বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৭ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

দুই ঘণ্টার পথ চার ঘণ্টায়

কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়ক

কামাল আতাতুর্ক মিসেল | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় বেহাল দশায় কুমিল্লা-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়ক। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যানবাহনের চালকসহ সাধারণ যাত্রীরা। তারপরও সড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের নেই কোনো মাথা ব্যথা। মাত্র ৭৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে দুই ঘণ্টার বদলে এখন লাগছে চার ঘণ্টারও বেশি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে শত-শত যানবাহন। প্রতিনিয়তই ঘটছে প্রাণহানি ও নানা দুর্ঘটনা।

দুই জেলার এ আঞ্চলিক সড়কের চাঁদপুর অংশে ৫৫ কিলোমিটার এবং কুমিল্লার অংশে রয়েছে ২৫ কিলোমিটার। সড়কে চলাচলরত বোগদাদ পরিবহনের যাত্রী সাইফুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, এই সড়কে শতশত ছোট-বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লার ২৫ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশায় জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সবচেয়ে বেশি। যদিও সড়ক ও জনপথ বিভাগ কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মো. আহাদ উল্লাহ দাবি, যেখানে প্রয়োজন সেখানে সংস্কার করা হচ্ছে।

এই সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী ব্যবসায়ী কাইয়ুম খান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, সড়কের চাঁদপুর অংশে ৫৫ কিলোমিটার সড়কে দ্বিগুণ সময় চলে যায়। ইটের সুরকিগুলো এদিক-ওদিক ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। পিচ ঢালাই উঠে সৃষ্টি হয়েছে বড় বড় গর্ত। এতে করে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অথচ দেশের দক্ষিণাঞ্চলের এটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়ক দিয়ে চাঁদপুর-ল²ীপুর-রামগঞ্জসহ দক্ষিণাঞ্চলের হাজার-হাজার মানুষ প্রতিদিন ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যাতায়াত করে থাকে।

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে চাঁদপুর পর্যন্ত সড়কের শতাধিক ছোট-বড় খাদ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড তেলের পাম্পের সামনের অংশ, বাগমারা বাজার, আলীশ্বর বাজার, বিজরা, মুদাফফরগঞ্জ বাজার, জগৎপুর, উয়ারুক, হাজীগঞ্জের কিছু অংশ, বাকিলা, মহামায়া, ওয়ারলেস বাজার, ষোলঘরসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় সবচেয়ে নাজুক অবস্থা বিরাজ করছে। এসব জায়গার গর্তগুলো বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে জানান গাড়িচালক ও যাত্রীরা।

সামান্য বৃষ্টি হলেই জনদুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করে বলে তারা জানান। এতে প্রায় সময় ভারী যানবাহন দেবে ও বিকল হয়ে অসহনীয় যানজটের সৃষ্টি হয়। ছোট যানবাহনগুলো নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে গিয়ে দুর্ঘটনায় পতিত হয়। কুমিল্লা থেকে চাঁদপুরগামী বোগদাদ বাসচালক তফাজ্জল মিয়া দৈনিক ইনকিলাবের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ সড়কটি গত কয়েক বছর ধরেই এমন বেহাল অবস্থায় পড়ে থাকলেও সংস্কারে স্থায়ী কোনও উদ্যোগ নেই। তাই এ সড়কটি পরিকল্পিতভাবে সংস্কার করার দাবি জানান তিনি। ট্রাক চালক রমিজ উদ্দিন বলেন, বর্ষা আসলে জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার কাজ করা হয় যা জনদুর্ভোগ আরও বাড়িয়ে দেয়।

সড়ক ও জনপথ বিভাগ চাঁদপুর নির্বাহী প্রকৌশলী মনোয়ারুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, বর্ষার কারণে কিছু কিছু অংশে কার্পেটিং উঠে গেছে। তবে পুরো সড়কটি বেহাল নয় দাবি করে তিনি বলেন, যেসব জায়গায় ইতিমধ্যে কাপের্টিং উঠে গেছে সেইসব জায়গায় ঠিকাদার কর্তৃক মেরামত কাজের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে খুব শিগগিরই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পাবে এই সড়কের চলাচলকারীরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন