বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মানিকগঞ্জে আইসোলেশন ওয়ার্ডে অজ্ঞাতনামা নারীর মৃত্যু

সাটু‌রিয়া (মা‌নিকগঞ্জ) সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২০, ১:২৩ পিএম

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বি‌শিষ্ট জেনা‌রেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বুধবার সকা‌লে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৬০ বছরের এক অজ্ঞাত নারী মারা গেছে।

মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বি‌শিষ্ট জেনা‌রেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আরশ্বাদ উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, গত ৬ জুন এক ব্যক্তি ওই অজ্ঞাত নারীকে অচেতন অবস্থায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তার শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর কোভিড ১৯ ওয়ার্ডে ভর্তি করে। চিকিৎসক ও নার্সরা যথাযথ ভাবে তার সেবা দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটলে বুধবার সকালে সে মারা যায়।

গত ৬ তারিখে হাসপাতালে ভর্তি করার পর থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কেউ তাকে দেখতে আসেন নি। ভর্তির সময় তার স্বামীর নাম ইকবাল হোসেন লেখা হয়। তার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য যে মোবাইল ফোন নম্বর ছিলো সেটি সুমন মোল্লা নামের এক ব্যক্তির। সে সিংগাইর উপজেলার বাসিন্দা।

তিনি ওই নারীকে স্থানীয় এক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বারান্দায় ৩ দিন অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে পুলিশের সহায়তায় ৬ জুন তাকে প্রথমে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, পরে গোলাইডাঙ্গা স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং সেখান থেকে দিন শেষে রাত ২টার দিকে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করে। অজ্ঞাত নারী হিসেবে তাকে দাফন করা হবে।
মারা যাওয়া নারী করোনায় আক্রান্ত ছিল কিনা তা এখনও জানা যায়নি। গত শুক্রবার (১২ জুন) তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য সাভারে অবস্থিত প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু ৫দিন অতিবাহিত হলেও এখনও সেই রিপোর্ট পাওয়া যায়নি।

মানিকগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আনোয়ারুল আমিন আখন্দ জানায়, মানিকগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য সাভার প্রাণীসম্পদ গবেষণা ইন্সটিটিউটে পাঠানো হয়। প্রতিদিনই শতাধিক নমুনা পাঠানো হচ্ছে। কিন্তু, গত ৫ দিন ধরে কোন রিপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে না। সর্বশেষ ১২ জুন নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার যন্ত্র বিকল হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।

সর্বশেষ ১২ জুন প্রাপ্ত রিপোর্ট অনুযায়ী, জেলায় মোট শনাক্তের সংখ্যা হলো ৪০৪ জন। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় ১১২ জন, সিংগাইর ও সাটুরিয়া উপজেলায় রয়েছেন ৮১ জন করে, ঘিওর উপজেলায় রয়েছেন ৫৫ জন, হরিরামপুর উপজেলায় ৩৩, শিবালয় উপজেলায় ২৭ জন ও দৌলতপুর উপজেলায় রয়েছেন ১১ জন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন