শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ঐতিহাসিক আয়া সোফিয়ার ভবিষ্যৎ নির্ণীত হবে তুরস্কের জাতীয় সার্বভৌমত্বের ভিত্তিতে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জুন, ২০২০, ৫:০৩ পিএম

ষষ্ঠ শতাব্দীতে যেটি ছিল একটি গির্জা, সেই আয়া সোফিয়া এখন একটি জাদুঘর৷ কিন্তু ইস্তাম্বুলে অবস্থিত এটিকে পরবর্তীতে মসজিদে পরিণত করা হয়৷ এর ভবিষ্যত কী, এ নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক৷ তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসোগলু দৃঢ়কন্ঠে জানালেন, এর ভবিষ্যত ঠিক হবে ‘জাতীয় সার্বভৌমত্বের’ ভিত্তিতে৷ ‘আন্তর্জাতিক’ মহলের এ ব্যাপারে কথা বলার অধিকার নেই বলেও মনে করেন তিনি। - ডয়চে ভেলে , মিডল ইস্ট মনিটর

আয়া সোফিয়া আবার নামাজ পড়ার জন্য খুলে দেয়া হবে কিনা, এমন প্রশ্নের উত্তরে টিভি চ্যানেল এনটিভিতে এক সাক্ষাৎকারে চাভুসোগলু বলেন, এটা কোনোভাবেই আন্তর্জাতিক ইস্যু না। আয়া সোফিয়ার স্ট্যাটাস নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তুরস্কের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে টানাপড়েন চলছে। অনেকদিন ধরে মুসলিমরা এটিকে তাদের নামাজ পড়ার জন্য খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছে।

১৪৫৩ সালে অটোমানদের কন্টানটিনোপল ( বর্তমানে ইস্তানবুল ) জয়ের বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত মাসে আয়া সোফিয়ার ভেতরে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করা হয় । চাভুসোগলু বলেন , বিজয়ের ৫৬৭ বছর পর কোনো চক্রই ঠিক করে দিতে পারে না ইস্তানবুল বা আয়া সোফিয়া কাদের। এখন কেবল তুর্কিরা কী চায় , সেটাই মূল দেখার বিষয়। এসময় তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ১৪৬২ সালের একটি দলিলও দেখান , যেখানে আয়া সোফিয়াকে মসজিদ হিসেবে দেখানো হয়েছে । ইজমির থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মুস্তফা কামাল আতাতুর্কের এই বিশাল প্রতিকৃতি কারো নজর এড়ায় না।

একটি বেসরকারি সংস্থা বর্তমান জাদুঘরটির স্ট্যাটাস চ্যালেঞ্জ করে আদালতে আপিল করে। আগামী মাসের ২ তারিখে এর শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। চাভুসোগলু বলেন , আমরা স্টেট কাউন্সিলের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করবো।

অটোমানরা কন্সটানটিনোপল বা ইস্তানবুলের দখল নিলে আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করা হয়। তবে ১৯৩৫ সালে এটিকে রূপ দেয়া হয় জাদুঘরে। এখন এর ভেতরে গির্জা ও মসজিদ , ইউরোপীয় ও অটোমান উভয় সংস্কৃতির ছাপ দেখা যায় ।

সাবেক গ্রিক অর্থোডক্স চার্চ আয়া সোফিয়ার অন্য কোনো ধর্মীয় ব্যবহারের পরিকল্পনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ন । তবে পালটা প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে তুরস্কও। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চাভুসোগলু গ্রিসকে এ বিষয়ে ‘ ভাষণ ’ না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি দেশটিকে মনে করিয়ে দিয়েছেন ‘ এথেন্সই ইউরোপের একমাত্র রাজধানী যেখানে কোনো মসজিদ নেই ’ । তখন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান প্রতিবাদ করে বলেছিলেন, গ্রীসে অনেক মসজিদ ছিল, যা দেশটির সরকার ধ্বংস করেছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
মোঃ মাসুদ রানা ১৮ জুন, ২০২০, ৬:৪৯ পিএম says : 0
ধন্যবাদ রিসেফ তায়েফ এরদোগান মহোদয়কে। আমি মনে করি আয়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করা উচিত আর এই বিষয়ে কোন বিতর্ক থাকা উচিত না যেহেতু এটা অনেক পুরনো বিষয় আর যেটা যুদ্ধ করে মুসলিমরা দখল করেছিল তাই সেটা মুসলিমরা নিজেদের প্রয়োজন মত ব্যবহার করবে। এ ব্যাপারে কারো নাক গালানো উচিত নয়।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন