বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘খয়রাতি’ বলায় নিঃশর্ত ক্ষমা চাইল আনন্দবাজার

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

ভারত-চীন উত্তেজনার মধ্যে বাংলাদেশকে দেয়া চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধাকে ‘খয়রাতি’ শব্দ ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশের পর ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো যে সমালোচনার মুখে পড়েছিল; সেই ঘটনায় নিজেদের ভুল স্বীকার করে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছে আনন্দবাজার পত্রিকা। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমটির প্রিন্ট ভার্সনে চতুর্থ পৃষ্ঠায় এ ক্ষমা প্রার্থনা করা হয়। ‘ভ্রম সংশোধন’ শিরোনামে ক্ষমা প্রার্থনা করে সংবাদমাধ্যমটি লেখে, ‘লাদাখের পরে ঢাকাকে পাশে টানছে বেজিং’ শীর্ষক খবরে (২০-৬, পৃ ৮) খয়রাতি শব্দের ব্যবহারে অনেক পাঠক আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। অনিচ্ছাকৃত এই ভুলের জন্য আমরা দুঃখিত ও নিঃশর্ত ক্ষমাপ্রার্থী।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, আনন্দবাজার ওই শব্দ ব্যবহার করে খারাপ সাংবাদিকতার নজির গড়েছিল। তবে এই ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে তারা আবারও ভালো সাংবাদিকতায় ফিরল। সাংবাদিকতায় ভুল হতে পারে কিন্তু ভুল করে তা স্বীকার করা সাংবাদিকতার একটি আর্ট। আমি মনে করি আনন্দবাজার ভুল স্বীকার করে সঠিক কাজটি করেছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত ১৯ জুন জানায়, চীনের বাজারে আরও পাঁচ হাজার ১৬১টি পণ্যের শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে দেশটিতে মোট শুল্কমুক্ত পণ্যের সংখ্যা দাঁড়াল আট হাজার ২৫৬টি। এর ফলে চীনে বাংলাদেশের মোট রফতানি পণ্যের ৯৭ শতাংশই শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় এলো।
এরপরই ওই শব্দ ব্যবহার করে সংবাদ প্রকাশ করে আনন্দবাজারসহ ভারতের একাধিক সংবাদমাধ্যম। তবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় বিষয়টিকে তেমন পাত্তাই দেননি। বরং গত সোমবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে ভারতীয় কয়েকটি পত্রিকার প্রতিবেদন আমাদের নজরে এসেছে। চীনের দেয়া সুবিধা সম্পর্কে যে শব্দের ব্যবহার তারা করেছে তা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য। তবে এর বিরুদ্ধে আমরা কোনো ব্যবস্থা নিতে চাই না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
আনোয়ার হোছাইন ২৪ জুন, ২০২০, ১২:০০ এএম says : 0
ঠেলার নাম বাবা! ঠেলা খেলে আনন্দবাজার যেমন ক্ষমা চায়, তেমনি তাদের এদেশীয় দোসর, দাদাদের পদলেহী গাদ্দাররাও ভিন্নসুরে কথা বলে!
Total Reply(0)
Mayen Uddin ২৪ জুন, ২০২০, ২:১৬ এএম says : 0
তবুও তাদেরকে জাতীয় ভাবে বর্জন করা প্রতিটি বিবেকবান বাংলাদেশীর কর্তব্য
Total Reply(0)
Akbar Ali ২৪ জুন, ২০২০, ২:১৭ এএম says : 0
ভারতের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়ার জন্য ইনকিলাব যে ভূমিকা রেখেছে, আশা করি তা অব্যাহত থাকবে ।
Total Reply(0)
Sultana Razia ২৪ জুন, ২০২০, ২:১৮ এএম says : 0
ঠিক আছে, আমরা ১৬ কোটি মানুষ এক থাকলে কেউ আমাদের কিছু বলতে সাহস করবে না।
Total Reply(0)
Hossain Mohammad Motaleb ২৪ জুন, ২০২০, ২:২৭ এএম says : 0
আমাদের অভ্যন্তরীণ কোনো বিষয়ে দাদারা যেনো নাক না গলায় সেই বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে
Total Reply(0)
Najmul Alif ২৪ জুন, ২০২০, ২:২৮ এএম says : 0
তাতে কি লাভ...ওদের মানুষিকতা তো আর পাল্টাবেনা বাংলাদেশকে নিয়ে।
Total Reply(0)
yousuf ২৪ জুন, ২০২০, ৮:৩৩ এএম says : 0
ভারত বাংলাদেশকে দেকতে পাইনা কারণ .....
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন