শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

ব্যবসায়ীকে ৩ টুকরা টাকার জন্য

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

রাজধানীর উত্তরাসহ তিন জায়গা থেকে ব্যবসায়ী হেলাল উদ্দিনের খন্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, নিহত হেলালের বন্ধু চার্লস রূপম সরকারের স্ত্রী শাহীনা আক্তার ওরফে মনি সরকার ও রূপমের শাশুড়ি রাশিদা আক্তার। উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুর থেকে গ্রেফতারের পর তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন তারা। স্বীকারোক্তিতে উঠে আসে, নগদ টাকা হাতিয়ে নেয়াই ছিল হত্যার নেপথ্যের কারণ। তবে এখনও হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী রূপম পলাতক। তাকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে গতকাল স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দীর পর ওই দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা উত্তর বিভাগের ডিসি মশিউর রহমান জানান, গত ১৫ জুন হেলাল উদ্দিনের লাশের দুই অংশ দক্ষিণখান ও বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়। পরদিন দক্ষিণখানের একটি খালি প্লট থেকে উদ্ধার করা হয় হেলালের মাথা। ওই ঘটনার পরদিন হেলালের বড় ভাই মো. হোজায়াফা বাদী হয়ে দক্ষিণখান থানায় অজ্ঞাত পরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। গত ১৫ জুন হেলালের খন্ডিত দেহ বস্তায় ভরে নিয়ে একটি অটোরিকশায় উঠছিল রূপম, এমন ফুটেজ আসে গোয়েন্দাদের হাতে। সেই ফুটেজ বিশ্লেষণ করেই রূপমের স্ত্রী ও শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়। মনি ও তার স্বামী রূপম মিলে হেলালকে হত্যার পর তার লাশ তিন টুকরো করে বস্তায় ভরে ঢাকার তিন জায়গায় ফেলে দিয়েছিল।
তিনি আরো বলেন, হত্যার কারণ সম্পর্কে তারা জানিয়েছে, হেলালের কাছে বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের অনেক টাকা রয়েছে এমন ধারণা থেকেই তাকে হত্যা করে রূপম-মনি। কিন্তু হেলালের কাছে তারা নগদে পায় মাত্র ২৫৩ টাকা। পরে তার বিকাশের মোবাইলফোন থেকে কৌশলে ৪৩ হাজার টাকা তারা উঠিয়ে নেয়। নিহত হেলালের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয়া অর্থ পাওয়া এবং আসামিদের পালাতে সহযোগিতা করায় রূপমের শাশুড়িকে গ্রেফতার করা হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন