বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

গুজরাটে ৩০টি দলিত গ্রুপের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠিত

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নৃশংসতা প্রতিরোধে ৩১ জুলাই আহমেদাবাদে মহাসমাবেশের ডাক
ইনকিলাব ডেস্ক : গুজরাটে নৃশংসতা প্রতিরোধে ৩০টি দলিত গ্রুপের সমন্বয়ে যুক্তফ্রন্ট গঠন করা হয়েছে। দলিত সম্প্রদায়ের যুবক-যুবতীদের হয়রানি ও নৃশংসতার প্রতিবাদে একটি যুক্তফ্রন্ট গঠনের ঘোষণা দেয়া হয়। দলিতদের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রায় ৩০টি দলের সম্মিলিত এ গ্রুপটি সমগ্র গুজরাটে মৃত প্রাণীর গলিত দেহ ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার না করার ঘোষণা দিয়েছে। দলিতরা এই প্রথমবারের মতো উনা দলিত অত্যাচার লাদাত সমিতি (নৃশংসতার বিরুদ্ধে উনা দলিত কমিটির লড়াই) নামে একটি ব্যানারে সংগঠিত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। দলিত সম্প্রদায়ের ওপর নৃশংসতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে বলে উল্লেখ করে তারা আগামী ৩১ জুলাই আহমেদাবাদে একটি মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে। সমাবেশ থেকেই পরবর্তী আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে। নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক জিগনেশ মেভানি বলেন, আগামী রবিবারের মহাসমাবেশে অন্তত এক লাখ দলিতের সমাবেশ ঘটাতে চাই। এর জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। গত বছরের ২৫ আগস্ট আহমেদাবাদে আন্দোলনরত প্যাটেল সম্প্রদায়ের সদস্যদের দ্বারা সংগঠিত, র‌্যালি যা চার থেকে পাঁচ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন আমরা সেরকমই একটা কিছু করতে চাই। গুজরাটে গত এক সপ্তাহে দলিতদের ওপর ধারাবাহিক নির্যাতনের ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করেই আসন্ন সমাবেশের গুরুত্ব উপলব্ধি করা যায়। কারণ, একটি মৃত গরুর চামড়া ছাড়াবার জন্য গত ১১ জুলাই উনা শহরে দলিত তরুণদের ওপর পাশবিক ভাবে মাধর করা হয়। যা একটি বিশাল জাতীয় বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। নবগঠিত যুক্তফ্রন্টের মূল দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে তফসিলি জাতি ও উপজাতি বিধানাবলী (নৃশংসতার প্রতিরোধ) আইন, সেই সাথে উনা নির্যাতনের ষড়যন্ত্রকারী ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ। এদিকে, একের পর এক দলিত নির্যাতনের ঘটনায় দেশে-বিদেশে সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অপরদিকে মায়াবতী সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন। তেমনই দলের অসন্তুষ্ট নেতা যশবন্ত সিনহার দাবি, প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল সংসদে এই নিয়ে মুখ খোলা। মোদির নিজের রাজ্য গুজরাটে দলিত নিগ্রহ, উত্তরপ্রদেশে দলিত নেত্রীকে বিজেপির নেতার কুকথার পর ভারত জুড়ে বিতর্ক সামাল দিতে প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের জনসভায় গিয়ে উন্নয়নের প্রলেপ দিয়েছিলেন। বলেছিলেন, জাত-পাতের বিষ ঘেঁটে কারও কোনো ভালো হয়নি। কিন্তু সরাসরি দলিত বিতর্ক নিয়ে মুখ খোলেননি তিনি। এর আগে হায়দরাবাদের ছাত্র রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার পর উত্তরপ্রদেশে গিয়েই প্রধানমন্ত্রী এই নিয়ে সমবেদনা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বিতর্কে এবারে আরও চাপ বাড়ছে তার উপর। বিশেষ করে সংসদের অধিবেশন এখন চলছে। তার আগে কর্নাটকের খবর সামনে এসে পড়ায় বিরোধীরা হাতে নতুন অস্ত্র এল। দ্য নিউ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস, পাইমস অফ ইনডিয়া।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন