মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

গার্মেন্টকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় ৩ পুলিশ ক্লোজড

শরণখোলা (বাগেরহাট) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম

শরণখোলায় গামেন্টকর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত তিন পুলিশকে বাগেরহাট পুলিশলাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। এরা হচ্ছে, এসআই বিশ্বজিৎ, কনেস্টবল মো. সেলিম ও মো. সোহাগ। গতকাল রোববার সকালে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তারা পুলিশলাইনে যোগদানের জন্য শরণখোলা ত্যাগ করেন। এর আগে গত শনিবার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম শরণখোলায় এসে ঘটনাটি তদন্ত করেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রিয়াজুল ইসলাম জানান, ওই তিন পুলিশকে সাময়িকভাবে পুলিশলাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। তবে তদন্তকালে গার্মেন্টকর্মী স্বপন পুলিশের সাথে একটু ভুলবোঝাবুঝি হয়েছে এবং এতে তার কোন অভিযোগ নেই বলে তিনি জানান। এসময় স্বপনের দাবির প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে মামলাটি তদন্ত করে প্রত্যাহারের জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

পুলিশের নির্যাতনের শিকার উপজেলার মধ্য-খোন্তাকাটা গ্রামের বাসিন্দা নাদের হাওলাদারের ছেলে গার্মেন্টসকর্মী স্বপনের ভাই আ. হালিম জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের কাছে স্বপন নির্যাতনের বর্ণনা দেন। এসময় শরণখোলা থানার ওসির প্রস্তাবে তারা মিমাংসায় রাজি হন। যেহেতু ওই পুলিশদের ক্লোজড করা হয়েছে তাই আমাদের আর কোন অভিযোগ নেই।

উল্লেখ্য, গত ১০ জুন সকালে পারিবারিক বিরোধে একটি মামলায় স্বপনকে গ্রেফতার করতে যায় শরণখোলা থানা পুলিশের একটি দল। এসময় পুলিশের এসআই বিশ্বজিতের নেতৃত্বে কনেস্টবল সেলিম ও সোহাগ তার বাড়িতে প্রবেশ করেন। স্বপনের স্ত্রী শারমিন দরজা খুলতেই পুলিশ ঘরে প্রবেশ করে ঘুমন্ত স্বপনকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে মারধর শুরু করেন। পুলিশ স্বপনকে ঘর থেকে মারতে মারতে রাস্তায় নিয়ে যায় এবং রাস্তায় ফেলে স্বপনকে উপর্যপুরি মারপিট করতে থাকে। এরপর থানায় নিয়ে পুলিশের নির্যাতনে স্বপন অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এরপর পুলিশ তাকে প্রথমে শরনখোলা হাসপাতালে এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। অবশ্য পুলিশ তখন স্বপনকে গ্রেফতারের পর তার হার্টবøক হয়েছে বলে জানান। এঘটনায় বিভিন্ন সংবাদপত্রে খবর প্রকাশিত হলে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন