শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের সাথে বিতর্কিত এলাকা দখল নেপালের

নতুন মানচিত্র পাশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৪ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

ভারতের সাথে তিন বিতর্কিত এলাকার ‘দখল নিল’ নেপাল! শনিবার নেপালের হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভের (প্রতিনিধি সভা) নিম্নকক্ষে পাশ হয়েছে নতুন মানচিত্র অনুমোদনের সংবিধান সংশোধনী বিল। নয়াদিল্লির আপত্তি উড়িয়ে তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বিতর্কিত এলাকা লিম্পিয়াধুরা, কালাপানি ও লিপুলেখকে।

পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ নেপাল প্রতিনিধিসভার সদস্যসংখ্যা ২৭৫। নতুন রাজনৈতিক মানচিত্রে অনুমোদন দেয়া সংবিধান সংশোধনী বিলটি পাশের জন্য প্রয়োজন ছিল দুই-তৃতীয়াংশের সমর্থন। শাসকদল নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির পাশাপাশি প্রধান বিরোধী দল নেপালি কংগ্রেস এমনকি, ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত মদেশীয় নেপালি দলগুলোও বিল সমর্থন করেছে। বিলের পক্ষে পড়েছে ২৫৮টি ভোট। প্রতিনিধিসভার মুখপাত্র রোজনাথ পান্ডে বলেছেন, ‘বিতর্কের পর ভোটাভুটির মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনী বিলটি পাশ হয়েছে।’

শুক্রবার বিহারের সীতামঢ়ীতে নেপাল পুলিশের গুলিতে ভারতীয় কৃষকের মৃত্যুর ঘটনায় সীমান্তে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলির সরকারের এমন পদক্ষেপ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে তিক্ততা সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এদিন কাঠমান্ডুর এই পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তব বলেন, ‘কৃত্রিমভাবে এলাকা বাড়িয়ে নেয়ার এমন দাবি ভারতের পক্ষে মেনে নেয়া সম্ভব নয়।’ তার অভিযোগ, নেপালের এই আচরণ ‘একতরফা’ এবং ‘ঐতিহাসিক ঘটনাপ্রবাহের পরিপন্থী’।
নেপাল পার্লামেন্টে ভোটাভুটির আগে এদিন তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে মানচিত্র বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছিলেন ভারতীয় সেনাপ্রধান জেনারেল এম এম নরবণে। তিনি বলেন, ‘ভারত এবং নেপালের সম্পর্ক অতীতেও ঘনিষ্ট ছিল। ভবিষ্যতেও থাকবে। কারণ আমাদের ভৌগলিক, ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় যোগসূত্র রয়েছে।’ পঞ্চাশের দশক থেকে ভারত এবং নেপাল সরকার পরস্পরের সেনাপ্রধানকে নিজের দেশের ‘সাম্মানিক সেনাপ্রধান’ পদে নিযুক্ত করে। গত বছর নেপালের সেনাপ্রধান পূর্ণচন্দ্র থাপাকে ভারতীয় ফৌজের ‘সাম্মানিক জেনারেল’ পদ প্রদান করা হয়েছিল। বর্তমান প্রেক্ষাপটে সেই প্রক্রিয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়ল বলে ক‚টনৈতিক মহলের ধারণা।

চীন অধিকৃত তিব্বত লাগোয়া পিথোরাগড় জেলার ওই তিনটি অঞ্চল সামরিক দৃষ্টিভঙ্গিতে ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বহু বছর ধরেই লিপুলেখ গিরিপথ কৈলাস ও মানস সরোবরের তীর্থযাত্রীরা ব্যবহার করেন। গত মাসে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ নবনির্মীত ৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ তাওয়াঘাট-লিপুলেখ সড়কের উদ্বোধন করেছিলেন। বস্তুত, এর পরেই নেপালের তরফে ‘তৎপরতা’ শুরু হয়। ৩১ মে আইনমন্ত্রী শিবমায়া তুম্বাহাম্পি হাউস অফ রিপ্রেজেনটেটিভে মানচিত্র-বদল বিলের খসড়া পেশ করেন। কয়েকদিন আগে হাউসের সদস্য সরিতা গিরি নয়া বিলের বিরুদ্ধে একটি সংশোধনী প্রস্তাব জমা দিয়েছিলেন। তাতে একতরফা ভাবে মানচিত্র বদলের পরিবর্তে উত্তরাখন্ড সীমান্তের ওই তিনটি ‘বিতর্কিত’ অঞ্চল নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল।

কিন্তু স্পিকার অগ্নিপ্রসাদ সাপকোটা সংবিধানের ১১২ ধারা অনুযায়ী নিজের বিশেষ অধিকার প্রয়োগ করে প্রস্তাবটি খারিজ করে দেন। ভারতীয় বংশোদ্ভ‚ত মদেশীয় নেত্রী সরিতার বাড়িতেও নেপাল কমিউনিস্ট পার্টির কর্মীরা হামলা চালায়। পরিস্থিতির আঁচ পেয়ে সরিতার দল জনতা সমাজবাদী পার্টির নেতৃত্বও তাকে না-এগোনোর নির্দেশ দেন। গত ৯ জুন প্রতিনিধিসভা সবর্সম্মতিক্রমে বিলটি বিতর্ক ও ভোটাভুটির জন্য গ্রহণের প্রস্তাব অনুমোদন করে। সূত্র : এবিপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (10)
Shameem Reza ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩০ এএম says : 0
ধন্যবাদ নেপাল ! তোমারা গর্বিত জাতী !
Total Reply(0)
Hossain MD Amir ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 1
ধন্যবাদ দিয়ে নেপাল কে ছোট করার কোনো ইচ্ছে আমার,,নেই তবে থ্যাংক্স তো বলাই লাগবে,, না হলে জে, আমার দেশের ফেলানির আত্মায় কষ্ট পাবে
Total Reply(0)
Riya Chowdhury ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩১ এএম says : 0
বাংলাদেশের শিক্ষা নেওয়া উচিত, নেপালের মতো দেশ ভারতের সাথে কি করে ধন্যবাদ নেপাল
Total Reply(0)
Sultan Ahmad ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
সরকার ভারতকে বাংলাদেশিদের মারার লাইসেন্স দিয়েছে? তা নাহলে বার বার সীমান্তে এমন হত্যাকান্ড কেন?যেখানে নেপালের মতো ছোট দেশ ভারতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে আজ আমরা বাংলাদেশ একই অবস্থা হল আমরা কোন প্রতিবাদ করতে পারতেছি না আমরা কি স্বাধীন না পরাধীন।
Total Reply(0)
Kasafath Uddin ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
শিখো বাংলাদেশ শিখো নেপাল থেকে শিখো আর যদি লজ্জা সরম না থাকে তাহলে হাতে ছুরি পড়ে থাকো।
Total Reply(0)
Miraj Sohel ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩২ এএম says : 0
বাংলাদেশ বিড়ালে মত চলে, আর ছোট একটা দেশ সিংহের মত গর্জন দিয়ে ভারতকে দুমে রাখে, একেই বলে দেশ প্রেম যেটা নেপাল দেখিয়ে দিচ্ছে
Total Reply(0)
মেজবাহ উদ্দিন ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
বাংলাদেশ এমন পদক্ষেপ নিলে সিমান্তে নিরীহ বাংলাদেশীদের সব সময় প্রাণ দিতে হতনা। চীন,পাকিস্তান আর এখন নেপালের হুমকিতে ভারত এখন সেনডুইচ হয়ে গেছে।
Total Reply(0)
Mohammad Sarif ১৪ জুন, ২০২০, ১:৩৩ এএম says : 0
আজকে অনেক দিন পরে নাক ডেকে ঘুমাবো।নেপালি বাহিনীর থেকে আমাদের শিক্ষা নেয়া উচিৎ!
Total Reply(0)
twocents ১৪ জুন, ২০২০, ৩:১৯ এএম says : 0
Why Nepalese can protest against India? Who are the Brave "Gurkhas"? They are Nepalese. British Army still has "Gurkha" regiment in England. Can anyone name a "Bengal Regiment" in any other country besides Bangladesh?Got the point?
Total Reply(0)
asif ১৪ জুন, ২০২০, ২:৫৭ পিএম says : 0
Nepal Bharater *** mere diyeche
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন