শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

লাদাখে চীনের শত শত ট্রাক-বুলডোজার, ভারতের যুদ্ধবিমানের টহল

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ জুন, ২০২০, ৭:২০ পিএম | আপডেট : ৭:২১ পিএম, ২১ জুন, ২০২০

উপগ্রহ চিত্রে দেখা যাচ্ছে গালওয়ান উপত্যকার কাছে বুলডোজার, ট্রাকসহ চীনের শতাধিক সামরিক পরিবহন লাইন ধরে এগিয়ে চলেছে


লাদাখে ভারতের সাথে সংঘর্ষের পর থেকেই দুই দেশের সীমানা অর্থাৎ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এলএসি) বরাবর চীনা স্থলবাহিনীর তৎপরতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, শত শত ট্রাক, বুলডোজার, সাঁজোয়া গাড়ি ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে ক্রমশই এলএসি বরাবর এগিয়ে আসছে চীন। অপর দিকে, ভারতের যুদ্ধ বিমান ও অ্যাটাক হেলিকপ্টারকেও টহল দিতে দেখা যায়।

লাদাখে চীন-ভারত সীমান্ত যাকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বলা হয়, তার সঠিক কোনও সীমারেখা চিহ্নিত করা যায়নি। ম্যাপ দেখলে বোঝা যায়, আকসাই চীন পেরিয়ে লাদাখের উপর দিয়ে বয়ে গিয়ে শিয়ক নদীতে মিশেছে গালওয়ান নদী। এই গতিপথের মধ্যেই ধরা হয় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখাকে। পূর্ব লাদাখের এই গালওয়ান উপত্যকাই চীন-ভারত সংঘাতের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। উপগ্রহ চিত্র দেখাচ্ছে, শতাধিক ট্রাক, ও সামরিক সরঞ্জাম নিয়ে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর ওই এলাকার দিকেই এগিয়ে যাচ্ছে চীনা বাহিনী। গত ৯ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছিল ওই এলাকা একেবারেই জনশূন্য। ১৬ জুনের স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, ট্রাক, বুলডোজার মিলিয়ে অন্তত ৭৯টি গাড়ি এলএসি থেকে ১ দশমিক ৩ কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে আছে। পরের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, ক্রমশই এই সংখ্যা বাড়ছে। এলএসি বরাবর চিনা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকায় ১২৭টি গাড়ির বিরাট জমায়েত লক্ষ্য করা গেছে। এই এলাকা এলএসি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ট্রাক, বুলডোজার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম নিযে যুদ্ধের প্রস্তুতিই নিচ্ছে চীন। অতর্কিতে হামলা হতে পারে যে কোনও সময়েই। এলএসি থেকে ২ দশমিক ৯ কিলোমিটার রেঞ্জের মধ্যে চীনা বাহিনীর ৫০ টি ক্যাম্প ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। রীতিমতো তাঁবু খাটিয়ে এলএসি বরাবর সামরিক সরঞ্জাম প্রস্তুত রাখছে চীন।

আরও একটা জিনিস ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। সেটা হল, এলএসি বরাবর গালওয়ান নদীর যে গতিপথ সেখানেই নতুন করে কোনও কাঠামো গড়ে উঠেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ৯ জুনের উপগ্রহ চিত্রে নদী উপত্যকায় তেমন কোনও কাঠামো দেখা যায়নি। তবে ১৬ জুনের উপগ্রহ চিত্রে দেখা গেছে, নদী উপত্যকা বরাবর এলএসি থেকে ৬০০ মিটারের মধ্যে নতুন করে কোনও কাঠামো তৈরি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ক্যাম্প করে সামরিক প্রস্তুতি চালাচ্ছে চীন। ভারত সীমান্ত থেকে মাত্র ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে পুরোদস্তুর বিমানঘাঁটিও গড়ে তুলেছে তারা। লাদাখের প্যাংগং লেকের ২০০ কিলোমিটার দূরে তিব্বতের ‘গাড়ি কুনসা’য় দশ বছর আগেই একটি বিমানবন্দর বানিয়েছিল চীন। বেইজিং তখন জানিয়েছিল, বেসামরিক বিমান পরিবহণের জন্যই ওই বিমানবন্দর তৈরি করা হচ্ছে। কিন্তু উপগ্রহ চিত্রে ধরা পড়েছে, গত এক মাসে ওই বিমানবন্দরের সম্প্রসারণের কাজ রাতারাতি বেড়ে গেছে এবং সেখানে রীতিমতো একটি বিমানঘাঁটি বা এয়ারবেস বানিয়ে ফেলেছে তারা।

উপগ্রহ চিত্র দেখে মনে করা হচ্ছে, এলএসির পেট্রল পয়েন্ট ১৪-র কাছেই দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে সংঘাত হয়েছিল। এলএসি ঘেঁষা ওই রাস্তা দারফুক, শিয়ক ছুঁয়ে চীন নির্মিত কারাকোরাম পাসের কাছে শেষ হয়েছে। সংঘাতের স্পষ্ট চিহ্ন ধরা পড়েছে উপগ্রহ চিত্রে। সূত্র: দ্য ওয়্যার।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
আমিই সেই ছেলে ২১ জুন, ২০২০, ৮:৫৭ পিএম says : 0
ভারত কে এবার গো মূত্র নিয়ে লাদাখে যেতে হবে। মোদী কে শশরীরে উপস্থিত থেকে চায়নার কাছে মাফ চাইতে হবে। তানাহলে নেপাল প্যাদানি দিবে। চায়নার চল্লিশ সেনা নিহত হয়েছে এমন ডাহা মিথ্যা দাবীর জন্য লাদাখে যোগ বেয়াম করতে হবে। এটা মিথ্যা বলার পানিশমেন্ট। তানাহলে পাকিস্তানের নিরাশ্র চার নাগরিক হত্যার দায়ে কাশ্মীর স্বীমান্তে সেনা সমাবেশ ঘটিয়ে কাশ্মীর কে আজাদি ঘোষনা করা হবে।
Total Reply(0)
মুক্তিকামী জনতা ২১ জুন, ২০২০, ৮:৫৮ পিএম says : 0
একদিকে নেপালের আক্রমণ.একদিকে চীনের আক্রমণ.একদিকে পাকিস্তানের আক্রমণ.আমরাও আক্রমণ করতে পারতাম.দুর্ভাগ্য আমরা ....।
Total Reply(0)
Shathi Shathi ২১ জুন, ২০২০, ৮:৫৮ পিএম says : 0
ভারত দখল করুক চীন, আমরা আসাম,পশ্চিম বঙ্গ, বিহার,উড়িষ্যা ফাঁকে চাই।
Total Reply(0)
আনোয়ার হোছাইন ২১ জুন, ২০২০, ৯:০০ পিএম says : 0
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা নিজের নিরীহ নাগরিক খুনে মোদীর যতোটুকু পারঙ্গমতা রয়েছে, ততোধিক দক্ষতা রয়েছে শক্তিমানের কাছে নিজের ধুতিটুকু খুলে দিয়ে এসে দেশবাসীকে গালগল্প শোনানোর! হা, হা হা!এসব আষাঢে গল্প শুনে ভারতমাতার সন্তানেরা খুশীতে আত্মহারা হয় নাকি?
Total Reply(0)
মিরাজ আলী ২১ জুন, ২০২০, ৯:০০ পিএম says : 0
ভারত এবং চীন উভয়কেই সংযত হতে হবে। বর্তমানে এই বৈশ্বিক মহামারীর মধ্যে আর যেন সীমান্তে উত্তেজনা না বাড়ে সে ব্যাপারে দু দেশকেই কুটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি করতে হবে।
Total Reply(0)
নাজনীন জাহান ২১ জুন, ২০২০, ৯:০১ পিএম says : 0
ভারতকে পিছু হটতেই হবে,আর যদি পিছু না হটে তাহলে চরম মাসুল দিতে হবে। আগে হোক পরে হোক চীন ভারতের লাদাখ, অরুনাচল,সিকিম দখল করবেই,এবং এটা চীনের প্রাপ্য। বৃটিশরা ভারত থেকে চলে যাওয়ার পর এই এলাকাগুলো বিভিন্ন ছলচাতুরীর মাধ্যমে ভারত দখল করে নেয়, তাই ভারত কে এই এলাকাগুলো ছাড়তেই হবে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন