বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নবাবগঞ্জে হবে আন্তর্জাতিক নার্সিং ইনস্টিটিউট : সালমান এফ রহমান

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৩ জুন, ২০২০, ৫:৩৫ পিএম

প্রধানমন্ত্রীর শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এমপি বলেছেন, নবাবগঞ্জে আন্তর্জাতিক মানের নার্সিং ইনস্টিটিউট করা হবে। যেখান থেকে দক্ষ নারী নার্সের পাশাপাশি পুরুষ নার্স বের করে আনা হবে। কারণ সারা পৃথিবীতে নারীদের পাশাপাশি পুরুষ নার্সদের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। আজ মঙ্গলবার ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অগ্রসর দোহার-নবাবগঞ্জ টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালমান এফ রহমান এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর। সালমান এফ রহমান বলেন, করোনাকে ভয় না পেয়ে তা মোকাবেলা করেই আমাদের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।
তিনি আরও বলেন, দোহার-নবাবগঞ্জে আধুনিক টেলিমেডিসিন সেবা নিয়ে আমার ব্যাপক চিন্তা রয়েছে। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোর সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সমন্বয় করা হবে। প্রত্যন্ত এলাকা থেকে রোগীরা যাতে ভিডিও কলের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারে সে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। দুই উপজেলার মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবীমা করার চিন্তাভাবনা চলছে।
সালমান এফ রহমান অগ্রসর দোহার-নবাবগঞ্জ টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা থাকলে অনেক ভাল কাজ করা সম্ভব। করোনা সংকটের প্রথম থেকে দোহার ও নবাবগঞ্জকে নিরাপদ রাখতে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিকল্পনা বিভাগের সচিব মো. আলী নূর বলেন, আন্তর্জাতিক নাসিং ইনস্টিটিউটের বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। একইসাথে দোহার-নবাবগঞ্জের জন্য পিসিআর ল্যাবের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি অগ্রসর দোহার-নবাবগঞ্জের টেলিমেডিসিন সেবা কার্যক্রমের প্রশংসা করেন।
অগ্রসর দোহার-নবাবগঞ্জের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে এশিয়ান টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক লাবণ্য ভূঁইয়া বলেন, শেকড়ের টানেই আমাদের সবার এ উদ্যোগ। আমরা দোহার-নবাবগঞ্জের মানুষের পাশে থাকতে চাই। টেলিমেডিসিন সেবাটি এরই একটি অংশ। আমরা সরকারের পাশাপাশি জনগনকে সেবা দিতে সবাইকে একত্রিত করে একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে কাজ করতে চাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে যুক্ত হন দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাংবাদিক, আইনজীবী, শিক্ষকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিরা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ৭১ টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক শাকিল আহমেদ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Shah Alam Khan ২৩ জুন, ২০২০, ১১:৩৭ পিএম says : 0
এশিয়ান টিভির সিনিয়র রিপোর্টার ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদক লাবণ্য ভূঁইয়া বলেছেন, “শেকড়ের টানেই আমাদের সবার এ উদ্যোগ।“ কথাটা তিনি খুবই বাস্তবসম্পন্ন কথা বলেছেন। আমিও এই প্রবাসে বসে নাড়ির টানেই প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করে দেশের সংবাদপত্র পাঠ করি আর মন্তব্য লিখে পাঠাই। এখানে বসে দেশের আত্মীয়দের যতটুকু আমার দ্বারা করা সম্ভব করে যাই এটাই নাড়ির টান বা শেকড়ের টান যেভাবেই আমরা বলিনা কেন। নবাবগঞ্জের যন্ত্রাইল ইউনিয়নের আজিজপুর মিয়া বাড়িতে আমার জন্ম। আমার বাবা মাহবুব আলাম খান (সুরুজ মিয়া) ছিলেন ঐ বাড়ির শেষ জমিদার। তার ভাল কর্মের ফলে জমিদারি যাবার সাথে সাথেই এলাকার লোক তাঁকে ইউনিয়ন পরিষদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেছিলেন। এরপর আইয়ুব খান ক্ষমতায় এসে চেয়ারম্যান প্রথা চালু করলে আমার বাবা সুরুজ মিয়া একনাগারে মৃত্যুর আগ মুহূর্ত পর্যন্ত ১৪ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। এমনকি ওনার সম্মানে আমার মাকে যেহেতু তিনিও বিডি মেম্বার ছিলেন তাঁকেও ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে প্রথা অনুযায়ী চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেছিলেন ১৯৭১ সালে জুন মাসে আমার মাতা স্বাধীনতার পক্ষে ইস্তেফা দেন। কারন আমার কর্মস্থল বগুড়ায় আমি নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ছিলাম তাই সেসময়ে পাকি সরকার আমার নামে মুক্তিযুদ্ধে যাবার কারনে বগুড়ার বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছিল এবং আমার নামে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারী করেছিল, সেটা পরবর্তীতে দেখা মাত্র গুলির নির্দেশ হয়েছিল। আমাদের বাগান বাড়ি ছিল হরিষকুল গ্রামে সেটা ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প। সেসময়ে নবাবগঞ্জের একজন কমান্ডার সিদ্দিক মাস্টার তিনি আমাদের বাগান বাড়িটাকে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্প হিসাবে ব্যাবহার করার জন্যে আমার কাছ থেকে বাড়ির চাবি নিয়েছিলেন এবং দেশ স্বাধীন হবার পর আমাকে চাবি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। সেসময়ে জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে এই অবদানের জন্যে চিঠিও দিয়েছিলেন। এসব কথা এখন ইতিহাস হয়ে আমার এবং যারা জানেন তাদের মনের কোনায় স্মৃতি চিহ্ন হিসাবেই রয়েগেছে। সাংবাদিক লাবণ্য ভূঁইয়ার শেকড়ের টানের কথা প্রসঙ্গে আমাকে অতীতের অনেক কথা মনে করিয়ে দেয়াতে আমি আমার একমাত্র বিশ্বস্থ যায়গা ইনকিলাবে স্মৃতি চারন করলাম। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে যেন সত্য বলা এবং সততার সাথে চলার ক্ষমতা দান করেন। আমি
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন