বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ডা. রকিব হত্যার প্রতিবাদে খুলনায় চিকিৎসকদের কর্মবিরতি

খুলনা ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৭ জুন, ২০২০, ৭:১২ পিএম

রাইসা ক্লিনিকের পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রকিব খান (৫৯) হত্যার ঘটনায় সব আসামি ধরা পড়া না পর্যন্ত চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ)। তবে এর আওতার বাইরে থাকবে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগ ও করোনা হাসপাতাল।
আজ বুধবার বিকেলে বিএমএ এর এক সভায় চিকিৎসক নেতারা এ সিদ্ধান্ত নেন।
বিএমএর খুলনার সভাপতি ও সংগঠনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলম বলেন, ডা. রকিবের হত্যার ঘটনার সব আসামিদের গ্রেফতার ও খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম বাহার বুলবুলের প্রত্যাহারের আগ পর্যন্ত সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল-ক্লিনিকের চিকিৎসকরা কর্মবিরতি পালন করবে।
আক্ষেপ করে তিনি বলেন, বিসিএস স্বাস্থ্য প্রশাসনের পরিচালক পদমর্যাদায় একজন কর্তকর্তা ও বাগেরহাট মেডিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) অধ্যক্ষ ডা. রকিব রোগীদের স্বজন কর্তৃক মারাত্মক আঘাত পাওয়ার পরও ওসি মামলা নেননি। যে কারণে তার প্রত্যাহার দাবিসহ অবিলম্বে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে চিকিৎসকরা বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন। যা সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে এর আগে দুপুরে বৃষ্টিতে ভিজে মহানগরীর সাত রাস্তার মোড়ে বিএমএ, বাংলাদেশ প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএইচসিডিওএ) ও বাংলাদেশ প্রাইভেট মেডিক্যাল প্র্যাক্টিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএমপিএ) আয়োজনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখ্য মোহাম্মদ নগরের পল্লবী সড়কের বাসিন্দা আবুল আলীর স্ত্রী শিউলী বেগমকে ১৪ জুন সিজারের জন্য রাইসা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ওই দিন বিকেল ৫টায় অপারেশন হয়। বাচ্চা ও মা প্রথমে সুস্থ ছিলেন। পরে রোগীর রক্তক্ষরণ হলে ১৫ জুন সকালে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকরাও রোগী রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে না পেরে ঢাকায় রেফার্ড করেন। ঢাকায় নেওয়ার পথে ১৫ জুন রাতে শিউলী বেগমের মৃত্যু হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন