লিবিয়ায় তুরস্কের সামরিক হস্তক্ষেপ সহ্য করবে না ফ্রান্স। সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ এই কথা জানান। তিনি আঙ্কারার বিরুদ্ধে ‘বিপজ্জনক খেলা’ খেলার অভিযোগ করেন। তুরস্ক সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে লিবিয়ায় সামরিক সহযোগিতা বাড়িয়েছে, ত্রিপোলির জাতিসংঘ স্বীকৃত সরকারকে বিদ্রোহী সামরিক নেতা খলিফা হাফতারের এক বছরের দীর্ঘ আক্রমণ প্রতিহত করতে সাহায্য করার জন্য সিরিয়া থেকে বিমান সহায়তা, অস্ত্র এবং মিত্র যোদ্ধা সরবরাহ করেছে। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁ বলেন, ‘আমি ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট এরদোগানকে খুব স্পষ্ট করে বলার সুযোগ পেয়েছি যে, আমাদের বিবেচনায় তুরস্ক লিবিয়ায় একটি বিপজ্জনক খেলা খেলছে এবং বার্লিন সম্মেলনে করা সমস্ত প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে।’ প্রসঙ্গত, চলতি বছরের শুরুর দিকে জার্মানির রাজধানী বার্লিনে লিবিয়া নিয়ে একটি শান্তি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘লিবিয়ায় তুরস্ক যে ভূমিকা পালন করছে তা আমরা সহ্য করব না।’ ত্রিপোলি সরকারের পক্ষে তুরস্কের সহায়তা লিবিয়ার রাজধানী এবং দেশের পশ্চিমাঞ্চলকে হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) এর বিরুদ্ধে সুরক্ষিত করেছে। হাফতারকে সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিশর এবং রাশিয়া সমর্থন করছে। এর আগে, প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখোঁর অধীনস্থ এক কর্মকর্তা অভিযোগ করে বলেছেন, লিবিয়ায় বেশ আগ্রাসী ও অগ্রহণযোগ্য আচরণ করছে তুরস্ক। তিনি এও বলেছেন, ন্যাটোভুক্ত দেশটির সঙ্গে আলোচনায় বসতেও রাজি আছে ফ্রান্স। আংকারা ও প্যারিসের চলমান উত্তেজনার প্রেক্ষিতে সোমবার কথাগুলো বলেন তিনি। মিডল ইস্ট মনিটরের বলছে, সম্প্রতি লিবিয়ায় আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত গভর্নমেন্ট অব ন্যাশনাল অ্যাকোর্ডকে (জিএনএ) সমর্থন দেয় তুরস্ক। এরপরেই জিএনএ বিরোধী পক্ষ জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মির (এলএনএ) ওপর স্বশস্ত্র অভিযান চালায়। তুরস্কের এমন সিদ্ধান্তের কারণেই লিবিয়ায় পুনরায় সহিংসতা বেড়ে গেছে। অন্যদিকে, হাফতারকে ফ্রান্স সমর্থন দিচ্ছে এমন অভিযোগ রয়েছে। বলা হচ্ছে, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে লড়াই করতে হাফতারকে সহায়তা করেছিল দেশটি। সূত্র : রয়টার্স, মিডল ইস্ট মনিটর।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন