মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

গোদাগাড়ীতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চলছে

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৫ জুন, ২০২০, ৪:১৭ পিএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ী পৌর শহরের শহীদ ফিরোজ চত্ত্বর হতে থানা রোডের দুই পাশের অবৈধ ভাবে নির্মিত দোকানপাট উচ্ছেন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

সোমবার সকাল ১০ টা হতে গোদাগাড়ী পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবুর উদ্যোগে এই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রের দায়িত্ব পালন করে গোদাগাড়ী সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ ইমরানুল হক। এই সময় উচ্ছেদ অভিযানস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আলমগীর হোসেন।

জানা যায়, গোদাগাড়ী শহিদ ফিরোজ চত্ত্বর হতে গোদাগাড়ী মডেল থানা পর্যন্ত রাস্তা প্রসস্থকরণ ও উন্নয়ন কাজের জন্য বেশ কয়েকবার ওই রাস্তার দুই পাশের দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদের দোকান ঘর সরিয়ে নেবার জন্য নোটিশ প্রদান করে। সর্বশেষ প্রায় ১০ দিন আগে নোটিশ প্রদান করেন গোদাগাড়ী পৌর মেয়র মানিরুল ইসলাম বাবু।

এতে করে গুটি কয়েক দোকানদার ও মালিক নিজ উদ্যোগে দোকান ঘর ভাঙ্গা ও সরানোর কাজ করে। তারপারও কিছু দোকানদার নেই নোটিশ কে গুরুত্ব না দিয়ে স্থাপনা রেখে দেয়। এতে সোমবার (১৫ জুন ) বল্টুলাইজার দিয়ে অবৈধ দোকানপাট ভাঙ্গা শুরু করে।

উচ্ছেদ অভিযান চলাকালিন সময়ে কারো দোকান ভাঙ্গা ও কারো দোকান না ভাঙ্গার পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠে পৌর মেয়রের উপর। আবার কোন কোন কোন দোকানদার নোটিশ পেয়ে না ভাঙ্গার কারণে ভূল বুঝতে পেরে পুনরায় সময় চান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পৌর মেয়রের কাছে।

ইকবাল হোটেলের সামনের বারান্দা নির্ধারিত দাগ দেবার বেশী ভেঙ্গে দেওয়া হয়। তার পরেই অনুরাগ কম্পিউটারের মার্কেটের সামনের অংশ না ভাঙ্গলে হট্টগোল দেখা দেয়। ইকবাল হোটেলের ভাই আবুল কালাম আজাদ ভূটু ও তার ছেলেরা এর তীব্র প্রতিবাদ করে। তারা দাবি জানান দোকানপাট ভাঙ্গা হলে তা যেন সমান ভাবে হয়। কারো দোকান ভাঙ্গবে আর কারো থাকবে তা হবেনা। এতে করে এই প্রতিবাদের মুখে পড়ে ওই দোকানের সামনের অংশও ভাঙ্গা হয়।

এদিকে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, করোনা কালের মহাদূর্যোগ চলছে। এতে করে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা চরম ক্ষতির মুখে পড়লো। রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য ভাঙ্গা হচ্ছে তবে তার আগে ব্যবসায়ীদের পূর্ণবাসনের জন্য একটি মর্কেট তৈরী করে দিলে ভালো হতো।

এছাড়াও এলাকার প্রভাব ও বিত্তবান লোকদের দোকানপাট না ভাঙ্গার অভিযোগ উঠে।

পৌর মেয়র মনিরুল ইসলাম বাবু বলেন, উন্নয়ন কাজের জন্য দোকানপাট সরিয়ে নেবার জন্য বারবার নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। নিয়ম মোতাবেক ও এলাকার উন্নয়নের জন্য সবকিছু করা হচ্ছে এবং তা সঠিক ভাবেই হবে বলে জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন