বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

করোনার মাঝেই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি দখলে তৎপর ভূমিদস্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ জুন, ২০২০, ৪:২০ পিএম

তিন মাস ধরে বাড়ি ছাড়া বৃদ্ধ রফিকুল ইসলামের পরিবার। করোনা ভাইরাস সংক্রমনের এই সময়ে মারধোর করে বসতভিটা থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে তাদের। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার চন্ডালখিলে তাদের বাড়ি দখলে তৎপর প্রভাবশালী এক ভূমিদস্যু। শুধু তাই নয়, একের পর এক মামলা দিয়েও হয়রানী করা হচ্ছে এই পরিবারের সদস্যদের। এদের হাত থেকে রক্ষা পেতে রবিবার পুলিশ সুপারের কাছে আবেদন করেছেন রফিকুল ইসলামের স্ত্রী জায়েদা বেগম। এ থেকে জানা যায়, চন্ডালখিল মৌজার ২০৯,২১০ ও ২১১ দাগে নাল ও বাড়ি শ্রেনীর মোট ৫৪ শতক ভূমির মালিক তিনি। জায়েদা তার মা মোছাম্মৎ রেজিয়া খাতুনের কাছ থেকে ১৯৯৪ সালে এই জায়গা করেন। যার সকল রেকর্ডপত্র রয়েছে। তার কোন ভাই না থাকায় জায়গা ক্রয়ের আগেও ওয়ারিশ হিসেবে ওই বাড়িতেই বসবাস ছিলো তার। নিরীহ এই পরিবারের বসত ভিটা ও নাল জমির ওপর লোলুপ দৃষ্টি পড়ে গ্রামের প্রভাবশালী সর্দার মো: তাজুল ইসলামের। জোর জব্বরে তা দখলে নিতে অনেকদিন ধরেই তৎপরতা চলছে তার। সম্পত্তি দখলে কয়েক দফা জায়েদা, তার বৃদ্ধ স্বামীসহ পরিবারের সদস্যদের মারধোর করে তাজুর দলবল। মার্চ মাসে করোনা সংক্রমন শুরুর সময়ে তাদেরকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করে দেয়। এরপর গত ১৪ মে আবারো হামলা চালিয়ে তাদের মারধোর করে। এ ঘটনায় জায়েদার ছেলে মোঃ রুবেল মিয়া বাদী হয়ে তাজুল ইসলামসহ ১৮জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে ২৩মে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি বলেই অভিযোগ তাদের। এখন পর্যন্ত একজন আসামীও গ্রেফতার হয়নি এ মামলার। মামলা দায়েরের ৫ দিন পর মোঃ তাজুল ইসলাম পাল্টা রফিকুল ইসলাম এবং তার স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের সবার বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। জায়েদা বলেন, অবাস্তব ও মিথ্যা অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। জানা যায়, এরআগেও তাজুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করে। জায়েদার অভিযোগ তাজুল ইসলামসহ তার মামলার আসামীরা এলাকায় দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং তাদেরকে প্রাননাশসহ বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে অন্যত্র দিনাতিপাত করছেন তারা। বাড়ি যেতে পারছেননা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ সেলিম উদ্দিন জানান, অভিযোগের বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন