শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

রেড জোনে সাধারণ ছুটি গ্রিনে সীমিত অফিস

করোনা প্রতিরোধে মন্ত্রিপরিষদের নতুন প্রজ্ঞাপন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাস জনিত রোগ (কোভিড-১৯) এর সংক্রমণ ঠেকাতে সংক্রমণের ভিত্তিতে এলাকা ভাগ করে অধিক সংক্রমিত অঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি সব অফিস সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।

অধিক সংক্রমিত রেড ও ইয়েলো জোন এবং কম সংক্রমিত গ্রিন জোনে ভাগ করা হয়েছে। রেড জোনের বসবাসরত চাকরিজীবীদের এই সাধরণ ছুটির আওতায় আনা হয়েছে। গ্রিন জোনে সব অফিস সীমিত পরিসরে চালু রাখা যাবে বলে নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

গতকাল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ নির্দেশনা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। এ নির্দেশনা আপাতত ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। করোনাভাইরাস জনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বিস্তার প্রতিরোধ এবং পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার ১৫ তারিখের পর শর্তসাপেক্ষে দেশের সার্বিক কার্যাবলি এবং জনসাধারণের চলাচলে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদফতর প্রণীত বাংলাদেশ ঝুঁকি অঞ্চল-ভিত্তিক কোভিড-১৯ কনটেইনমেন্ট ইমপ্লিমিটেশন কৌশল/গাইড অনুসরণ করে সংক্রমণের ভিত্তিতে সংক্রামক রোগ প্রতিরাধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ এর কর্তৃত্ব অনুযায়ী এখতিয়ারবান কর্তৃপক্ষ লাল অঞ্চল, হলুদ অঞ্চল, সবুজ অঞ্চল, হিসেবে ভাগ করে জেলা/ উপজেলা/ এলাকা/ বাড়ি/ মহল্লা ভিত্তিক জন চলাচল/ জীবনযাত্রা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে। তবে এক্ষেত্রে প্রত্যেকটি জোনের জান্য কোভিড নমুনা পরীক্ষা, কোভিড-ননকোভিড স্বাস্থ্য সেবা প্রটোকল, কোয়ারেন্টিন/আইসোলেশন, অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস, জন চলাচল, যান চলাচল, অর্থনৈতিক কর্মকান্ড, খাবার ও ওষুধ সরবরাহ, দরিদ্র লোকদের জন্য মানবিক সহায়তা প্রদান, মসজিদ-মন্দির-অনান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ধর্মচর্চা, জনসচেতনতা তৈরি, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ব্যাংকিং সুবিধাসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠান/ শিল্প প্রতিষ্ঠান/ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি পরিচালনার বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) তৈরি করতে হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অঞ্চলভিত্তিক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করার সার্বিক দায়িত্ব থাকবে সিটি কর্পোরেশনের। সিটি কর্পোরেশন এলাকার বাইরে জেলা প্রশাসন সার্বিক সমন্বয় করবে।

স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান, জেলা/উপজেলা প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ অন্যান্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরসমূহ সমন্বিতভাবে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে। এ কার্যক্রমে সংসদ সদসাগণসহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবীসহ অন্যান্যদেরকে সম্পৃক্ত করতে হবে।
সাধারণ ছুটির বিষয়ে বলা হয়, লাল অঞ্চলে অবস্থিত সামরিক বা অ-সামরিক সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত বা বেসরকারি দফতরসমূহ এবং লাল অঞ্চলে বসবাসকারী বর্ণিত দফতরের কর্মকর্তাগণ সাধারণ ছুটির আওতায় থাকবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

সবুজ অঞ্চলে সকল সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিসসমূহ নিজ ব্যবস্থাপনায় সীমিত পরিসরে খোলা থাকবে। উক্ত নিষেধাজ্ঞাকালে কেউ কর্মস্থল ত্যাগ করতে পারবে না। ঝুঁকিপূর্ণ, অসুস্থ কর্মচারী এবং সস্তান সম্ভবা নারীগণ কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া থেকে বিরত থাকবেন। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিতকরণের জন্য স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ থেকে জারিকৃত ১৯ দফা নির্দেশনা কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। জরুরি ও অত্যাবশকীয় ক্ষেত্র ব্যতীত সকল সভা ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে আয়োজন করতে হবে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অনুরো অনুসারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ জোন সংক্রান্ত বিষয়াদি সমন্বয় করবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনাটি সব মন্ত্রণালয়/বিভাগের সচিবদের পাঠিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন