বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাজারে ভালো দাম, গুদামে ধান দিচ্ছে না কৃষক

নওগাঁ জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২০, ১২:০২ এএম

উত্তরের খাদ্যভান্ডার হিসেবে পরিচিত জেলা নওগাঁ। এখানকার উৎপাদিত চালের সুনাম রয়েছে দেশজুড়ে। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বোরো মৌসুমে নওগাঁর খোলা বাজার ও হাটগুলোতে ধানের দাম বেশি পাওয়ায় সরকারি গুদামে ধান দিচ্ছে না লটারীতে নির্বাচিত কৃষকরা। ফলে সরকারি ভাবে ধান সংগ্রহ অভিযান ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, গত ২৬ এপ্রিল থেকে সারা দেশে শুরু করা হয়েছে সরকারি ভাবে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের অভিযান। চলবে আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ইতোমধ্যে জেলার ১০টি উপজেলায় সরকারি গুদামে ধান দেয়ার জন্য লটারীর মাধ্যমে কৃষকদের নির্বাচন করে তাদের তালিকা প্রতিটি খাদ্যগুদামে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে সদর উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কৃষক নির্বাচন করা হয়েছে।

কিন্তু চলতি বোরো মৌসুমে করোনাভাইরাসের কারণে বাজারগুলোতে সরবরাহ কম থাকায় ধানের ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। তাই অধিকাংশ গুদামে নেই ধান কেনার ব্যস্ততা। বিরাজ করছে সুনসান পরিবেশ। কোন কোন গুদামে বরাদ্দের শতকরা ১০% ধান কৃষকরা এখন পর্যন্ত দেয়নি। এছাড়াও বোরো ধানে বাম্পার ফলন পেয়ে খুশি কৃষকরা। কিছু শর্ত মেনে সরকারি খাদ্যগুদামগুলোতে ধান দিতে হয়। অধিকাংশ শর্তগুলো কৃষকরা পূরণ করতে পারে না বলে গুদামে ধান দিতে গেলে সমস্যায় পড়তে হয়।

এছাড়াও নানা সমস্যার কারণে কৃষকরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহী নন। তাই চলতি বোরো মৌসুমে জেলায় সরকারি ভাবে ধানক্রয়ের বরাদ্দকৃত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন নিয়ে দেখা দিয়েছে চরম আশঙ্কা। অপরদিকে খাদ্য বিভাগ বলছে সরকারি গুদামে ধান দেওয়ার জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে এবং লটারীতে নির্বাচিত কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে গুদামে দ্রæত ধান দেয়ার কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

জেলার রাণীনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহি ত্রিমোহনী হাটে ধান বিক্রি করতে আসা কৃষক আব্দুল হালিম, করিম উদ্দিনসহ অনেকেই জানান, গুদামে ধান দিতে গেলে নানা সমস্যা ও বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। আর হাটে ধান বিক্রি করতে আসলে তেমন কোন ঝামেলায় পড়তে হয় না। মিলার বকুল হাজী বলেন হাটে বর্তমানে জিরাশাইল ধান প্রতি মণ ১০৫০-৬০ টাকা, ব্রি-২৯ ধান ৮৭০-৮০ টাকা ও কাটারী ভোগ ধান ৯৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। দাম ভালো পাওয়াই কৃষকরা হাটে ধান বিক্রি করে অনেক খুশি।

রাণীনগর খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম লিটন বলেন, খাদ্যগুদামে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। নির্বাচিত কৃষকরাও গুদামে ধান দিতে আসছে না। সরকারের সংগ্রহ মূল্য থেকে বাজারে ধানের দাম বেশি থাকায় কৃষকরা গুদামে ধান দিতে আগ্রহী হচ্ছে না। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা জিএম ফারুক হোসেন পাটোওয়ারী বলেন, সরকারি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে আমাদের সকল কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন