শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

সব প্রতিবেশীর সাথে বিরোধ : লাদাখ সংঘর্ষে ভারত সম্পূর্ণ একঘরে

মোবায়েদুর রহমান | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

লাদাখের ছোট্ট উপত্যকা গালওয়ান নিয়ে সেদিন এশিয়ার দুই পরাশক্তি ভারত ও চীনা সৈন্যদের মধ্যে মুষ্ঠি যুদ্ধ এবং পেরেক মারা লোহার রড দিয়ে মারামারি হলো, সেটি বোধগম্য কারণেই বাংলাদেশসহ বিশ্ব মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচারিত হয়েছে। লক্ষ করার বিষয় হলো এই যে, এশিয়ার দুই জায়ান্টের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষ হলেও এই সংঘর্ষে কিন্তু কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহৃত হয়নি। আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াই যে হাতহাতি মারামারি হয়েছে সে মারামারিতে বিদেশি সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট মোতাবেক একজন লে. কর্নেলসহ ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হয়েছেন। চীনা পক্ষে কতজন আহত বা নিহত হয়েছেন সে সম্পর্কে চীনের তরফ থেকে কোনো কিছু বলা হয়নি। তবে ভারতীয় মিডিয়া দাবি করছে যে, চীনের ৪৬ জন সৈন্যকে আহত অথবা নিহত করা হয়েছে। ভারত ছাড়া অন্য কোনো বিদেশি মিডিয়া ভারতীয় মিডিয়ার এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেনি। এত লোক মারা গেলো, কিন্তু কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হলো না কেন? এ প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘোরাফেরা করছে। উত্তরটা হলো এই যে, সীমান্ত নিয়ে চীন এবং ভারত আলোচনার এক পর্যায়ে দুই দেশের মধ্যে ১৯৯৬ সালে এই মর্মে একটি চুক্তি করে যে, ভবিষ্যতে তাদের মধ্যে কোনো বিরোধ তথা সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটলে তারা কোনো পক্ষই সমরাস্ত্র ব্যবহার করবে না।

এবার সমরাস্ত্র ব্যবহার না করলে কী হবে, ঐ হাতাহাতি মারামারির পর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (এল এ সি বা লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল) বরাবর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে আছে। এলএসিকে আন্তর্জাতিক মহল আসলে দুই দেশের সীমানা বলে মনে করে। এটিকে যদি সীমান্ত হিসাবে ধরা হয়, তাহলে এখন দেখা যাচ্ছে যে, এই রেখার একদিকে উড়ছে চীনের ড্রোন হেলিকপ্টার, অন্যদিকে গত শুক্রবার ভারত সেখানে অন্তত ১০টি জঙ্গী বিমান মোতায়েন করেছে। উভয় দেশের সেনাবাহিনীকে হাই অ্যালার্ট বা সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। গত শনিবারের খবর, গত শুক্রবার পর্যন্ত দুই দেশের মেজর জেনারেল লেভেলের দুইটি নিষ্ফল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গণচীনের প্রেসিডেন্ট শি জিং পিং তার সামরিক বাহিনীকে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছেন। অন্যদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি প্রথমে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং, পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শংকর, সশস্ত্র বাহিনীসমূহের চিফ অব জেনারেল স্টাফ জেনারেল বিপীন রাওয়াত এবং সামরিক বাহিনীর তিন শাখার প্রধানদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকের পর চীনের সাথে সীমান্ত বিরোধ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমস্ত বিরোধী দলের নেতাদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন। বৈঠকের পর মোদি বলেছেন যে, ভারতীয় সৈন্যরা চীনা সৈন্যদেরকে উচিত শিক্ষা দিয়েছে।

দুই দেশের মেজর জেনারেল পর্যায়ের বৈঠক ব্যর্থ হওয়ার পর দুই দেশই সীমান্তে নিজেদের সৈন্য সংখ্যা বৃদ্ধি করেছে। যে স্থানে মারামারি সংঘটিত হয়েছে সেটি সীমান্ত থেকে ১৩ হাজার ৫০০ ফুট উঁচুতে অবস্থিত। এলাকাটি সব সময় বরফে আচ্ছাদিত থাকে। শীতকালে তাপমাত্রা হিমাংকের ৩৫ ডিগ্রির নিচে নেমে যায়। ভারতের যেসব সৈন্য মারা গেছেন তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন সাড়ে ১৩ হাজার ফুট উঁচু স্থানে বরফ থাকায় পিছলে পড়ে যান এবং মারা যান। ভারতের আনন্দবাজার, এনডিটিভি, টাইমস অব ইন্ডিয়া এবং বিবিসির খবের প্রকাশ, চীনের সাথে ভারতের যে কয়টি সীমান্ত রয়েছে প্রায় প্রতিটি সীমান্তেই ভারত অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করেছে। দুই দেশের রণ প্রস্ততি দেখে মনে হবে যে, এশিয়ায় দুই প্রধান শক্তি যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে যাচ্ছে। ভারত, চীন এবং পাকিস্তানের রাজনীতি এবং স্ট্রাটেজিক পলিসি আমি অনেক দিন থেকেই পর্যবেক্ষণ করছি। আমার বিশ্লেষণ বলে যে, দুই দেশের মধ্যে টান টান উত্তেজনা থাকলেও সর্বাত্মক যুদ্ধ লাগার কোনো আশঙ্কা নেই। তার কারণটি আমি একটু পরে বলছি। তার আগে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে দুটি কথা বলা দরকার বলে মনে করি।

ভারতের ভৌগোলিক আয়তন এবং জনসংখ্যার দিক দিয়ে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্র। আয়তন ১২ লক্ষ ৬৯ হাজার ২১৯ বর্গ মাইল। ২০২০ সালের প্রাক্কালিত জনসংখ্যা ১৩৫ কোটি। তাদের সামরিক বাহিনী এশিয়ার দি¦তীয় বৃহত্তম এবং পৃথিবীর চতুর্থ বৃহত্তম। ভারতের পশ্চিম সীমান্তে অবস্থিত পাকিস্তান, উত্তর সীমান্তে চীন, ভুটান ও নেপাল, পূর্ব সীমান্তে বাংলাদেশ এবং মিয়ানমার, দক্ষিণ সীমান্তে ভারত মহাসাগর, দক্ষিণ পশ্চিম সীমান্তে আরব সাগর এবং দক্ষিণ পূর্ব সীমান্তে বঙ্গোপসাগর। পক্ষান্তরে চীনের চতুর্দিকে রয়েছে ১৪টি রাষ্ট্র। এগুলো হলো ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল, ভুটান কাজাকিস্তান, কির্গিজিস্তান, লাওস, মঙ্গোলিয়া, মিয়ানমার, উত্তর কোরিয়া, রাশিয়া, তাজিকিস্তান ও ভিয়েতনাম। ২০২০ সালে চীনের প্রাক্কালিত জনসংখ্যা ১৪৪ কোটি। আয়তন ৩৭ লক্ষ ৫৪ হাজার বর্গমাইল। চীনের সেনাবাহিনী এশিয়ার বৃহত্তম এবং পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম। ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা মোট জনসংখ্যার ৭৯.৮ শতাংশ, অর্থাৎ ১০৭ কোটি ৯৪ লক্ষ। মুসলিম জনসংখ্যা ১৪.২ শতাংশ। অর্থাৎ ১৯ কোটি ২০ লক্ষ।

চীন ও ভারতের সীমান্ত রেখা সম্পর্কে সকলেই জানেন। এদের সীমানায় কোনো কোনো দেশ অবস্থিত সেটিও আপনারা জানেন। তবুও আমি উভয় দেশের সীমান্তবর্তী দেশগুলোর নাম দিলাম একটি বিশেষ কারণে। দেশগুলির নাম দেখলেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে চীনের চারদিকে যে ১৪টি রাষ্ট্র রয়েছে, তার মধ্যে একমাত্র ভারত ছাড়া আর কারো সাথে তার সীমান্ত বিরোধ নাই। কিন্তু ভারতের বিশাল সীমানায় রয়েছে মাত্র ৬টি রাষ্ট্র এর মধ্যে চারটি রাষ্ট্রের সাথেই ভারতের রয়েছে সীমান্ত বিরোধ। এই ৪টি দেশ হলো চীন, পাকিস্তান, নেপাল ও বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ব্যাপারে কেউ কেউ অবশ্য প্রশ্ন তুলতে পারেন। বলতে পারেন, ভারতের সাথে সীমান্ত বিরোধ আগে বাংলাদেশের ছিলো, তবে এখন সেটা মিটে গেছে। দহগ্রাম, আঙ্গরপোতা, তিন বিঘা ও তালপট্টি নিয়ে বিরোধ ছিলো। তালপট্টি সমস্যার স্বয়ংক্রিয় সমাধান হয়ে গেছে। সমুদ্র থেকে যে দ্বীপটি জেগে ওঠার কথা ছিলো, সেই দ্বীপটি এখনো জেগে ওঠেনি। তবে তিস্তার পানি বণ্টন সমস্যা এবং ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যার সমাধান হয়নি। আজও সীমান্তে বাংলাদেশিদের ওপর ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনী মাঝে মাঝেই গুলিবর্ষণ করে এবং এর ফলে সাথে সাথেই ২/১ জন করে বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।

কিন্তু অবশিষ্ট ৩টি অর্থাৎ চীন, পাকিস্তান এবং নেপালের সাথে ভারতের সীমান্ত বিরোধ প্রবল। পাকিস্তানের সাথে ইতোপূর্বে কাশ্মির প্রশ্নে ভারতের সাথে দু’টি সর্বাত্মক যুদ্ধ এবং বাংলাদেশ নিয়ে আরেকটি সর্বাত্মক যুদ্ধ হয়ে গেছে। কাশ্মির নিয়ে পাকিস্তান ও ভারতের মধ্যে দুইবার যুদ্ধ হলেও মূল বিরোধের অবসান হয়নি। বরং গত বছরের অক্টোবর মাসে ভারত কাশ্মির ও লাদাখের ওপর থেকে সংবিধানের ৩৭০ নম্বর ধারা বাতিল করে তাদের স্বায়ত্বশাসন সম্পূর্ণ হরণ করার ফলে সংকট তীব্র হয়েছে। গত বছর অক্টোবরের পর দেশ দু’টি আরেকবার সর্বাত্মক যুদ্ধের মুখোমুখি হয়েছিলো।

চীনের সঙ্গে ভারত ১৯৬২ সালে একবার যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলো। এটি সর্বাত্মক যুদ্ধে পরিণত না হলেও আকসাই চীন এবং অরুণাচল নিয়ে দেশ দু’টির মধ্যে সীমিত আকারে যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধে চীনের একতরফা বিজয় হয়। চীন আন্তর্জাতিক সীমান্ত বলে কথিত ম্যাকমোহন লাইন (যদিও চীন এটা মানে না) অতিক্রম করে ভারতের তেজপুর পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছিলো। এরপর চীন একতরফাভাবে যুদ্ধ বিরতি করে এবং একতরফাভাবেই সৈন্য সরিয়ে আগের অবস্থানে ফিরে যায়। এরপর তাদের মধ্যে আর কোনো বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়নি। ১৯৬৭ এবং ১৯৭৫ সালে দেশ দুটির মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হলেও অত্যন্ত ছোটখাটো সংঘর্ষের মধ্যেই সেটি থেমে যায় এবং কোনো পক্ষেই কোনো হতাহত হয় নাই।

নেপালের সাথে ভারতের সীমান্ত বিরোধ প্রবল আকার ধারণ করেছে। প্রায় অর্ধশত শতাব্দী ধরে একটি চুক্তির মাধ্যমে নেপাল ভারতের পায়রবী করছিলো। কিন্তু একটি প্রাসাদ ষড়যন্ত্রে রাজপরিবারের পতনের পর নেপালে ক্ষমতায় আসে এক সময়কার গেরিলা বিদ্রোহী কমিউনিস্ট পার্টি। কমিউনিস্ট পার্টি ক্ষমতায় আসার পর থেকেই একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে নেপাল মাথা উঁচু করার চেষ্টা করে। যতবারই নেপাল নিজেকে অ্যাসার্ট করার চেষ্টা করে ততবারই ভারত সীমিত অর্থনৈতিক অবরোধসহ নানান রকম প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করে নেপালকে দাবিয়ে রাখে। কিন্তু নেপালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কে.পি শর্মা অলি আর দমিত হচ্ছেন না। নেপালের তিনটি ছোট ছোট অঞ্চল ভারতের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অলি সরকার ঐগুলো নেপালের বলে দাবি করেছে। ঐ অঞ্চল তিনটির নাম হলো ভারতের উত্তরখান্ড রাজ্যের নিপুলেখ, কালাপানি ও লিম্পিয়াধুরা। শুধু মানচিত্রে এসব অঞ্চলকে নিজের বলে দাবি করেই নেপাল ক্ষান্ত হয়নি, ভারতের বিহার সীমান্তে সরকার একটি বাঁধ নির্মাণ করেছিলো। নেপাল ঐ বাঁধ নির্মাণে বাধা দিয়ে বলেছে, যে অঞ্চলে বিহার বাঁধ দিচ্ছে সেটি নেপালের ভূখন্ড। ঐ দিকে ভারত সীমান্তে নেপাল হেলিপ্যাড এবং সেনাবাহিনীর তাঁবু বিছিয়ে ফেলেছে। গত শুক্রবার নেপালী বাহিনী ভারতীয় কৃষকদের ওপর গুলি চালিয়েছে বলে ভারত অভিযোগ করেছে।

ওপরের এই আলোচনা থেকে দেখা যাচ্ছে যে, বিশ্ব রাজনীতিতে ভারত একঘরে হয়ে পড়েছে। কোনো প্রতিবেশী তার সাথে নাই। সেদিনের চীন ভারত দ্বৈরথে ভারত বাংলাদেশের সমর্থন আশা করেছিলো। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ প্রকাশ্যে সমর্থন করেনি। ভারতের পরম মিত্র রাশিয়াও এবারের সীমান্ত সংঘর্ষে একটি কথাও বলেনি। আমেরিকার সাথে ভারতের অত্যাধিক মাখামাখি রাশিয়া পছন্দ করেনি। যে আমেরিকার সাথে মাত্রাতিরিক্ত মাখামাখির জন্য রাশিয়া নাখোশ, সেই আমেরিকাও ভারতের সপক্ষে প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।

এমন একটি পটভূমিকায় চীনের সঙ্গে লড়াইয়ে যাওয়া ভারতের জন্য চরম মূর্খতার পরিচয় হবে। সম্ভবত ভারতও সেটা বুঝতে পেরেছে। সে জন্যই তারা মার খেয়ে মার হজম করেছে। বাইরের কোনো বৃহৎ শক্তি, বিশেষ করে রাশিয়া বা আমেরিকার সক্রিয় সমর্থন বা অংশগ্রহণ ছাড়া চীনের সাথে লড়াই করে ভারত কুলিয়ে উঠতে পারবে না। চীন ও ভারত উভয় দেশের সামরিক শক্তির বিস্তারিত বিবরণ আমার কাছে রয়েছে। আমি পাঠকদেরকে ঐ বিস্তারিত তথ্য দিয়ে ভারাক্রান্ত করতে চাই না।

তবে লাদাখের একটি অতি ক্ষুদ্র অংশ নিয়ে কেনো ২০ জন ভারতীয় সৈন্য নিহত হলো সেটি বলতে গেলে আরেকটি পূর্ণাঙ্গ কলাম লিখতে হবে। আগামী সপ্তাহে সে সম্পর্কে আলোচনা করবো। আজ শুধু এইটুকু বলে শেষ করতে চাই যে, চীনের এটি তাৎক্ষণিক কোনো অ্যাকশন নয়। এটি একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার সূচনা। এই সংঘর্ষের মাধ্যমে চীন কাশ্মির বিরোধে জড়িয়ে পড়লো।
jamshedmehdi15@gmail.com

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Biplob Chowdhury ২৪ জুন, ২০২০, ২:০৭ এএম says : 0
আমাদের উচিত এখন অতি উৎসাহী না হয়ে চুপচাপ সুবিধা গ্রহণ করা, তাতে ভারতও চাইবে কিছু সুযোগ সুবিধা দিতে মাঝখানে বসে বসে দুই দেশ থেকে যতটুকু সম্ভব সুবিধা আদায় করে নেয়া। আমরা তো কোন দেশের সাথেই শত্রুতা করে কিছু করার ক্ষমতা নেই তাই ফেইসবুকে খোঁচানী কম মেরে সুযোগ কাজে লাগানোই উত্তম।
Total Reply(0)
Tuhin Amin ২৪ জুন, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
ভারতের কাছে কোন দেশ নিরাপদ নয়,সাউত এসিয়া ভারত কে দাদা গিরি করতে দেয়াজাবেনা। আগামি দশ বছরে ভিতরে বিলিন হবে বলে আমি মনে করি।
Total Reply(0)
Tofayel Ahmed ২৪ জুন, ২০২০, ২:০৮ এএম says : 0
স্যার লেখা সব সময় অনেক গভির ও তাত্ত্বিক হয়ে থাকে, আজও ব্যতিক্রম নয়। প্রিয় স্যার ভাল থাকবেন সব সময়
Total Reply(0)
Shekh Abdur Rob ২৪ জুন, ২০২০, ২:০৯ এএম says : 0
দীর্ঘ দিনের ঝুলে থাকা সমস্যা গুলো এখনি সময় শেষ করার । যেমন তিস্তা ফারাক্কা , সিমান্তে বিনা কারনে আমাদের দেশের নির অপরাধ মানুষ গুলো কে গুলি করে হত্যা করা আরো অনেক ।
Total Reply(0)
এম এইচ বায়জীদ ২৪ জুন, ২০২০, ২:১০ এএম says : 0
সুন্দর লিখেছেন, অসংখ্য ধন্যবাদ
Total Reply(0)
Syed Modoni ২৪ জুন, ২০২০, ২:১২ এএম says : 0
আধিপত্যবাদী ভারতকে চীন এভাবে চেপে না ধরলে ভারত ছোট প্রতিবেশীদের সাথে তার হিংসাত্মক কার্যকলাপ অব্যাহত রাখবে। চীনের কাছে পরাজয়ে মুসলিম বিদ্বেষী মোদি তার হিংস্রতার পোষ্ট মরটেম করতে সক্ষম হবে।
Total Reply(0)
Md Nazmul Hossain ২৪ জুন, ২০২০, ২:১২ এএম says : 0
ভারত অবশ্য চীনের সাথে যুদ্ধে জড়াবেনা।
Total Reply(0)
syeed lutfullah ২৫ জুন, ২০২০, ৪:৩৪ পিএম says : 0
আমি গালওয়ান সংঘর্ষের পর ফেসবুকে স্ট্যাটাসে বলেছিলাম বাংলাদেকে এখন উভয় বন্ধু দেশকে কূটনৈতিক ভাবে ব্যাবহার করে বিষফোঁড়া "রোহিঙ্গা" অপসারন করা প্রয়োজন।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন