শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

কোরবানির আগেই গবাদি পশুর লাম্পি স্কিন ভাইরাস

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা: | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

কোরবানি ঈদের বাকি প্রায় দেড়মাস তবে এর মধ্যেই সৈয়দপুরে গবাদি পশুর মাঝে লাম্পি স্কিন ভাইরাস জনিত রোগ দেখা দিয়েছে। জেলা ও উপজেলায় হাজারের অধিক গরু সংক্রমিত এবং মারা গেছে বেশ কিছু গরু। করোনা সংক্রমণের মধ্যেই গরুর এমন রোগে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে খামারীরা। সরেজমিনে দেখা যায়, নিয়ামতপুর গ্রামে ৪টি গরু এবং একই ইউনিয়নের দলুয়া চৌধুরীপাড়ার গোলাম মোস্তফার ১টি ওই রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর, খাতামধুপুর, বোতলাগাড়ী, বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নেও বেশ কিছু গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে।

সৈয়দপুর শহরের ইউসুফ ডেইরী ফার্মের মালিক লায়ন জামিল আশরাফ মিন্টু জানান, আমার খামারে প্রায় ২শ’ টি গরু আছে। কিন্তু লাম্পি স্কিন ভাইরাস যেভাবে সংক্রমণ হচ্ছে তা নিয়ে বেশ আতঙ্কে আছি। কারণ একটি গরু আক্রান্ত হলে অন্য গরু আক্রান্ত হবে। কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, তার ১টি বাছুরের পা ও পেটের মধ্যে ক্ষত হয়ে গোশত খসে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, রোগটি তাদের কাছে একেবারে নতুন। প্রথমে শরীরের গুটি গুটি হয়ে ফুলে যায় এবং পরে গুটি গুলোতে ঘা সৃষ্টি হয়। এরপর ক্ষত স্থান থেকে চামড়া ও গোশত পচে যাচ্ছে। শরীরের উচ্চ তাপমাত্রা ও ব্যথা থাকায় খাওয়া বন্ধ করে গরু গুলো নিস্তেজ হয়ে পড়ছে।

জানা যায়, ১৯২৯ সালে সর্ব প্রথম আফ্রিকা মহাদেশে জাম্বিয়াতে এ রোগ দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত কোন প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। মশা-মাছিবাহিত ওই রোগটি মূলত মশার মধ্যমেই বেশি ছড়ায়। আক্রান্ত গরুর ভাল হতে দীর্ঘদিন সময় লাগে। দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ে অনেক ক্ষেত্রে গরু ও বাছুর মারা যাচ্ছে।

সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ডা. রাশেদুল হক বলেন, প্রতি বছরের বাইরে থেকে দেশে আসছে গরু তাদের শরীর পরীক্ষা না করে এ রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। এ রোগে মৃত্যুহার কম হলে ও আক্রান্ত পশু অন্য পশুদের থেকে আলাদা করে তার যতœ ও খামার পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। জ্বর বেশি হলে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সৈয়দপুর ১শ’ শয্যা হাসপাতালে আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. আরিফুর রহমান জানান, রোগাক্রান্ত গরুর গোশত খাওয়া মোটেই উচিত নয়।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মোনাক্কা আলী জানান, এ বছর রোগটি ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়েছে। আতঙ্কিত না হয়ে সঠিকভাবে গবাদিপশুর পরিচর্যা করতে হবে। যদিও রোগটির কোন ভ্যাকসিন নেই তারপরেও গোটপক্স নামের একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হচ্ছে এতে রোগ কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব বলে জানান তিনি।

 

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন